প্রথমে অর্কূটে, তারপর ফেসবুকে, আর সবশেষে বিবাহ ডট কমের সূত্র ধরে তিথির সাথে আলাপ, রাজের দিদি রাণীর ।
ফলে বছর দুয়েকের ডিজিটাল ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে তিথির সঙ্গে রাণীর । কারণ একটাই ; একমাত্র ভাই রাজের জন্য উপযুক্ত পাত্রী বলে মনে হয়েছিল তিথিকে। আজকাল যে হারে ডিভোর্সের ঘটনা কাগজে কলমে পড়ছে রাণী, তার চেয়ে বাবা কয়েকবছর ধরে বাজিয়ে নিয়ে তারপর না হয় বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া যাবে। সেইমত দুবছরের ঘনিষ্ঠ আলাপচারিতার পর ঠিক হল উভয় পক্ষের পরিবারের সাথে ভেট হওয়ার প্রয়োজন; কারণ পাত্র রাজ তখন বিদেশে পাঠরত। ছবি ও ইমেলের বিনিময়ে তিথিকেও পছন্দ করল রাজ এবং তিথিও রাজকে ।
আরো একটা বছর রাজ আসতে বাকী |তাই রাণীর মধ্যস্থতায় দুইবাড়ির মধ্যেও ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠল। যাওয়াআসা, খাওয়াদাওয়া সবকিছু সামাজিকতার সাথে তিনজনের স্ক্র্যাপ আর ফেসবুক মেসেজরা বেঁচে রইল সুখেদুখে, হাসিকান্নায়, ছন্দে গানে। আর দোল-দুর্গোত্সব, জন্মদিন, ক্রিসমাসের রামধনুতে রেঙে উঠল রাজ, তিথি আর রাণীর মেলবক্স। আর তাছাড়াও আছে ফোন আর এসেমেস । তিথি আর রাজের প্রেমপর্বের অনুঘটক হিসেবে রাণীও রয়ে গেল জি-টকের ছোট্ট কুঁড়েতে...
হঠাত অনুষ্টুপ-গায়ত্রী ছন্দের বিদায় ! হল অপ-ছন্দের আবির্ভাব।
অনেক দিন রাণী আর রাজকে তিথি না করে স্ক্র্যাপ, না পাঠায় কোনো ইমেল....না কোনো এসেমেস না মেসেজ । ফেসবুকেও কখনো সবুজ আলো জ্বলেনা তার ছবিঘরে... সোশ্যালনেটে তাদের কমন বন্ধুদেরো এই বিয়ে থা নিয়ে কিছু জানায়নি ওরা । অতএব ওদের জিগেস করে লাভ হবেনা ।
তিথির বাড়ির ফোন বলে "মজুত নেহি হ্যায়" আর মোবাইল বলে "সুইচড্-অফ্"। অগত্যা রাণী একদিন তিথির বাড়ি গেল । সেখানে গিয়ে সে তো স্তম্ভিত! বাড়িটাই নেই ।
ভাঙা হয়েছে । নতুন ঘটনা নয়; যে হারে দেশে প্রোমোটার রাজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাতে বিচিত্র কিছু নয় । কিন্তু রাণীর খুব আশ্চর্য লাগল যে এসব তো তিথি কিছুই জানায়নি তাদের । এখন কি করবে রাণী? রাজের ফাইনাল ডিসার্টেশন, পিএইচডি সাবমিশন কয়েকদিনের মধ্যেই । প্রচন্ড কাজের চাপ, থিসিস সাবমিট করার সময় নাকি এমনই হয় সকলের ।তাকে জানালে সে তো যারপরনাই মর্মাহত হবে । বাড়ি ফিরে মাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে গিয়ে সব জানাল।
আর রাজকে বলল তিথির কি একটা গানের রেকর্ডিং আছে, তাই সে দিন কয়েক ব্যস্ত আছে আর তার মোবাইলটা হারিয়ে ফেলেছে, পরে নতুন নাম্বার পাঠাবে। নেট-কানেকশনও খারাপ তাই স্ক্র্যাপ্, ইমেল, চ্যাট, মেসেজ কোনোটাই কিছুদিন সম্ভব নয় তিথির পক্ষে, এসব যেন তিথি নিজেই জানিয়েছে রাণীকে ।
এদিকে রাজ তো ব্যস্ত তার পড়াশুনো নিয়ে আর রাণী শুধু উলটে পালটে দেখে নীল বালুচরীটা যেটা তিথির জন্য কিনেছিল সে বিষ্ণুপুর থেকে, দুধে-আলতা কাঁথাস্টীচের সালোয়ার-কামিজের পিস, পৌষমেলার ডোকরার দুল, টেরাকোটার পেন্ডেন্ট ...ভেবেছিল খুব মানাবে তিথিকে ।
তিথি বলেছিল রাজের জন্য সে একটা পাঞ্জাবীতে ফেব্রিক করবে ... ফোকের মোটিফ ; আর তাদের তো আর কদিনের মধ্যেই বিয়ে, তাই ফুলশয্যার বেডকভারে সে ফোঁড় তুলছে... যামিনীরায়কে নিয়ে। মেহেদী হাসানের গজল, শিবকুমার শর্মা, আর ওদিকে নাসিরুদ্দীন শাহ্-শাবানা আজমী, হেমন্ত-মান্নার চির কোঁদল, রবীন্দ্রসঙ্গীত বনাম বাংলাব্যান্ড, চাইনিজ না কন্টিনেন্টাল এই নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা গ্রুপচ্যাটে তর্কের তুফান তুলতো তারা তিনটি মিলে । রাণীর খুব মনে ধরে ছিল, অন্তত: তিথি আর রাজের ওয়েভ-লেন্থটা তো ম্যাচ করেছে !তিন জনেরই প্রিয় খাবার লুচি আর আলুভাজা আর সাথে মচমচে করে ভাজা শুকনো লঙ্কা ।
বেশ তো চলছিল সব | হঠাত একটা দমকা বাতাস এসে সব যেন উল্টেপাল্টে দিয়ে গেল রাণীকে ।
মনে মনে রাণী ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল ।
কিন্তু কোনো সত্য উদ্ঘাটন করতে পারলো না । হাঠত একদিন গুগল সার্চে গিয়ে রাণীর কি যেন মনে হল সার্চ করল তিথির নাম, পদবী দিয়ে... দেখে পার্সোনাল ব্লগ বেরিয়ে এল যা
তিথি নামের একটি মেয়ের...হতেই পারে, তিথি নামতো কত মেয়েরই হয় ! কিন্তু এতো অস্ট্রেলিয়ার ঠিকানা, আর ফ্যামিলি এলবাম প্রথম পাতায় ... ক্লিক করল রাণী, বিয়ের রেজিস্ট্রেশানের ছবি, ...এই তো নীল বালুচরী পরে তিথি..আর রেজিস্ট্রি বিয়ের তারিখটি হল আজ থেকে বছর খানেক আগে ।
রাগে, অভিমানে, লজ্জায় ফেটে পড়ল রাণী।
তারপরেই কম্পোজ মেল "ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো"
অর্কুটে স্ক্র্যাপ "কনগ্র্যাচুলেশনস এবং সেলিব্রেশনস"
আর ব্লগের রেজিস্ট্রি বিয়ের ছবিটা, রাইটক্লিক...সেভ এজ...
…...
অনেক বছর কেটে গেছে , তিথি, রাজ আর রাণী নিজের নিজের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত । সকলেই এখন থাকে কলকাতায় । রাণীর বিয়ে হয়ে গেছে এক ডাক্তারের সাথে । নিজস্ব ফ্ল্যাট । একটি ফুটফুটে মেয়ে তার । তিথি একটি হায়ার সেকেন্ডারি প্রাইভেট স্কুলের টিচার |তার স্বামী কর্পোরেট সেক্টারে উঁচু
পোষ্টে কাজ করে । প্রায়শই খবরের কাগজ ও টেলিভিশনে নাম শোনা যায় তার । প্রচুর ফরেন ট্যুর করেন তিনি । তার পেছনে মিডিয়া ছোঁক ছোঁক করে তার ইন্টারভিউ নেবার জন্য । সুপুরুষ, সুবক্তা আর প্রচুর কানেক্সান তার । তিথির নিজের কেরিয়ারের পেছনে দৌড়তে গিয়ে
পিএইচডি, বিএড এই সবে সময় চলে গেছে । ছেলেপুলে হবার ব্যাপারে আদৌ সে কোনো মাথা ঘামায়নি । যার পরিণতি স্বরূপ কোলকাতার নামজাদা ডাক্তার বাবুরা, কনসালট্যেন্ট গায়নোকোলজিস্টরাও হার মেনেছে তার সন্তান সম্ভাবনায় । দুজনেরই নাকি কিছু জটিলতা আছে । একে তো বয়স হয়ে গেছে তিথির, তা প্রায় তেত্রিশের কাছে আর তার স্বামীর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন .. সিগারেট ও বিলিতি লিকারের প্রভাবে | এ ডাক্তার সে ডাক্তার ঘুরে অবশেষে তিথি আর তার স্বামি রণ এসে পৌঁছায় কোলকাতারই আর এক খ্যাতনামা ফার্টিলিটি ক্লিনিকে । সেখানে ডক্টর শ্রীরূপ রয়ের সাথে এপয়েন্টমেন্ট তাদের । ঘরে ঢুকে ডাক্তার বাবুর টেবিলে তিথির চোখে পড়ল রাণীর ছবি ; ডাক্তার বাবু রাণি আর তাদের ফুটফুটে মেয়ে রাধার বাঁধানো ছবি । ডক্টর শ্রীরূপ রয় রাণির হাসব্যান্ড ; সৌম্য, সুদর্শন, স্বল্পভাষী সার্জেন । প্রকৃতির এমনই খেয়াল যে পাকেচক্রে তিথিকে আবার সেই রাজের দিদি রাণীর স্বামীর কাছেই আসতে হয়েছে । আর এই কথাটা ভেবেই তিথির হাত-পা যেন অবশ হয়ে গেল । আর আজ এমন এক পরিস্থিতি সেখান থেকে পালাবার পথ নেই । টেস্ট শুরু হল, হল অনেক কথাবার্তা । ফাইনালি যা বোঝা গেল তা হল রণর যা স্পার্মকাউন্ট তাতে এই বয়সে তিথি কোনোদিন মা হতে পারবে না । যদি ডোনার কেউ হন তাহলে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন ট্রাই নিয়ে দেখা যেতে পারে । যদিও তা ব্যয়বহুল কিন্তু এই মূহুর্তে তিথি আর রণ সে ব্যাপারে দ্বিমত নয় । অঢেল টাকা রণর আছে । এটা তো জীবনমরণ সমস্যা ।
যদি সত্যি তিথি মা হতে পারে রণর চেয়ে আর কেই বা খুশী হতে পারে!
এবার ফরমালিটির পালা; কাগজ কলম, কন্ট্র্যাক্ট, সইসাবুদ ইত্যাদি । রণ আর তিথির প্রশ্ন একটাই স্পার্মডোনার যেন ভাল পেডিগ্রির হয় । নিম্ন মধ্যবিত্ত বেকার যুবক আজকাল এই ডোনেশানে মোটা অঙ্কের টাকা পায় আর তাতো কিছু অসম্মানেরও নয় বরং কোনো কাজে লেগে যদি সত উপায়ে রোজগার করা যায় তাতে তো ক্ষতি নেই কিন্তু ভাল ফ্যামিলির শিক্ষিত কোনো চাকুরে ব্যক্তি কে এ ব্যাপারে রাজী করানো তো মুশকিল; ডাক্তারবাবুর হঠাত মনে পড়ে গেল তার শ্যালক রাজের কথা । রাজ এখনও অবিবাহিত । একটি সরকারি কলেজে সিনিয়র প্রফেসর । বিয়ে করেনি রাজ । মানে হয়ে ওঠেনি । তিথির কাছ থেকে সেই আঘাত সে কখনো ভোলেনি । আর তাই বোধ হয় "বিয়ে" নামক এই সামাজিক প্রহসনকে সে ঘেন্না করতে শুরু করেছে । সেই ঘটনার পর থেকে বিয়ের কথা উঠলেই রাজ এড়িয়ে চলে দিদি আর জামাই বাবুকে । আর মা-বাবা মারা গেছেন অনেকদিন, তাই সেই অর্থে কেউ এর চেয়ে বেশি জোরাজোরি করেওনি তার বিয়ের ব্যাপারে । রাজ দিব্য আছে তার অধ্যাপনা, রিসার্চ আর কলেজ স্টুডেন্ট, সেমিনার, সিম্পোশিয়াম আর মাঝেমধ্যে ছোটখাট বিদেশ ট্যুর নিয়ে । সেই ঘটনার পর থেকে তিথির সাথে কোনো যোগাযোগও রাখেনি সে এমন কি মন থেকেই কন্ট্রোল সি, কন্ট্রোল ভি, কন্ট্রোল এক্স...ভুলে গেছে জীবনের মত সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, বিদায় জানিয়েছে অর্কুট-ফেসবুককে চিরদিনের মত |
ফোন ঘোরালেন ডক্টর শ্রীরূপ রায় , রাজের জামাইবাবু ।
"আসতে হবে আমার ক্লিনিকে এখুনি , পারবে ? না ক্লাস আছে ?" শ্রীরূপদা রাজের ফ্রেন্ড-ফিলোজফার-গাইড ।
আর কেনই বা তা হবে না একমাত্র দিদির বর, বাবা মায়ের অবর্তমানে এরাই তো তার অভিভাবক, শুভাকাঙ্খী আর আত্মীয় ।
রাজ বলল "না, না ক্লাস তো এখুনি শেষ হল"
প্রায়ই ডাকেন এই ভাবে শ্রীরূপ তাকে; রাণীকে আসতে বলে, বিকেলে ক্লাবে টাবে গিয়ে তারা একসাথে চা-টা খায় । এমএসসি স্টুডেন্টদের প্র্যাকটিকাল ক্লাস জুনিয়র এক রিসার্চ স্কলারকে বুঝিয়ে দিয়ে রাজ বিরিয়ে এল সায়েন্সকলেজ থেকে | রাজ বলল "আসছি শ্রীরূপদা আধঘন্টার মধ্যে" গাড়ি করে রাস্তায় অনবরত ট্র্যাফিক সিগন্যাল আর ওয়ান ওয়ের চক্কোরে পড়ে ও রাজাবাজার সায়েন্সকলেজ থেকে মিন্টোপার্কে আধ ঘন্টার মধ্যে সে পৌঁছে গেল ডক্টর রায়ের ফার্টিলিটি ক্লিনিক । চেম্বারে ঢুকে স্তম্ভিত ।
একি তিথি না ? এক ঝলক তাকে দেখে নিয়েই জামাইবাবুর পার্সোনাল ঘরে ঢুকে গেল রাজ । সে তো ডাক্তার বাবুর পেশেন্ট নয় আত্মীয় । তাতে আবার একমাত্র শ্যালক । কিন্তু মনের ভেতর তিথি-প্রসঙ্গ তাকে খালি বিরক্ত করতে লাগল । কি ভারীক্কি চেহারা হয়ে গেছে তিথির । আগের সেই লালিত্য আজ অনুপস্থিত তার চেহারায় । তার দিদি রাণী তো মাত্র পাঁচ ছ' বছরের বড় তিথির চেয়ে, কিন্তু সে তো এমন বুড়িয়ে যায়নি । বরং মা হবার পর দিদির আরো রূপ হয়েছে, অনেকটা তাদের মায়ের মত দেখায় দিদিকে । মা এত সুন্দরী ছিলেন যেন বয়স মোটে বোঝা যেতে না মায়ের ।
তিথি আর তার স্বামী রণ সেই মূহুর্তে রাজের কৃপাপ্রার্থী । যেন রাজ অমত না করে , ডোনার হয়ে এ জন্মের মত তিথিকে মা হাওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত না করে । রাজ তো কিছুই জানেনা সেই মূহুর্তে ... আলাদা ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে জামাইবাবু শ্রীরূপদা তিথির সন্তানের ভ্রূণের জন্য স্পার্ম ডোনার হবার রিকোয়েস্ট করল ।
তার শ্রীরূপদার সাথে কথা বলে রাজ সেই ঘরের সংলগ্ন দরজা দিয়ে বেরিয়ে গাড়িতে ষ্টার্ট দিল । তখন গাড়ির রেডিও তে কোন একটা এফ এম চ্যানেলে বাজছে রাজের ফেভারিটা বাংলা ব্যান্ড ফসিলস এর গান "আমি কিছুতেই ভাববনা তোমার কথা বোবা টেলিফোনের পাশে বসে ... এই একলা ঘর আমার দেশ, আমার একলা থাকার অভ্যেস.... আর জ্যামে আটকে থাকা গাড়িটায় বসে বসে মনে হল দিদিকে একটা ফোন করি ।
তারপর দিদিকে বলল "বড্ড খিদে পেয়েছে রে, কিছু বানিয়ে রাখ দিদি, আজ তোর সাথে বসে চা খাব" রাণি বললে "কি খাবি বল চাইনিজ না কন্টি? তাহলে ক্লাবে ফোন করে দি, তোর শ্রীরূপদা আসার সময় নিয়ে আসবে"
রাজ বললে "না রে, আজ শুধু তোর হাতে বানানো লুচি আর আলুভাজা খাব, আর সাথে মচমচে করে ভাজা শুকনো লঙ্কা "
তিথির ততক্ষণে প্যালপিটেশন মাত্রা ছাড়িয়েছে । ক্লিনিকের এসিঘরের মধ্যে বসেও ঘামছে সে দরদর করে আর কিসের জন্যে যেন তার মনের চোখদুটি বেয়ে বয়ে চলেছে অবিরাম ধারা বর্ষণ ।
দিদির বাড়ি পৌঁছেই দিদির স্টাডিরুমে গিয়ে রাজ ল্যাপটপ অন করে দিল আর দিদি গেল লুচি ভাজতে । ট্যুইটারে, ফেসবুকে আর অর্কুটে রাজ সেদিনের স্টেটাস আপডেট করতে লাগল ।
কন্ট্রোল সি, কন্ট্রোল ভি.....কন্ট্রোল সি, কন্ট্রোল ভি, কন্ট্রোল এক্স....
use Internet Explorer -9 to view Bangla Font in Banglalive.