টেমস নদীর বাতাস আজ বড়ই সুখকর । নদীতীরের শহর লন্ডনে আজ রাজবাড়ির "শাহী-বিবাহ" অনুষ্ঠিত হইতেছে । রাণীমা এলিজাবেথের বড়নাতির বিবাহ । মাতৃহারা নাতি রাজকুমার উইলিয়ামের সহিত তার ইউনিভারসিটির আটপৌরে সহপাঠিনী কেট মিডলটনের শুভ পরিণয়ে বাকিংহাম রাজপ্রাসাদের আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হইতেছে সানাইয়ের অণুরণন । সর্বত্র উড়িতেছে ইউনিয়ান জ্যাকের নীলে লালে শুভেচ্ছা বার্তা । দশ বছরের ঘনীভূত প্রেম আজ পূর্ণতা পাইতে চলিয়াছে । চারিদিকে সাজোসাজো রব । পৃথিবীর বিভিন্নপ্রান্ত হইতে নিমন্ত্রিত রাজদূতেরা আসিয়াছেন । উপস্থিত পাঁচশত সংবাদগ্রাহকেরা । যাঁরা রাজকীয়তাকে অতি রাজকীয় করিবার জন্য আসিয়াছেন । রাজবাড়ির পারিবারিক সমারোহে মোট দুই বিলিয়ন দর্শক উপস্থিত হইয়াছেন । নবজীবনে প্রবেশের ঠিক পূর্ব মূহুর্ত্তে রাজকণ্যা সকলকে হাত নাড়িয়া অভিবাদন জানাইয়াছেন গতকাল যখন সে আইবুড়ো ভাত খাইতে ছিল সেই ফাঁকে পাত্র উইলিয়াম তার বন্ধুদের সহিত দক্ষিণ লন্ডনের ব্যাটার্সি পার্ক-প্রাঙ্গণে ফুটবল খেলিয়াছে ।
বিমাতা ক্যামেলিয়া তা জানিয়া প্রমাদ গনিলেন " বিবাহের প্রাক্কালে কি প্রয়োজন খেলিবার্? "
উপর হইতে গর্ভধারিনী স্বর্গতঃ ডায়না হুঙ্কার ছাড়িয়া কহিলেন " উহুঁ উ উ! না বিয়াইয়া কানাইয়ের মা আইলেন !" আশীর্বাদ করিলেন " আহা ! উহারে একটু খেলিতে দাও! বিবাহের পর যে কিরূপ রাজকীয় মুষিক-দৌড় শুরু হইবে ! না জানি আমার ভাবী পুত্রবধূ উইলিয়ামের নাসিকায় দড়ি লাগাইয়া কতকিছু করাইবে!"
"জানা আছে ! পনের বত্সরের পুত্রটিকে তো ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলে , এতদিন তো এই আমিই ছিলাম তাহার সাথে; সেন্ট এন্ড্রুজ ইউনিভার্সিটি যাইবার সময় তাহার সেলফোন, রুমাল, টাই , ওযালেট আগাইয়া দিলাম । তাহার শুভ পরিণয়ের সংবাদ পাইবামাত্র চার্চে গিয়া বাতি দিলাম । এত বিশাল ঝক্কি সব একাহাতে সামলাইলাম আর উনি এখন উপর হইতে ফাঁকা মাঠে গোল দিতেছেন " উইলিয়াম-বিমাতা কহিলেন
ডায়না বলিলেন " এ আর এমন কি ! "" রাজমাতা যদি সমর্থ হইতেন একা হাতে এই যজ্ঞ্যি সামালাইবার ক্ষমতা রাখিতেন" ক্যামিলিয়া বলিলেন " হ্যাঁ, তাঁর তো বাতজবেদনা আর ক্ষণেক্ষণে স্মৃতিভ্রম বর্তমানে, আর আজকাল রাজবাড়ির দাসদাসীরাও পূর্বের মত নাই । অতএব ফ্যাশন ডিজাইনার হইতে ভূষণ-পালিশ, সসেজের মশলার অনুপান হইতে কেকের ব্যাটার সবকিছুই আমাকে দেখিতে হইতেছে । তোমার কনিষ্ঠ পুত্র হ্যারি তো বধূমাতা কেটের ভগিনী পিপার পিছনে ছোঁক ছোঁক করিতেছে । কোনো কাজেই সে লাগিল না । আর তোমার আমার সাধারণ পতিদেব চার্লস মহাশয় তো বার্ধক্যের কারণে কিংকর্তব্যবিমূঢ় ! তিনি শুধু একটি কাজই করিতে পারেন । পানশালায় অতিথিদের ঠিকমত পানসামগ্রীর দ্বারা আপ্যায়ন হইতেছে কিনা আর এক আধ সুরাপাত্র চুক চুক করিয়া চুমুক দিয়া আমাকে আসিয়া ঘ্ন্টায় ঘন্টায় চুম্বন করিয়া চলিয়া যাইতেছেন । "
ডায়না বলিলেন " এ আর নতুন কথা কি ? আমি থাকিলে এতটা না বাড়িলেও তাঁর ছোটপুত্রের মত তোমার পিছনে ছোঁক ছোঁক করিতেন ইহা তো সর্বজনবিদিত ।আমি কি সাধে পলায়ন করিয়াছিলাম ! ডোডির সাথে না পালাইলে আমার জীবন দুর্বিসহ হইয়া উঠিত এতদিনে " যাক আজ আমার গর্ভের প্রথম সন্তানের বিবাহ ; এসব অলুক্ষুণে কথা বলিব না "
এতক্ষণে রাজবাটির দাসদাসীগণ বাকিংহাম প্যালেস হইতে গায়ে হলুদের তত্ত্ব লইয়া ওয়েষ্টমিনস্টার এবে অভিমুখে যাত্রা করিয়াছে । বধূমাতার গোলাপী গাউনের সহিত জরির ফিতা বাঁধিয়া, শ্যানেল এইট শিক্ত করিয়া ; রৌপ্য রেকাবে হীরক খচিত ব্রোচ, বিবিধ মণিমুক্তার অঙ্গুরীয় , রতনচূড়, মানতাশা, ইত্যাদি অলঙ্কার লইয়াছে । কেহ বহন করিতেছে তাহার কেশ সামগ্রী । কেহ তাহার প্রিয় খাদ্য । বাকিংহাম প্রাসাদের প্রহরীগণ উচ্ছ্বসিত । নতুন লাল পোশাক পাইয়াছে সাথে নতুন কালো লোমের টুপিও । রাণীর সভাকবি ক্যারল এন ড্যাফি "রিং" নামক বিবাহের কবিতা লিখেয়াছেন । দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রীটের ল্যারি নামক বিড়াল ক্যাবিনেটের টেবিলে বসিয়া বিবাহ দেখিতেছে । সেও রাজবাড়ি হইতে গলায় বাঁধিবার ইউনিয়ান জ্যাক ভূষিত ডিজাইনার বো উপহার স্বরূপ পাইয়াছে । বিবাহ সহ দীর্ঘায়িত অবকাশের সপ্তাহ শেষে লন্ডনের নরনারীগণের ফূর্ত্তি লক্ষ্য করা যায় পথিপার্শ্বের পানশালাগুলিতে । ফোয়ারা ছুটিতেছে সিঙ্গলমল্ট হুইশকির ; স্রোতের মত শ্যাম্পেন বহিতেছে । বিয়ারের ঝর্ণায় সিক্ত হইতেছে হোটেলগুলির কার্পেট । বিয়েবাড়ির ভোজনশালায় নানা রকমের কেকবেকিং হইতেছে । রাজকীয় "হগ-রোস্টের" ম্যারিনেশন পর্ব চলিতেছে । একদিকে রাজকীয় বার্বিকিউয়ের ব্যবস্থা হইয়াছে ।
জনা পঞ্চাশ রাষ্ট্রপ্রধান এবং দুইহাজার নিমন্ত্রিত অতিথির পদার্পণ হইয়াছে । মহিলা অতিথিদের টুপির বৈচিত্র্যে বিবাহালয় বৈচিত্রময় হইল । কাহারো মস্তকে একগুচ্ছ গোলাপের চূড়া । কাহারো পাখির বাসার মত লিলিফুলের বেড়া, কাহারো আবার জরির প্রজাপতি । কেউ আবার রংবেরংয়ের পালক সাজাইয়াছেন মস্তকে । এদিকে লন্ডনের বাসন্তী মেঘলা আকাশ; ড্যাফোডিল ও ফুটিয়াছে । দু এক ফোঁটা বৃষ্টিও পড়িয়াছে উহার পাপড়িতে । আম জনতা পথ-উতসবে সামিল হইয়াছে । কেহ শিবিরে আশ্রয় লইয়াছে , নবদম্পতির মঙ্গল কামনা করিতেছে । অবশেষে রোলসরয়েসে চাপিয়া রাজপুত্র লাল পোশাকে অবতরণ করিল । সাথে বরকর্তা কনিষ্ঠভ্রাতা হ্যারি । রাণীমা আসিলেন ডিউক অফ এডিনবরা , ফিলিপের সাথে । ভ্রূযুগল ঈষত্ কুঞ্চিত । তাঁর পুত্র চার্লস সস্ত্রীক উপস্থিত হইলেন । কিন্তু বিবাহের বধূর দেখা নাই । ভোর ছয় ঘটিকায় শুরু হইয়াছে তাহার কেশ পরিচর্যা । পাঁচজন বিশেষ কেশ বিশারদ আসিয়াছেন ।
