আজ খুব ভোর থেকে উঠে দেখছি রাস্তাঘাট জলে থৈ থৈ । গত রাতের বৃষ্টি সারা শহরকে যেমন আপাদমস্তক ভিজিয়েছে, আমার মনের ঈশানকোণের জমে থাকা একফালি কালো মেঘও অবিরত বর্ষণ করে চলেছে । দুচোখের পাতায় বন্যা নেমে এসেছে । এক চোখে স্বপ্নের আনন্দাশ্রু আর একচোখে বিদায়ের কান্না । ভোরে উঠেছি, বৃষ্টি থেমেছে তখন । একটা টানা রিকশা নিয়ে জলের মধ্যে দিয়ে চলেছি । কেন তা জানিনা তবে এইটাই আমার এই মূহুর্তে সবচেয়ে ভাল লাগছে । আকাশ আমার মত মন খারাপ করে রয়েছে । বাতাসও গত রাতের বৃষ্টিতে ভারী হয়ে গেছে আদ্রতায় । শহরের কারো ভাল লাগছে না এত বৃষ্টি । আর আমার তো ভাল লাগছিল না বলেই এই ভোরে বেরিয়ে পড়া । রিকশাওয়ালাকে বললাম যত টাকা চাও তত দেব শুধু আমাকে পার করে নিয়ে চল অন্য কোথাও । জলের ওপর দিয়ে হাঁটলে তো অসুস্থ হয়ে পড়ব আর রিকশাওয়ালার ও এই মূহুর্তে প্রয়োজন কিছু অর্থের । সেই ভেবে আমার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া । আর জলের ওপর দিয়ে চললে জলের আওয়াজে আমার মনের একলা হবার , আমার মনখারাপের ভার আর থাকবে না; জল আর তার আশপাশের দৃশ্যাবলী আমাকে বেশ পার করে দেবে এই সময়ের খেয়া ।
কিন্তু ওরা চলে গেল । ওরা গেল ওদের ভালর জন্য । ওদের সকলের উন্নতির জন্য । আমাদের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য । দেশের কিছু কাজে লাগার জন্য । কাল বিকেলের রাজকীয় ট্রেনটি এসে যখন ইঞ্জিনটা লাগাল তার সামনে তখন আমরা পৌঁছে গেছি স্টেশনবাড়ি। মানের রেলগাড়ি থামে যেখানে, রেলগাড়ি ছাড়ে যেখানে । যখন ইঞ্জিন এসে রেলের সামনে লাগে তখন একটা বিকট আওয়াজ হয় আর সেই আওয়াজে আমার ভেতর থেকে উঠে আসে না বলা কান্নার দলা পাকানো সব শব্দমালারা । আমার মত আবেগ প্রবণের না যাওয়াই ভাল স্টেশনে কারোকে সি অফ করতে কিন্তু উপায়ও থাকেনা না গিয়ে । আমি কান পেতে রই ; রবিঠাকুরের গান শুনতে পাই মনের ভেতরে "বিদায় করেছ যারে নয়নের জলে" ; ইঞ্জিনের ক্যাঁচকোঁচ, হকারদের ক্যাচরম্যাচর আর ওদের কলকলানি । কিন্তু তবুও ওদের যেতে হবে এখুনি । ট্রেন ছেড়ে দিল কিছু পরেই । আবছা হয়ে গেল বাতানুকুল কোচের কাঁচের জানলা । একটা একটা করে মুখ গুলো সরে যেতে লাগল দৃষ্টির অগোচরে । একরাশ মন খারাপ , আর সেই সাথে ভার নিয়ে ফিরলাম বাড়ি ।
ওদের হাসি ওদের প্রাণ খুলে গল্প শুনে মনে হল ওরা ভাল ই আছে । ওরা ভাল থাক । ওরা আরো উন্নতি করুক । যাবার সময়ে ও বলল " মা তুমি কিন্তু কাঁদবে না, আমার জন্যে " আমি ওখান থেকে তোমার ওয়েব সাইটের কাজ করে দেব । আর স্কাইপ, জি-টক তো রইল । আর রইল আমাদের ফেসবুক , ট্যুইটার । কারোর মা তো এমন কাঁদে না । তুমি কেন কাঁদো মা ? আমি শুধু একটাই কথা বললাম । "ঠিক আছে আর কাঁদব না রে "
