বছর,
আবার বিনা নিমন্ত্রণে পা বাড়ালাম তোমার কাছে । তোমার চেহারাটাই কেমন জানিনা । তোমাকে দেখতে কেমন, তুমি কতটা ভাল, কতটা খারাপ তা বুঝতে না বুঝতেই তোমার চলে যাওয়ার সময় হয়ে যায় আর আমার তোমার কাছে যাবার সময় হয়ে যায় । প্রতিটি আলোকবর্ষ পেরিয়ে যায়, তোমার নোটিশ এসে যায় বাড়ি ছাড়ার । আর আমার নতুন বাড়ির হাউস ওয়ার্মিং পার্টির তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় । সময়ের সাক্ষী হয়ে থেকে যায় প্রতিটি মূহুর্ত্ত। সময়ের দলিলে
স্বাক্ষর রেখে চলে যাও তুমি । প্রতিটি মাস, প্র্তিটি দিন, প্রতিটি রাত তৈরী করে যায় নিজের নিজের নজির । ফুলের পাপড়ির মত একটা একটা করে খসে যায় প্রত্যেকটা দিন । জন্ম হয় নতুন দিনের । কেমন যেন চেনা আশপাশে অচেনা একটা দিন । কালের ছায়াপথ ধরে হেঁটে চলে যায় দিনেরা । একটা মাত্র চাঁদের ৩৬৫ দিন ধরে পর্যায়ক্রম হ্রাসবৃদ্ধি ! প্রতিদিনের জোয়ার-ভাটা !
দিনরাতের খেয়ালখুশিরা, হাসিকান্নারা চলে যায় তোমার হাত ধরে । তোমার ৩৬৫টা দিনের যেন রামধনু রঙ । ঝোড়ো হাওয়ায় রঙগুলোকে ফাগের মত উড়িয়ে নিয়ে যাও তুমি । কখনো দিয়ে যাও এক রাশ ঠান্ডা হাওয়া, কখনো দুপশলা বৃষ্টির গন্ধ কখনো বা মুঠো মুঠো রোদের উষ্ণতা । তুমি কেড়ে নিয়ে যাও কত জীবন , খালি করে দাও কত মায়ের কোল, ভেঙে দাও কত নদীর পাড়; আবার দুহাত ভরে দিয়ে যাও কত কিছু । ছুঁয়ে যাও মন; ভিজিয়ে দাও দুচোখের পাতাকে আনন্দের কান্না দিয়ে । তুমি তো চললে বছর একবারো কি ভাবলে তোমার পুরোণো বন্ধুর কথা ?
বছর ! আমিও চললাম তোমার সাথে কারণ তোমার খেয়ায় পা দিয়ে তো বসেই আছি ।
আবার বিনা নিমন্ত্রণে পা বাড়ালাম তোমার কাছে । তোমার চেহারাটাই কেমন জানিনা । তোমাকে দেখতে কেমন, তুমি কতটা ভাল, কতটা খারাপ তা বুঝতে না বুঝতেই তোমার চলে যাওয়ার সময় হয়ে যায় আর আমার তোমার কাছে যাবার সময় হয়ে যায় । প্রতিটি আলোকবর্ষ পেরিয়ে যায়, তোমার নোটিশ এসে যায় বাড়ি ছাড়ার । আর আমার নতুন বাড়ির হাউস ওয়ার্মিং পার্টির তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় । সময়ের সাক্ষী হয়ে থেকে যায় প্রতিটি মূহুর্ত্ত। সময়ের দলিলে
স্বাক্ষর রেখে চলে যাও তুমি । প্রতিটি মাস, প্র্তিটি দিন, প্রতিটি রাত তৈরী করে যায় নিজের নিজের নজির । ফুলের পাপড়ির মত একটা একটা করে খসে যায় প্রত্যেকটা দিন । জন্ম হয় নতুন দিনের । কেমন যেন চেনা আশপাশে অচেনা একটা দিন । কালের ছায়াপথ ধরে হেঁটে চলে যায় দিনেরা । একটা মাত্র চাঁদের ৩৬৫ দিন ধরে পর্যায়ক্রম হ্রাসবৃদ্ধি ! প্রতিদিনের জোয়ার-ভাটা !
দিনরাতের খেয়ালখুশিরা, হাসিকান্নারা চলে যায় তোমার হাত ধরে । তোমার ৩৬৫টা দিনের যেন রামধনু রঙ । ঝোড়ো হাওয়ায় রঙগুলোকে ফাগের মত উড়িয়ে নিয়ে যাও তুমি । কখনো দিয়ে যাও এক রাশ ঠান্ডা হাওয়া, কখনো দুপশলা বৃষ্টির গন্ধ কখনো বা মুঠো মুঠো রোদের উষ্ণতা । তুমি কেড়ে নিয়ে যাও কত জীবন , খালি করে দাও কত মায়ের কোল, ভেঙে দাও কত নদীর পাড়; আবার দুহাত ভরে দিয়ে যাও কত কিছু । ছুঁয়ে যাও মন; ভিজিয়ে দাও দুচোখের পাতাকে আনন্দের কান্না দিয়ে । তুমি তো চললে বছর একবারো কি ভাবলে তোমার পুরোণো বন্ধুর কথা ?
বছর ! আমিও চললাম তোমার সাথে কারণ তোমার খেয়ায় পা দিয়ে তো বসেই আছি ।
তুমি আসবে বলে ঘর ঝাড়াপোঁছা । তুমি আসবে বলে সেই অছিলায় নতুন জামা । তোমার আসার আনন্দে হৈ হৈ করে হ্যাঙ আউটের প্ল্যান । তোমার জন্যে নবপঞ্জিকা, হালখাতা আর নতুন ক্যালেন্ডার ।
ভালো থেকো বছরটা । ভালোটি হয়ে থাকব আমিও যদি তোমার ভালোটুকুনির মধ্যে থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি । একরত্তি এই জীবনটাকে ভালোবাসায়, মন্দবাসায় ভরিয়ে রেখো । তোমার তো ৩৬৫রকম জীবন থাকবে কিন্তু আমার তো একটাই । কথা দিলাম ভালবাসব । কথা দিলাম তোমায় ভালো রাখব । আবার গরমের বিকেলে গা ধুয়ে পরে নেব মলমল শাড়িখানা , বরষার সান্ড্যাক চটিজোড়া যত্ন করে রেখে দেব, ভাদ্রের রোদে পুরোণো বালুচরি রোদ খাওয়াব, শীতের পশমিনা-বালাপোশ মথ বলের গন্ধে ভরপুর করবে । ফাগুনের আগুন নিভে যাবে দোলের সাথে সাথে আবার শুরু হয়ে যাবে তোমার যাওয়ার তোড়জোড় আর আমার বাড়ি বদলের পার্টি !
তোমার সাথে যাব বলে আমিও সেজেগুজে, নতুন জামা কাপড় পরে বসে আছি আমার মত । শুধু তোমার অপেক্ষায় । তুমি যেমন খামখেয়ালি ইচ্ছেডানায় উড়ে চল রোজ, তেমনি করেই আমিও যাব , কথা দিলাম । শুধু আমাকে আমার মত থাকতে দিও! এই টুকুনি চাইলাম তোমার কাছে । তোমার যেমন বয়সটা এক এক করে বেড়ে যায় প্রতিবারের পয়লা বোশেখে আমারও তো বাড়ে । তাই যত না পাওয়ার গল্পটা, নষ্ট জীবন, ছারখার জাহাজ মাস্তুল সরিয়ে রেখে নিজেকে নিজের মত গুছিয়ে নাও । আর আমাকে আমার মত থাকতে দাও !
ইতি
তোমার নতুন নৌকোর পুরোণো যাত্রী
তোমার নতুন নৌকোর পুরোণো যাত্রী
২টি মন্তব্য:
দারুণ লাগল পড়তে।
মেঘ
সত্যি ভালো লেগেছে ? আর কেউ তো পড়েইনি । যাক ভাগ্যি তুমি ছিলে !
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন