অণুগল্প -- "লিভ টুগেদার" ই-ম্যাগাজিন "কর্ণিকা" য় প্রকাশিত
নীল আর লেখার ছোট্ট ঘরবাঁধার স্বপ্ন।
নীলের নাকে বাবলাফুলের ঘ্রাণ, লেখার আত্মসমর্পণ;
নীলের ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি চাওয়া, লেখার এলোচুল;
নীলের চোখে ক্রেসেন্টমুন, লেখা সেই জ্যোত্স্নায় ভিজে সারা ;
নীলের ঠোঁটে সিক্ত উষ্ণতা আর লেখার অবগাহন।
এভাবেই চলছিল...
একদিন নীল বলল "আর কেন ? চল্ এবার সেরে নি বিয়েটা"
লেখা বলল "এই তো বেশ ভালো তুই-আমি"
নীলের বুকে মাথা গুঁজে লেখা বলল, "চল্ একটা নতুন জায়গায়, চিত্রকূট পাহাড়ের গায়ে শ্বেতসাগরের মধ্যে অভ্রকূট দ্বীপে...অনেক মানুষের ভীড়ে"।
নীল বলল, "বিয়েই যদি না হয় কি হবে গিয়ে? এই বেশ থাক তোর-আমার প্রতিদিনের সহমরণ, প্রতিমূহুর্তের সমব্যথা"।
লেখা বলল, "তবে তাই হোক! তুই বলবি, আমি শুনব ;
তুই দিবি আমি নোব।
তুই চাইবি, আমি দোব ;
তুই আছিস তাই বেঁচে থাকব তোর লেখা হোয়ে।
বেঁচে থাকবে তোর-আমার "লিভ-টুগেদার"
একদিন নীলের চোখে ভেসে উঠল একটা অন্যমুখ...
তার নাম স্বপ্না | অলস শীতের দুপুরে, ক্লান্ত চড়ুইয়ের পায়ে পায়ে, বসন্ত কোকিলের গানে গানে, নীল স্বপ্নাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করল ; সাথে রইল কাঠবেড়ালির খুনসুটি, হঠাত্ ভর দুপুরে শিলাবৃষ্টি, আরো কত কি !
এদিকে লেখার দিন কাটেনা, রাত কাটেনা ...
সে একা একা বাঁশঝাড়ের পাশে দাঁড়িয়ে স্টীম ইঞ্জিনের ধোঁয়া দেখে ; পাক খেয়ে খেয়ে ধোঁয়া কেমন আকাশে উঠে যায় দূর দিগন্তে গিয়ে মেশে আর সেখানে মেঘেরা ঢাকনা খুলে দেয় ...নীল আকাশে গিয়ে মেশে তার চোখ। ভেসে চলে একা একা নীলের দেশে... রাতের নীল নক্ষত্র গুনতে থাকে সে।
হঠাত্ একদিন বনে জ্বলে উঠল দাবানল স্বপ্নার ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হোল, স্বপ্নাও শেষ ।
নীল খুব ভেঙে পড়ল, আবার লেখার কথা মনে পড়তেই লেখাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করল । লেখা "লেখা" হল তখন...
বর্ষার থৈথৈ, অন্তহীন রাতের আকাশ, অগুন্তি তারা, লাফিয়ে ওঠা ভাদ্রের নদী, আকাশ কালো করা ট্রেনের ধোঁয়া আরো কত কি তাকে পেয়ে বসল । সবকিছুর মাঝে ভেসে চলল একটা মুখ নীল, নীল আর শুধু নীল। নীল দিল সব কিছু উজাড় করে লেখাকে ; আর লেখাও নিল সব কিছু প্রান ভরে, "আজ যা কিছু আমার দিতে পারি সবই ..."
সাদা পাতায় সঞ্চারিত হোল নীল-লেখার ভ্রূণ ।
বেঁচে রইল তাদের "লিভ টুগেদার"
নীল আর লেখার ছোট্ট ঘরবাঁধার স্বপ্ন।
নীলের নাকে বাবলাফুলের ঘ্রাণ, লেখার আত্মসমর্পণ;
নীলের ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি চাওয়া, লেখার এলোচুল;
নীলের চোখে ক্রেসেন্টমুন, লেখা সেই জ্যোত্স্নায় ভিজে সারা ;
নীলের ঠোঁটে সিক্ত উষ্ণতা আর লেখার অবগাহন।
এভাবেই চলছিল...
একদিন নীল বলল "আর কেন ? চল্ এবার সেরে নি বিয়েটা"
লেখা বলল "এই তো বেশ ভালো তুই-আমি"
নীলের বুকে মাথা গুঁজে লেখা বলল, "চল্ একটা নতুন জায়গায়, চিত্রকূট পাহাড়ের গায়ে শ্বেতসাগরের মধ্যে অভ্রকূট দ্বীপে...অনেক মানুষের ভীড়ে"।
নীল বলল, "বিয়েই যদি না হয় কি হবে গিয়ে? এই বেশ থাক তোর-আমার প্রতিদিনের সহমরণ, প্রতিমূহুর্তের সমব্যথা"।
লেখা বলল, "তবে তাই হোক! তুই বলবি, আমি শুনব ;
তুই দিবি আমি নোব।
তুই চাইবি, আমি দোব ;
তুই আছিস তাই বেঁচে থাকব তোর লেখা হোয়ে।
বেঁচে থাকবে তোর-আমার "লিভ-টুগেদার"
একদিন নীলের চোখে ভেসে উঠল একটা অন্যমুখ...
তার নাম স্বপ্না | অলস শীতের দুপুরে, ক্লান্ত চড়ুইয়ের পায়ে পায়ে, বসন্ত কোকিলের গানে গানে, নীল স্বপ্নাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করল ; সাথে রইল কাঠবেড়ালির খুনসুটি, হঠাত্ ভর দুপুরে শিলাবৃষ্টি, আরো কত কি !
এদিকে লেখার দিন কাটেনা, রাত কাটেনা ...
সে একা একা বাঁশঝাড়ের পাশে দাঁড়িয়ে স্টীম ইঞ্জিনের ধোঁয়া দেখে ; পাক খেয়ে খেয়ে ধোঁয়া কেমন আকাশে উঠে যায় দূর দিগন্তে গিয়ে মেশে আর সেখানে মেঘেরা ঢাকনা খুলে দেয় ...নীল আকাশে গিয়ে মেশে তার চোখ। ভেসে চলে একা একা নীলের দেশে... রাতের নীল নক্ষত্র গুনতে থাকে সে।
হঠাত্ একদিন বনে জ্বলে উঠল দাবানল স্বপ্নার ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হোল, স্বপ্নাও শেষ ।
নীল খুব ভেঙে পড়ল, আবার লেখার কথা মনে পড়তেই লেখাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করল । লেখা "লেখা" হল তখন...
বর্ষার থৈথৈ, অন্তহীন রাতের আকাশ, অগুন্তি তারা, লাফিয়ে ওঠা ভাদ্রের নদী, আকাশ কালো করা ট্রেনের ধোঁয়া আরো কত কি তাকে পেয়ে বসল । সবকিছুর মাঝে ভেসে চলল একটা মুখ নীল, নীল আর শুধু নীল। নীল দিল সব কিছু উজাড় করে লেখাকে ; আর লেখাও নিল সব কিছু প্রান ভরে, "আজ যা কিছু আমার দিতে পারি সবই ..."
সাদা পাতায় সঞ্চারিত হোল নীল-লেখার ভ্রূণ ।
বেঁচে রইল তাদের "লিভ টুগেদার"