তখন সে বলল "না, না কেঁদো তুমি" । "আমার মা কাঁদে বলেই তো লিখতে পারে, আর কারো মা পারেনা "
আবার মনে পড়ে গেল রবিঠাকুরকে " আমার ব্যথা যখন আনে আমায় তোমার দ্বারে, তখন আপনি এসে দ্বার খুলে দাও ডাকো তারে "
আবার ওদের আসার সময় হবে । বর্ষা যাবে শরত আসবে , শরত যাবে শীত পড়বে । নতুন ধান কাটার সময় হবে । উত্তুরে হাওয়া দেবে। গাছের পাতা ঝরে যাবে । আবার ওরা চলে আসবে বাড়ি ।
কিন্তু ওরা চলে গেল । ওরা গেল ওদের ভালর জন্য । ওদের সকলের উন্নতির জন্য । আমাদের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য । দেশের কিছু কাজে লাগার জন্য । কাল বিকেলের রাজকীয় ট্রেনটি এসে যখন ইঞ্জিনটা লাগাল তার সামনে তখন আমরা পৌঁছে গেছি স্টেশনবাড়ি। মানের রেলগাড়ি থামে যেখানে, রেলগাড়ি ছাড়ে যেখানে । যখন ইঞ্জিন এসে রেলের সামনে লাগে তখন একটা বিকট আওয়াজ হয় আর সেই আওয়াজে আমার ভেতর থেকে উঠে আসে না বলা কান্নার দলা পাকানো সব শব্দমালারা । আমার মত আবেগ প্রবণের না যাওয়াই ভাল স্টেশনে কারোকে সি অফ করতে কিন্তু উপায়ও থাকেনা না গিয়ে । আমি কান পেতে রই ; রবিঠাকুরের গান শুনতে পাই মনের ভেতরে "বিদায় করেছ যারে নয়নের জলে" ; ইঞ্জিনের ক্যাঁচকোঁচ, হকারদের ক্যাচরম্যাচর আর ওদের কলকলানি । কিন্তু তবুও ওদের যেতে হবে এখুনি । ট্রেন ছেড়ে দিল কিছু পরেই । আবছা হয়ে গেল বাতানুকুল কোচের কাঁচের জানলা । একটা একটা করে মুখ গুলো সরে যেতে লাগল দৃষ্টির অগোচরে । একরাশ মন খারাপ , আর সেই সাথে ভার নিয়ে ফিরলাম বাড়ি ।
ওদের হাসি ওদের প্রাণ খুলে গল্প শুনে মনে হল ওরা ভাল ই আছে । ওরা ভাল থাক । ওরা আরো উন্নতি করুক । যাবার সময়ে ও বলল " মা তুমি কিন্তু কাঁদবে না, আমার জন্যে " আমি ওখান থেকে তোমার ওয়েব সাইটের কাজ করে দেব । আর স্কাইপ, জি-টক তো রইল । আর রইল আমাদের ফেসবুক , ট্যুইটার । কারোর মা তো এমন কাঁদে না । তুমি কেন কাঁদো মা ? আমি শুধু একটাই কথা বললাম । "ঠিক আছে আর কাঁদব না রে "
তখন সে বলল "না, না কেঁদো তুমি" । "আমার মা কাঁদে বলেই তো লিখতে পারে, আর কারো মা পারেনা "
আবার মনে পড়ে গেল রবিঠাকুরকে " আমার ব্যথা যখন আনে আমায় তোমার দ্বারে, তখন আপনি এসে দ্বার খুলে দাও ডাকো তারে "
আবার ওদের আসার সময় হবে । বর্ষা যাবে শরত আসবে , শরত যাবে শীত পড়বে । নতুন ধান কাটার সময় হবে । উত্তুরে হাওয়া দেবে। গাছের পাতা ঝরে যাবে । আবার ওরা চলে আসবে বাড়ি ।