আর সরকার প্রযোজিত এবং অঞ্জন দত্ত পরিচালিত ” রঞ্জনা আমি আর আসব না ” ছবিটি একটি মিউজিকাল বা গীতিনাট্যের মত । স্টোরি লাইনটিও নিঁখুত আর নীল দত্তের পরিচালনায় এই সিনেমার গান আবার বহুদিন মনে রাখবে আশির দশকের সুরস্রষ্টা এবং গীতিকার অঞ্জন দত্তকে । ছবির দুটো ঝাঁ চকচকে দিক রয়েছে ; এক হল কলাকুশলীদের অভিনয় আর দুই হল নতুন শিল্পী সোমলতা আচার্যর রক সঙ্গীতে সাবলীলতা । উপরি পাওনা অতিথি শিল্পী মমতাশংকর এবং কবীর সুমনের উপস্থিতি । রঞ্জনার ভূমিকায় পার্ণো মিত্র তার অভিনয়ে, চালচলনে, এবং সর্বোপরি রকষ্টার রূপে নিজেকে মঞ্চে ঠিকঠাক চেহারার সাথে সাযুজ্য রেখে উপস্থাপন করেছে এবং আগামীদিনে বড় পর্দায় পার্ণো যে জ্বলজ্বল করবেন সে বিষয়ে সন্দেহ নেই । ২০০৮ এ মুক্তি পেয়েছিল হিন্দী মিউজিকাল ছবি রক-অন । কিন্তু তা বোধ হয় অনেক কাঁচা হাতের কাজ বলে মনে হয় । RAAAN দেখে মনে হল শুধুমাত্র বাণিজ্যিক সাফল্যের নিরিখেই ছবিটি বানাননি অঞ্জন দত্ত । ছবি বানানো তাঁর নেশা এবং সেখানে তাঁর বানানো সঙ্গীতকে ঠিকমত শ্রোতার কানে পৌঁছে দেবার জন্যই এই ক্রিয়েটিভ মানুষটি চেষ্টা করে চলেছেন । বেছে নিয়েছেন উপযুক্ত কলাকুশলীদের এবং সঙ্গীত শিল্পী সোমলতাকে যারা এই ছবিটির জন্য তাদের কেরিয়ারে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়তে পারবে ।
সিনেমাটি শুরু হয় অঞ্জন দত্তের অসাধারণ গায়কীতে মেইন টাইটেল ট্র্যাকটি ” রঞ্জনা আমি আর আসব না ” দিয়ে আর শেষ হয় সোমলতার প্রাণ উজাড় করে গাওয়া “তুমি আসবে বলে তাই ” গানটি দিয়ে । এই দুটি গানের জন্যই দর্শক ছুটে যাবে সিনেমা হলে …এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস । তবে রক সঙ্গীত বলতে আক্ষরিক অর্থে আমরা যা বুঝি তা “গানস এন্ড রোসেস”, “মেটালিকা” কিম্বা “ডেথ মেটাল” ব্যান্ডের মত হার্ড রক নয় । বাংলাভাষার ওপর পক্ষপাতিত্ব না করেই বলছি, অঞ্জন দত্ত এবং নীল দত্ত যে বাংলা রক সঙ্গীত যা সৃষ্টি করেছেন তা অনেক শ্রুতিমধুর এবং সংবেদনশীল ।
ছবির মুখ্য চরিত্র অবনী সেন যিনি বিগত ২৫ বছর ধরে দাপিয়ে মঞ্চে গেয়ে বেড়ান, দস্তুর মত নিজে গান লেখেন এবং সুর করেন । স্ট্যানলি ওরফে কবীর সুমন অবনীর মৃত পত্নীর দাদা । উঠে এসেছে সেই সম্পর্কের ভিত্তিতে এবং গান বাজনার সান্নিধ্যে অঞ্জন্- কবীর সুমনের চিরাচরিত বন্ধুত্বের দাবী । অবনী বেপরোয়া, উত্শৃঙ্খল, মদ্যপ এবং চেইন স্মোকার । ঠিক আর পাঁচটা ক্রিয়েটিভ রকষ্টারের মত । গান্, সুরা আর সিগারেট তার জীবন ঘিরে । আসন্নপ্রসবা স্ত্রীকে নার্সিংহোমে ভর্ত্তি করতে গেছিল মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে । যার ফল স্বরূপ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছিল স্ত্রী সহ শিশুটিকে । সেই থেকে অবনী নিজের চরিত্রকে সংশোধন করতে তো পারেননিই বরং তার হাতেই স্ত্রীর মৃত্যু বলে স্ত্রীর শোকে হয়ে উঠেছেন আরো লম্পট এবং বেপরোয়া গোছের । এরমধ্যে কনসার্টে গিয়ে উদ্বোধন সঙ্গীত শিল্পী রঞ্জনার সাথে যেচে আলাপ করেন । তাকে রেকর্ডিংয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, বাড়িতে থাকতে দিয়ে ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন যে তার সাথে গান নিয়ে কাজ করতে হলে দুটি সম্পূর্ণ পৃথক জীবন যাপন করতে হবে একটি হল যখনতখন তিনি মেয়েটিকে ভোগ করতে পারেন এবং অন্যটি গান নিয়ে এক্সপেরিমেন্টেশন । এদিকে রঞ্জনার এক মাসী ছাড়া আর কেউ নেই এবং নিজে গান লিখে বড় হবার আশা সে না করলেও অবনী তা প্রমাণ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ । কিন্তু অবনীর পার্সোনাল ইগো এবং নতুন শিল্পীর গানের লিরিককে ছোট করে দেখা, আর সর্বোপরি তার মনের কোণের প্রচ্ছন্ন বেদনা তার স্ত্রীকে হারানো এর টানাপোড়েনে মানুষটি ক্রমশ ক্ষিপ্র থেকে ক্ষিপ্রতম হয়ে ওঠে । যার স্বীকার হয় বাড়ির সার্ভেন্ট এলভিস ওরফে কাঞ্চন মল্লিক এবং নবাগতা রঞ্জনা ওরফে পার্ণো । প্রত্যহ আকন্ঠ মদ্যপান এবং তার সাথে ড্রাগস এর হাতে চলে যাওয়া অবনী সেন মানুষটির হঠাত হঠাত সংজ্ঞা হারানো এবং বাড়িতে আর কেউ না থাকায় রঞ্জনাও একসময়ে অবনীর প্রতি দয়াশীল হয়ে ওঠে । অবনী সে কথা বুঝতেও পারে আর মেয়েটিকে অযথা শারীরিক প্রলোভন দেখানোও বন্ধ করে । বরং তার লেখা গানের লিরিককে আরো উন্নত মানের করে তাতে সুর বসিয়ে কেমন করে ভালো করে গাওয়ানো যায় সেই কথাই অবনীর একমাত্র ধ্যান জ্ঞান হয়ে ওঠে । এই প্রসঙ্গে বলি “আমি বৃষ্টি দেখেছি” গানটিও বড্ড মিষ্টি লাগল শুনতে ।
অবনীর রকব্যান্ডের অনুষঙ্গ শিল্পীমন্ডলীর ভূমিকায় নন্দন বাগচী, প্রখ্যাত গিটারিস্ট অমিত দত্ত এবং লিউ হিল্ট ..এদের সকলের সাথেই রঞ্জনার গড়ে ওঠে একটা ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সম্পর্ক । রঞ্জনা এবং তার গান তরতরিয়ে উঠে চলে অবনীর হাত ধরে । পার্কস্ট্রীটে একটি নাইটক্লাবে অবনী নিয়ে গেল রঞ্জনাকে । পারফর্মেন্স হল কিন্তু দর্শক-শ্রোতার হাততালি কুড়োতে পারলনা সে । কিন্তু অবনী তাকে দমিয়ে দিল না । কলকাতার রাস্তায় বেরিয়ে গানকে কেমন করে গান করে তুলতে হবে কেমন করে মানুষের মনে ছাপ ফেলতে হবে এই সব খুঁটিনাটি শিক্ষায় রঞ্জনার হাতেখড়ি শুরু হল । রেকর্ড কোম্পানীর সি.ই.ও মিঃ বক্সী ( আবীর চ্যাটার্জি) একটি মাত্র গানের সিঙ্গল এলবাম ও প্রযোজনা করেন রঞ্জনার মত অনাম্নী নবাগতা রকস্টারের জন্য । স্টার আনন্দ চ্যানেলের দীপাণ্বিতা অবনীর অনুরোধে এবং কাকুতিমিনতিতে সেই এলবামের প্রোমোশানের ব্যবস্থাও করে দেয় শুধু অবনী সেনের একনিষ্ঠ ফ্যান বলে । এইভাবে অবনী সেন নামক নামী রকষ্টারের ছত্রছায়ায় বাড়তে থাকে রঞ্জনা নামে উদীয়মান রকশিল্পী । কিন্তু একএকসময় সহ্যাতীত হয়ে ওঠে মদ্যপ অবনীর স্বেচ্ছাচারিতা । রঞ্জনা আশ্রয় নেয় একটি মেটাল ব্যান্ডে এবং মনস্থ করে সেখানেই গান গাইবে । অবনীর লোকজন একটি মারপিটের মাধ্যমে ধরে আনে রঞ্জনাকে । এই মারপিঠটি বড্ড অহেতুক ও হাস্যকর লেগেছে ।
অবনী রকষ্টার হয়েও তার রবীন্দ্র প্রীতি থেকে সরে আসেন নি । সোমলতার কন্ঠে ” জাগরণে যায় বিভাবরী” গানটি আলাদা মাত্রা যোগ করেছে । মেটাল ব্যান্ডের ভোকালিষ্ট সানিকে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতে বলে তিনি প্রমাণ করলেন যে রবীন্দ্র সঙ্গীতে হাতেখড়ি না হলে বাঙালীর সঙ্গীতসাধনা অসম্পূর্ণ থেকে যায় ।
অবনীর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করেছে আরো দ্রুত । ইতিমধ্যে ডাক্তারের কাছ থেকে একঘন্টার জন্য ছুটি নিয়ে বন্ধু কবীর সুমনের সাথে দেখা করতে গিয়ে তাকে না দেখতে পাবার শকটি হজম করতে পারল না অবনী । সবশেষে এক কনসার্টে নাম দেবার পরও যেতে পারলনা অবনী । তখন তার শেষ সময় । রঞ্জনা সেই কনসার্টে ” তুমি আসবে বলে তাই ” গেয়ে মাত করছে । অবনীর শেষ নিঃশ্বাস পড়ল চিরকালের মত । রঞ্জনার দুচোখে তখন অন্তঃসলিলা ফল্গু নদীর ধারা । আজ যার জন্য সে এত বড় হয়ে উঠেছে সেই নামকরা অবনী সেন ততক্ষণে তাকে ছেড়ে বিদায় নিয়েছে ।
এইভাবে ছবির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একজন সঙ্গীত প্রেমীর সঙ্গীতশিল্পী হয়ে ওঠার পেছনে অনেক টানাপোড়েনের গল্প থাকে , থাকে অনেক জীবনযুদ্ধের করুণ কাহিনী । দর্শকাসনে বসে আমরা কেবল ঝকঝকে উপস্থাপনা দেখি, আলোর নীচে উদ্ভাসিতা শিল্পীটির আত্মপ্রকাশ আর নিজেকে ফুটিয়ে তোলার অদম্য চেষ্টা দেখি কিন্তু অনেককিছুই চাপা পড়ে যায় রূপোলী স্টেজ পারফর্মেন্সের ঝলকে যেগুলি সফল পরিচালক অঞ্জন দত্ত তুলে ধরেছেন “রঞ্জনা আমি আর আসবনা”য় । অন্যথায় একজন প্রথিতযশা শিল্পী কেমন করে উঠতি গায়িকাকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেবার নাম করে কেমন করে তার সুযোগ নেন সেটিও চমতকার ভাবে ফুটে উঠেছে ।
ছবির মুখ্য চরিত্র অবনী সেন যিনি বিগত ২৫ বছর ধরে দাপিয়ে মঞ্চে গেয়ে বেড়ান, দস্তুর মত নিজে গান লেখেন এবং সুর করেন । স্ট্যানলি ওরফে কবীর সুমন অবনীর মৃত পত্নীর দাদা । উঠে এসেছে সেই সম্পর্কের ভিত্তিতে এবং গান বাজনার সান্নিধ্যে অঞ্জন্- কবীর সুমনের চিরাচরিত বন্ধুত্বের দাবী । অবনী বেপরোয়া, উত্শৃঙ্খল, মদ্যপ এবং চেইন স্মোকার । ঠিক আর পাঁচটা ক্রিয়েটিভ রকষ্টারের মত । গান্, সুরা আর সিগারেট তার জীবন ঘিরে । আসন্নপ্রসবা স্ত্রীকে নার্সিংহোমে ভর্ত্তি করতে গেছিল মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে । যার ফল স্বরূপ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছিল স্ত্রী সহ শিশুটিকে । সেই থেকে অবনী নিজের চরিত্রকে সংশোধন করতে তো পারেননিই বরং তার হাতেই স্ত্রীর মৃত্যু বলে স্ত্রীর শোকে হয়ে উঠেছেন আরো লম্পট এবং বেপরোয়া গোছের । এরমধ্যে কনসার্টে গিয়ে উদ্বোধন সঙ্গীত শিল্পী রঞ্জনার সাথে যেচে আলাপ করেন । তাকে রেকর্ডিংয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, বাড়িতে থাকতে দিয়ে ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন যে তার সাথে গান নিয়ে কাজ করতে হলে দুটি সম্পূর্ণ পৃথক জীবন যাপন করতে হবে একটি হল যখনতখন তিনি মেয়েটিকে ভোগ করতে পারেন এবং অন্যটি গান নিয়ে এক্সপেরিমেন্টেশন । এদিকে রঞ্জনার এক মাসী ছাড়া আর কেউ নেই এবং নিজে গান লিখে বড় হবার আশা সে না করলেও অবনী তা প্রমাণ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ । কিন্তু অবনীর পার্সোনাল ইগো এবং নতুন শিল্পীর গানের লিরিককে ছোট করে দেখা, আর সর্বোপরি তার মনের কোণের প্রচ্ছন্ন বেদনা তার স্ত্রীকে হারানো এর টানাপোড়েনে মানুষটি ক্রমশ ক্ষিপ্র থেকে ক্ষিপ্রতম হয়ে ওঠে । যার স্বীকার হয় বাড়ির সার্ভেন্ট এলভিস ওরফে কাঞ্চন মল্লিক এবং নবাগতা রঞ্জনা ওরফে পার্ণো । প্রত্যহ আকন্ঠ মদ্যপান এবং তার সাথে ড্রাগস এর হাতে চলে যাওয়া অবনী সেন মানুষটির হঠাত হঠাত সংজ্ঞা হারানো এবং বাড়িতে আর কেউ না থাকায় রঞ্জনাও একসময়ে অবনীর প্রতি দয়াশীল হয়ে ওঠে । অবনী সে কথা বুঝতেও পারে আর মেয়েটিকে অযথা শারীরিক প্রলোভন দেখানোও বন্ধ করে । বরং তার লেখা গানের লিরিককে আরো উন্নত মানের করে তাতে সুর বসিয়ে কেমন করে ভালো করে গাওয়ানো যায় সেই কথাই অবনীর একমাত্র ধ্যান জ্ঞান হয়ে ওঠে । এই প্রসঙ্গে বলি “আমি বৃষ্টি দেখেছি” গানটিও বড্ড মিষ্টি লাগল শুনতে ।
অবনীর রকব্যান্ডের অনুষঙ্গ শিল্পীমন্ডলীর ভূমিকায় নন্দন বাগচী, প্রখ্যাত গিটারিস্ট অমিত দত্ত এবং লিউ হিল্ট ..এদের সকলের সাথেই রঞ্জনার গড়ে ওঠে একটা ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সম্পর্ক । রঞ্জনা এবং তার গান তরতরিয়ে উঠে চলে অবনীর হাত ধরে । পার্কস্ট্রীটে একটি নাইটক্লাবে অবনী নিয়ে গেল রঞ্জনাকে । পারফর্মেন্স হল কিন্তু দর্শক-শ্রোতার হাততালি কুড়োতে পারলনা সে । কিন্তু অবনী তাকে দমিয়ে দিল না । কলকাতার রাস্তায় বেরিয়ে গানকে কেমন করে গান করে তুলতে হবে কেমন করে মানুষের মনে ছাপ ফেলতে হবে এই সব খুঁটিনাটি শিক্ষায় রঞ্জনার হাতেখড়ি শুরু হল । রেকর্ড কোম্পানীর সি.ই.ও মিঃ বক্সী ( আবীর চ্যাটার্জি) একটি মাত্র গানের সিঙ্গল এলবাম ও প্রযোজনা করেন রঞ্জনার মত অনাম্নী নবাগতা রকস্টারের জন্য । স্টার আনন্দ চ্যানেলের দীপাণ্বিতা অবনীর অনুরোধে এবং কাকুতিমিনতিতে সেই এলবামের প্রোমোশানের ব্যবস্থাও করে দেয় শুধু অবনী সেনের একনিষ্ঠ ফ্যান বলে । এইভাবে অবনী সেন নামক নামী রকষ্টারের ছত্রছায়ায় বাড়তে থাকে রঞ্জনা নামে উদীয়মান রকশিল্পী । কিন্তু একএকসময় সহ্যাতীত হয়ে ওঠে মদ্যপ অবনীর স্বেচ্ছাচারিতা । রঞ্জনা আশ্রয় নেয় একটি মেটাল ব্যান্ডে এবং মনস্থ করে সেখানেই গান গাইবে । অবনীর লোকজন একটি মারপিটের মাধ্যমে ধরে আনে রঞ্জনাকে । এই মারপিঠটি বড্ড অহেতুক ও হাস্যকর লেগেছে ।
অবনী রকষ্টার হয়েও তার রবীন্দ্র প্রীতি থেকে সরে আসেন নি । সোমলতার কন্ঠে ” জাগরণে যায় বিভাবরী” গানটি আলাদা মাত্রা যোগ করেছে । মেটাল ব্যান্ডের ভোকালিষ্ট সানিকে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতে বলে তিনি প্রমাণ করলেন যে রবীন্দ্র সঙ্গীতে হাতেখড়ি না হলে বাঙালীর সঙ্গীতসাধনা অসম্পূর্ণ থেকে যায় ।
অবনীর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করেছে আরো দ্রুত । ইতিমধ্যে ডাক্তারের কাছ থেকে একঘন্টার জন্য ছুটি নিয়ে বন্ধু কবীর সুমনের সাথে দেখা করতে গিয়ে তাকে না দেখতে পাবার শকটি হজম করতে পারল না অবনী । সবশেষে এক কনসার্টে নাম দেবার পরও যেতে পারলনা অবনী । তখন তার শেষ সময় । রঞ্জনা সেই কনসার্টে ” তুমি আসবে বলে তাই ” গেয়ে মাত করছে । অবনীর শেষ নিঃশ্বাস পড়ল চিরকালের মত । রঞ্জনার দুচোখে তখন অন্তঃসলিলা ফল্গু নদীর ধারা । আজ যার জন্য সে এত বড় হয়ে উঠেছে সেই নামকরা অবনী সেন ততক্ষণে তাকে ছেড়ে বিদায় নিয়েছে ।
এইভাবে ছবির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একজন সঙ্গীত প্রেমীর সঙ্গীতশিল্পী হয়ে ওঠার পেছনে অনেক টানাপোড়েনের গল্প থাকে , থাকে অনেক জীবনযুদ্ধের করুণ কাহিনী । দর্শকাসনে বসে আমরা কেবল ঝকঝকে উপস্থাপনা দেখি, আলোর নীচে উদ্ভাসিতা শিল্পীটির আত্মপ্রকাশ আর নিজেকে ফুটিয়ে তোলার অদম্য চেষ্টা দেখি কিন্তু অনেককিছুই চাপা পড়ে যায় রূপোলী স্টেজ পারফর্মেন্সের ঝলকে যেগুলি সফল পরিচালক অঞ্জন দত্ত তুলে ধরেছেন “রঞ্জনা আমি আর আসবনা”য় । অন্যথায় একজন প্রথিতযশা শিল্পী কেমন করে উঠতি গায়িকাকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেবার নাম করে কেমন করে তার সুযোগ নেন সেটিও চমতকার ভাবে ফুটে উঠেছে ।
৫টি মন্তব্য:
২০০৮ এ মুক্তি পেয়েছিল জাভেদ আখতারের মিউজিকাল ছবি রক-অন
এটি সঠিক নয়। ছবিটির পরিচালক অভিষেক কাপুর...
Dear Indira
Kemon achho? Khub bhalo laglo tomar ei review poD-e.
Have a nice weekend
Saurangshu thanks for the information! i will correct this...
dhonyobad indira di,
valo laglo apnar review pore.tabe e prosonge amar ekti vinno mat ache---jemn prothomato anjan dutta nijer track theke beriye aste parenni.ami vison vabei anjaner fan.suru theke ses porjonto kebli mone hocchilo anjan dutter film emnii howar.2.chobir prothom portion arthat interval er age baddo jagakhicuri mone holo.anek kichu ek sange bojhate giye kemn jeno jat pakiye felechen mone hocche.tabe seser vagti satyii anobadyo.3.neel ke back korleo se kintu ebare ekebarei notun kichu dite parlo na bolei mone holo.bare bare jeno somlata r kanther ganer sur ba ei chobir music jeno madly bangalir kathai mone koriye dilo.
hyan seta amaro mone hoyechhe je Neel nijer creativity kichhu dekhai ni ebare ...tabe Music arrangement bhalo korechhe...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন