এতক্ষণে মহামান্য দেশ নেতাগণ নিশ্চয়ই ভাষণের জন্য প্রস্তুত। ভোরের আলো ফুটলেই বেরুবে প্রভাত ফেরী। বীরবিক্রমে কন্ঠনালী ফুলিয়ে গগনভেদী চিত্কার করে বাতাস ভারী করবেন সকলে । প্রচার মাধ্যমগুলি প্রতি পলে পলে স্বাধীনতার সংগীত, প্রতি দন্ডে দন্ডে স্মৃতিচারণ, সকালে স্বাধিনতা সংগ্রামের উপর তথ্যচিত্র তো বিকালে ছায়াছবি, প্রদর্শন করবে | কখনো বিরলকেশ,বর্ষীয়ান নেতাকে বহুকষ্টে উপস্থিত করে তাঁর স্বাধীনতা সংগ্রামের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা আমাদের পরিবেশন করবেন । শহীদ-স্মৃতি ফলক অচিরেই শ্বেত-পুষ্পের অবগুন্ঠনে চলে যাবে । ব্রিগেডের মৃত্তিকা পুষ্পবৃষ্টিতে ছয়লাপ হবেই, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শহীদমিনারের পাদদেশে লক্ষ মানুষ ভীড় করে নেতার জ্বালামুখী বক্তৃতা শুনবে, এতেও কোনও সন্দেহ নেই। সারাদেশের আকাশে বাতাসে স্বাধীনতার পাঞ্চজন্যের বজ্রনিনাদ অনুরণিত হবে আর ঠিক তখুনি তোলপাড় হবে আমাদের মত কিছু মানুষের মন। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগবে কেনই বা এই উত্সব? কি জন্য পেয়েছিলাম স্বাধীনতা? আমরা কি স্বাধীনদেশের যোগ্য উত্তরসুরী? ইত্যাদি, ইত্যাদি। হ্যাঁ, তাই তো সোশ্যালনেটে এমন কপচাচ্ছি। তবু দেখবেন বাবা, বুঝেশুনে কপচাবেন। ফেসবুক দেওয়ালেরও কান আছে কিন্তু। স্বাধীনতার অপব্যবহার করে কার্টুন ফারটুন ( বিশ্বাস করুন, খারাপ কথা আমি পারদ পক্ষে বলি না, বাক স্বাধীনতা নেই আমার ) আবার এঁকে না ফেলি! তুমি মহারাজ স্বাধীন হলে আজ, আমি আজ পরাধীন বটে!
আচ্ছা বলুন তো স্বাধীন হয়ে কি হল? নিজেই নিজের মন কে বলি, এই যে পাড়ায় পাড়ায় স্বাধীনতার ফ্ল্যাগ উড়ছে, সকলেরি এত স্বাধীনতা পালনের হিড়িক, এর তো একটা ইম্প্যাক্ট আছে না কি? স্বাধীনতা আমাদের জলভাত যে। যেখানে খুশি যেতে পারি, যা খুশি তাই করতে পারি, যা ইচ্ছে তাই বলতে পারি, যখন খুশি পুরোণো নোট বদল করে কেরামতি দেখাতে পারি। রাতারাতি আধার লিংক করার আদেশ দিতে পারি। কিন্তু পেরেও পারিনা। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন দেখাতে পারি কিন্তু অর্ধশিক্ষিত মানুষগুলিকে স্বাধীনতা দিতে পারি না। বিশেষত বৃদ্ধেরা যারা প্রযুক্তিগত ভাবে পিছিয়ে তারা দেহ রাখবার আগেও স্বাধীন হতে পারেন নি আজ। বরং উত্যক্ত হয়ে ব্যাপক বিশ্বায়নের ঊর্মিমালায় খাবি খেতে খেতে বাণপ্রস্থ নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে বাস করছে।
সমাজের অলিগলির দুষ্কৃতি, দুরাত্মা ? পেরেছি কি তাদের স্বাধীনতা খর্ব করতে?
সেই আলগা গায়ের মায়ের বাছা? তাকে কি দিয়েছি? মিড ডে মিলের লোভ দেখিয়ে বিশুদ্ধ বানান শেখাতে পেরেছি?
মোড়ের মাথার গম ভাঙ্গানোর দোকানে সেই ছেলেটার টিন ফিরিয়ে দিতে পেরেছি? টিন মানে আটার টিন নয় মশাই, তার টিন, তার মধুর কৈশোর অধরাই থেকে গেছে।
জানেন? আমার বেলাতেও দেখিনি। স্বাধীনদেশের রক্ষণশীল, একান্নবর্তী পরিবারের কন্যা সন্তানের স্বাধীনতা ছোটথেকেই ছেঁটেকেটে রাখা হয়। আমার বেলাতেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি ।ছাঁটা-কাটা স্বাধীনতার ঘেরাটোপে, শুল্ক বসানো সাজপোশাক, কর চাপানো বন্ধুনির্বাচন, আর খাজনা আরোপিত বাইরে বেরোনো মেনে নিয়ে লক্ষ্মী মেয়ে হয়েছি। হুঁ, হুঁ, বাবা, স্বাধীনতা দিলে মেয়েরা স্বেচ্ছাচারী হয়ে যায়।
আচ্ছা বলুন তো স্বাধীন হয়ে কি হল? নিজেই নিজের মন কে বলি, এই যে পাড়ায় পাড়ায় স্বাধীনতার ফ্ল্যাগ উড়ছে, সকলেরি এত স্বাধীনতা পালনের হিড়িক, এর তো একটা ইম্প্যাক্ট আছে না কি? স্বাধীনতা আমাদের জলভাত যে। যেখানে খুশি যেতে পারি, যা খুশি তাই করতে পারি, যা ইচ্ছে তাই বলতে পারি, যখন খুশি পুরোণো নোট বদল করে কেরামতি দেখাতে পারি। রাতারাতি আধার লিংক করার আদেশ দিতে পারি। কিন্তু পেরেও পারিনা। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন দেখাতে পারি কিন্তু অর্ধশিক্ষিত মানুষগুলিকে স্বাধীনতা দিতে পারি না। বিশেষত বৃদ্ধেরা যারা প্রযুক্তিগত ভাবে পিছিয়ে তারা দেহ রাখবার আগেও স্বাধীন হতে পারেন নি আজ। বরং উত্যক্ত হয়ে ব্যাপক বিশ্বায়নের ঊর্মিমালায় খাবি খেতে খেতে বাণপ্রস্থ নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে বাস করছে।
সমাজের অলিগলির দুষ্কৃতি, দুরাত্মা ? পেরেছি কি তাদের স্বাধীনতা খর্ব করতে?
সেই আলগা গায়ের মায়ের বাছা? তাকে কি দিয়েছি? মিড ডে মিলের লোভ দেখিয়ে বিশুদ্ধ বানান শেখাতে পেরেছি?
মোড়ের মাথার গম ভাঙ্গানোর দোকানে সেই ছেলেটার টিন ফিরিয়ে দিতে পেরেছি? টিন মানে আটার টিন নয় মশাই, তার টিন, তার মধুর কৈশোর অধরাই থেকে গেছে।
জানেন? আমার বেলাতেও দেখিনি। স্বাধীনদেশের রক্ষণশীল, একান্নবর্তী পরিবারের কন্যা সন্তানের স্বাধীনতা ছোটথেকেই ছেঁটেকেটে রাখা হয়। আমার বেলাতেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি ।ছাঁটা-কাটা স্বাধীনতার ঘেরাটোপে, শুল্ক বসানো সাজপোশাক, কর চাপানো বন্ধুনির্বাচন, আর খাজনা আরোপিত বাইরে বেরোনো মেনে নিয়ে লক্ষ্মী মেয়ে হয়েছি। হুঁ, হুঁ, বাবা, স্বাধীনতা দিলে মেয়েরা স্বেচ্ছাচারী হয়ে যায়।