২৩ মার্চ, ২০১৪

লড়াকু লেখিকা'র মনোলগ


 
ফেসবুকে আমার প্রোফাইল ডেসিগনেশন হল "লড়াকু লেখিকা" । সেই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। আর কৌতুহলী জনগণ প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন ইনবক্সে। "আচ্ছা দিদি, আচ্ছা ম্যাম, আচ্ছা বন্ধু !!! এই "লড়াকু লেখিকা"র অর্থটা কি স্পষ্ট করে বলবেন? আপনি কি লড়াই করে লেখেন না কি লেখার জন্য লড়াই করেন ? অথবা দুটোই..." ব্যাপারটা যদি বুঝিয়ে বলেন। আমিও বেশ মজা পাই এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে। কিন্তু আমার ফেসবুকের লেখক-কবি বন্ধুরা হয়ত এই "লড়াকু লেখিকা" শব্দ দুটির অর্থ বেশ ভালোই বোঝেন আশা করি। বাংলাভাষায় লেখক-কবির সংখ্যা এত‌ই বেশী যে আমাদের প্রকৃত অর্থেই প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যেতে হয়। ওয়েবে লিখি আমরা অনেকেই। ছাপ পত্রিকাতেও লিখি অনেকে। কিন্তু ওয়েব পত্রিকার সম্পাদকরা সেই অর্থে অনেক বেশি লিবারাল ও বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যাবহার করেন লেখকদের সাথে। অন্যদিকে ছাপা কাগজে বা ম্যাগাজিনে বছরের পর বছর এল্খা জমা পড়ে থাকে। ফোন করে বা মেল করে নিজের লেখাটি প্রকাশের যোগ্য কিনা তা জিগেস করাটাও তাদের নাপসন্দ। কেউ কেউ আবার জিগেস করলে চোখ রাঙাতেও দ্বিধা করেন না। উঠতি লেখকরা যেন অপাঙতেয়। আর নামীদামী লেখকদের সাথে পঙতি ভোজনে বসানোটাও যেন তাঁদের কাছে একটা ছুঁতমার্গের আওতায় পড়ে। ছাপা পত্রিকায় লেখা থাকে..."লেখা পাঠান এই বিষয়ে, এত শব্দের মধ্যে..."
তাদের মত করে কাস্টমাইজড সার্ভিস দিয়েও সেই লেখা যখন প্রকাশিত হয় তখন লেখক তো আশা করতেই পারেন তাঁর উপযুক্ত সাম্মানিক। কিন্তু বহুদিন বাদে প্রশ্ন করলে তাঁরা উত্তর দেন "আমরা কেবল মাত্র আমন্ত্রিত লেখকদেরই সাম্মানিক দি " তাহলে মাননীয় সংবাদপত্র বা ম্যাগাজিন প্রায়শঃই কেন লেখা পাঠাতে অনুরোধ করেন তা বুঝতে পারলামনা। তাহলে কি কেবলমাত্র চেনা-পরিচিত লেখকদের লেখা ছাপা হলেই তাঁরা সাম্মানিক আশা করবেন?  অবিশ্যি ব্যাতিক্রমী কিছু পত্রিকাও আছে । যাঁদের কাছ থেকে না চাইতেও বাড়ির ঠিকানায় সাম্মানিক হাজির হয়ে যায়।  
 এই ধরণের ছোটখাটো লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে আমাদের মত লেখকদের তো জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যেতেই হয় তাই নয় কি! আর চলতেই থাকে কাগুজে পত্রিকা ভার্সেস ই-পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর লড়াইও।
আমার মত এহেন "লড়াকু লেখিকা"র একটি সাক্ষাতকার সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি ই-পত্রিকায়। আশাকরি যারা আমাকে ইনবক্সে প্রশ্ন করেন তারা এর সদুত্তর পাবেন।