রাণী এলিজাবেথ বলিয়া উঠিলেন " ঐ কেশই তাহার কাল হইল; আমার বা উহার শাশুড়ি ডায়নার এরূপ তো দেখি নাই । আমাদের সময় এরূপ হইত না । ঐ জন্যই বলিয়াছিলাম উইলিয়ামকে " যেমন-তেমন ঘর হইতে রাজবাটীতে মেয়ে ঢুকিলে সমস্যা হয় ! অমন প্রেম ঘনিষ্ঠতায় পূর্ণতা না পাইলেই নয়? তা পৌত্র আমার শুনিল না "
চার্লস বলিল " আহ্, থাম না মা! যা হইয়াছে ভালোই তো " রাণী ক্রুদ্ধ হইয়া বলিলেন " মনে আছে ? আজি হতে তিরিশ বত্সর পূর্বে তোমারেও বলিয়াছি এতসব, তুমি শুনিলে না , দেখিলে তাহার পরিণতি" চার্লস হালকা হেসে বলিল " থাক না মা আজ ওসব কথা "
এরূপ বচসা হইতে হইতে যীশুর মন্দিরে পিতার হাত ধরিয়া প্রবেশ করিলেন রূপবতী কেট-কুমারী । সর্বশুভ্রা । মস্তকে হীরের টায়রা পরিয়া এলোচুলে । কানে হীরের দুল, গলায় হীরের ফুলফুল হার ।শুভ্র ফুল্ল কুসুমিত অর্কিড হস্তে ; মুখ শুভ্র লেসের কারুকার্য করা উড়নিতে আচ্ছাদিত । ছিদ্র দিয়া সব দেখিতে পাইতেছেন কিন্তু তাহাকে কেহ স্পষ্ট দেখিতেছে না । সাদা ঘাগরার পিছনে যত্সমান্য রেশমী রেল । দেখিয়াই রাণি জ্বলিয়া উঠিলেন ।
রুমালে চশমা মুছিয়া ভালো করিয়া দেখিলেন আর ফিলিপকে বলিলেন " আমি এত ঘটা করিয়া দ্বিপ্রাহরিক আহারের বিশেষ ব্যবস্থা করিলাম । আর আমার নাত-বৌ এর দাম দিল না ! বেনা ঘাসের অরণ্যে মুক্তা ছড়াইলাম ! হায় যীশু, তুমি কোথায়?"
ফিলিপ বলিলেন " আহা, অত অধৈর্য্য হইলে চলিবে রাণী? অধুনাকালের পাত্রী, দিন বদলাইয়াছে । উহারা এখন বৈদ্যুতিন যুগ দেখিয়াছে । ফেসবুক করিতেছে । কত কত ডিজাইনারের পোশাক দেখিয়া শুনিয়া বানাইয়াছে । নতুন প্রজন্মের নরনারী এরা । তোমার সহিত তুলনা করিলে সংঘাত হইবে। চক্ষু মুদিয়া যীশুর প্রার্থণা কর । রাণি ভুলিবার নয় । বলিলেন " এমন জানিলে! অত মূল্যবান খাঁটি সোনার হীরের অঙ্গুরীয় উহাকে না দিলেই হইত ! বানাইয়া দিলাম আমি "
বিবাহ শুরু হইল । চার্চের আকাশ বাতাস ঘন্টাধ্বনিতে অণুরণিত হইল মেপলগাছের পাতাও শুনছে সেই শব্দ । বিউগ্ল বাজিতে শুরু হইল । সুরের মুর্ছনায় চার্চ মুখর । ক্যান্টারবেরী চার্চের ডিনের মধ্যস্থতায় কেটের পিতা সম্প্রদান করিলেন । দুই হস্ত এক হইল । উইলিয়াম কেটের পাণিগ্রহণ করিলেন । কেটের চোয়াল দৃঢ় হইল । শপথ নিলেন বর-কনে । সম্মিলিত প্রার্থনা সঙ্গীত হইল । ফিলিপ পৌত্রবধূর গর্বে গর্বিত পিতামহ ।
রাণিকে বলিলেন " দেখিলে রাণি? তুমি নাত-বৌয়ের নিন্দা করিতেছিলে , তোমার পুত্রবধূ স্বর্গীয় ডায়ন র জন্য যে শপথ বাক্য " তোমার সকল আদেশ মানিয়া চলিব " পরিবর্তন করিতে হইয়াছিল , আমাদের নাত-বৌ কিন্তু লক্ষীমেয়ের মত অবলীলাক্রমে তাহা উচ্চারণ করিয়া ফেলিল । দেখ এ আমাদের দেখিবে । সেবা করিবে । বড় বাধ্য মেয়ে । আমি উহার পিতামাতাকে জানাই"
রাণী বলিলেন " সাধে কি বলে পুরুষের বুদ্ধি ! কদাপি মেয়ের প্রশংসা করিবে না, নতুন কুটুম মাথায় চড়িয়া বসিবে" রাজবাড়ি প্রবেশ করুক তাহার পর যা বন্ধন দিবার আমি দিব । ভবিষ্যতের রাণী হইবার যোগ্যতা অর্জন করিতে হইবে না ? আমার যা শরীরের অবস্থা ! আমার উত্তরসুরীকে আমি স্বহস্তে লালন করিব "
চার্লস বলিলেন " মা, দেখ ডায়নাকে কেমন ধরিয়াছিলাম ! কেমন দীর্ঘকায় হইয়াছে আমার উইলিয়াম , বেশ মানাইয়াছে তাকে দীর্ঘাঙ্গী কেটের পার্শ্বে"
এলিজাবেথ বলিলেন " বাহ্, তুই না হয় নাতিদীর্ঘকায় , ভুলিয়া গেলি তুই কাহার পুত্র? তোর পিতার উচ্চতার জিনটি পাইয়াছে আমার নাতি "
কলহের অবসান হইল । রাজরক্ষী আসিয়া রাণিকে গাড়িতে উঠিতে বলিলেন । দুধে আলতা পায়ে নতুন বধূ লাল কার্পেটের উপর দিয়া চলিয়া চার্চের বাহিরে আসিল এবং ১৯০২ সালের প্রাচীন ঘোড়ার গাড়ি করিয়া বাকিংহাম রাজপ্রাসাদ অভিমুখে যাত্রা করিলেন ।
রাজবাড়ির বারান্দায় , পোর্টিকোয়, অলিন্দে চিলেকোঠার ছাদে এয়োস্ত্রীরা গল্পে, আলাপে আলোচনায় কত রঙ্গতামাশা করিতেছে ।
একজন বলিল " মডেলিং করা মেয়ে , দেখ আবার এ কেমন তর হয় ! "
কেউ বলিল " " উইলিয়ামের কপালটা তার বাবার মত না হইলেই হয় , বিয়ের তারিখ দুজনের্ই ঊনতিরিশ "
একজন স্মিত হাসিয়া বলিল " ইহারা নতুন প্রজন্মের বরকনে । দশ বছর ধরিয়া বাজাইয়া লইয়াছে "
অন্য একজন খলখল করিয়া বলিয়া উঠিল " থামো থামো , মাঝে তো একবার ছাড়াছাড়িও তো হইয়া গেছিল"
আরেকজন তো বলিয়া বসিল " কেনিয়ার গহন অরণ্যে তো সব হইয়া গেছে আজকের অনুষ্ঠান তো প্রহসন মাত্র ।
এক রাজদাসী আসিয়া সংবাদ দিল " আসুন আপনারা বরকনে আসিয়া গেল্, উলু দিন, শঙ্খ বাজান"
শ্যাম্পেন্-বৃষ্টি-ফোয়ারায়, হৃদয় বেলুন আকাশে উড্ডীয়মান । লন্ডনের বসন্তে ড্য্যাফোডিল ফুটুক না ফুটুক শুভ পরিণয় সমাপ্ত হইল নিরাপদে । রাজ বারান্দা তখন চুম্বনময় !
গুরুচন্ডা৯ ই-ম্যাগাজিনের কূটকাচালি বিভাগ( ৩রামে, ২০১১) তে প্রকাশিত
গুরুচন্ডা৯ ই-ম্যাগাজিনের কূটকাচালি বিভাগ( ৩রামে, ২০১১) তে প্রকাশিত
২টি মন্তব্য:
ইন্দিরা দী'
সোনার তরীসহ খোয়াব,দেয়ালা, কনিকা'র লিঙ্কগুলো আমি আমার জনপ্রিয় সাইট মিডিয়া মাস্টার (http://sabmediamaster.blogspot.com/)-এ দিয়েছি এবং আমার মাসিক ই-ম্যাগাজিন ক্রন্দসী'তেও http://krondosee.blogspot.com/)বিজ্ঞাপন আকারে দেবো আগামী জুন সংখ্যায়। আপনিও আমার ক্রন্দসী'র বিজ্ঞাপন যদি সোনার তরীতে দেন, খুশি হব।
আমি ৮০ দশকে ভারতের বিভিন্ন লিটল মাগ ও পত্রিকায় লিখতাম। আমারও একটা পত্রিকায় (চলমানে)অনেকেই লিখতো। রেবাঘোষ কাব্যভারতীর নাম এখন ভুলিনি।
Indira, PoRite poRite London e pouchhaiya giyachhilam o jothartho rupe bibaho anushthaner shorik hoitechhilam.Tomar likhibar koushalti bhari manograhi. Shubhecha thakilo.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন