" যদি মন মেঘলা দিনে ওড়ায় নিজের মন পাখীকে?' অথবা "যদি মন গড়িয়াহাটে চৈত্র সেলে ফ্রকের ঝুলে?'
মনে পড়ে রূপঙ্করের সেই বিখ্যাত গান? আর হ্যাঁ, বছরের এই একটা সময় যদি মন আস্কারা পায় যখন তখন মাথায় চড়ে হাত পা ছোঁড়ে। চৈত্রসেলের জন্য । ভিনরাজ্যে গিয়ে থেকে তো দেখেছি । এই চৈত্তসেলের জন্যে ফাগুণ পড়তেই মন কেমন উশখুশ করে! আনচান করে। এমন সেলের পসরা কোথাও দেখিনি আমি ।
সেবার সেই বাম জমানায় সুভাষ চক্কোত্তির তাড়ায় অপারেশন সানশাইনের কবলে পড়ে রাতারাতি গড়িয়াহাট খালি। ফাগুণে সে বিরহব্যথা যে কি জিনিষ তা আমি হাড়েহাড়ে বুঝেছিলাম । কোথায় বাবার পায়জামার দড়ি! কোথায় গেল জামাকাপড় শুকোনোর ক্লিপ্! কোথায় পাই আমার সাধের জাঙ্ক জুয়েলারি, টিপ-ক্লিপ আর কুশন কভার? আর পয়লাবৈশাখে বাড়ির দোরে নতুন ডোরম্যাট? কিনব না? বলুন ত? সব চাই যে আমাদের এই চৈত্রেই।
পথেঘাটে প্রাক্বৈশাখী প্রস্তুতি। চাদ্দিকে চৈত্তসেলের হাতছানি। নানান অফার বর্ষবিদায়ের আনন্দে। এক চিত্র গড়িয়াহাটার মোড়ে, হাতিবাগানের ধারে কিম্বা নিউমার্কেটের আশেপাশে । বছরের বস্তাপচা জিনিষ পত্তরের স্টক ক্লিয়ারেন্স সেল। কোথায় লেডিজ প্রিমিয়াম টপস "বাই ওয়ান, গেট ওয়ান' । কুর্তা, কুর্তি কেপরি, প্যালাজোয় প্রচুর ছাড় । কারে ছেড়ে কারে ধরি! আনারকলি, নূরজাহান সকলেই আছেন এক ছাদের নীচে। শুধু অপেক্ষা পার্স খোলার।
পোলকা ডটের কুশন কভার, হালকা-পুলকা কস্টিউম জ্যুয়েলারি, প্যাস্টাল শেডের সুদৃশ্য বেডস্প্রেড এমন কি গৃহসজ্জার দৃষ্টিনন্দন আর্টিফ্যাক্টসও। বুদ্ধ-গান্ধী-বিবেকানন্দ সকলেই উপস্থিত! সখের পোশাকী চটি জোড়া থেকে গুরুগম্ভীর স্নিকার্স, রান্নাঘরের ঘটিবাটি থেকে ময়লা ফেলবার ভ্যাট। সবেতেই সেল ।
কি ভালো আমার সেই হকার ভাইদের অমায়িক আমন্ত্রণ ! থরে থরে সাজানো সেলের পসরা। আর মধ্যে মধ্যে গলা ফাটিয়ে চীৎকার। মাঝবয়সী একজন আমাকে এখনো বৌদি বলে ডাকে। একবাক্যে জিনিষের দাম আর্ধেক করে হাসিমুখে বলে, নিয়ে যান, পরে দাম দেবেন। এত আন্তরিকতা কোথায় পাব বলুন ত ? তাই ওদেরি আমার এত পছন্দ।
মায়ের জন্য ফাইন মলমলের ফুল ফুল ছাপাশাড়ি আর শ্বশুরমশাইয়ের হাফপাঞ্জাবি না হয় কিনলাম দোকান থেকে। তাই বলে নিজের হাউসকোট কিম্বা কাজের মেয়ের ম্যাক্সি? কক্ষণো নয়। বেঁচে থাক আমার ফুটপাথ! আমার প্রাণের মাঝে চলে গেলে আর পাব না তারে। আর ওখানে কেনার চার্মটাই আলাদা! কত্ত চয়েস! কত্ত আন্তরিকতা হকার ভাইদের! এদের চাকরীবাকরী জোটেনি তাই হকার দলে নাম লিখিয়েছে এরা। এই আমিও ত টুকটাক লিখি আর টিউশানির পয়সায় আমার গুড টাইমপাস করি চৈত্র সেলে ।বড়বড় দোকানের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত উইন্ডোয় চোখ রাখি আর উইন্ডো শপিং করি। কিন্তু কিনি ফুটপাথ থেকে। আমার হকার ভাইটিও বি এ পাস করে হকার হয়েচে। গর্বের সঙ্গে বলে সে। তাই আমি এদেরকেই পেট্রনাইজ করি। আমার এই হকার ভাইকেই খুব দরকার এই চৈত্তসেলে, কুর্তির ঝুলে। এইজন্যেই তো পড়ে রইলাম কলকাতায়। ম্যাটিনি শোয়ে সিনেমা দেখে লেবু চা খেয়ে বিকেলে নন্দন চত্বরে কবিতা পড়ব আর ফেরার পথে সেলের পসরায় ঢুঁ মারব একটিবার। এই ত জীবন।
এই শহরটার জন্মলগ্নে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৃহস্পতি তুঙ্গে জানেন তো? তাই কর্তা অফিস ফেরত নামেন বালিগঞ্জ স্টেশনে, গিন্নী নামেন গড়িয়াহাটে। তারপর ছুঁচোয় ডন বৈঠক দেওয়া পেটে ঐ ফুটপাথের এগরোল কিম্বা চাউমিন, মোমো কিম্বা ফিশফ্রাই সাবাড় করে চৈত্তসেলে পথ পেরোন তাঁরা। আহা কি আনন্দ তখন সেই পথ চলায়! যিনি মেট্রো করে নামেন রাসবিহারী তাঁর জন্য আছে রাসবিহারীর বিস্তীর্ণ দুপারের প্লাসটিক বালতি, মেলামিনের বাসন থেকে কাটগ্লাসের সুরাপাত্র, বাথরুম সেট, পুরণো ম্যাগাজিন থেকে পাইরেটেড সিডি, রেডিমেড ব্লাউজ, সায়া থেকে শার্ট-প্যান্টের পিসে ঢালাও সেল। কি চাই! রাসবিহারীর মোড় থেকে রসা রোডের দিকে কালীঘাট পেরিয়ে হাজরা আর এপাশে দেশপ্রিয় পার্ক পর্যন্ত সেলে ডুবে আছে মহানগরী। ভেতরের জামা, বাইরের জামা, পর্দার কাপড় সবেতেই সেল। গয়নার মজুরি ফ্রি। আবার সোনা কিনলে সম ওজনের রূপো ফ্রি! ভাবা যায় এইআসন্ন পয়লা বৈশাখে চৈত্র সেলের কি মহিমা?
ওদিকে গেরস্ত বঙ্গললনার এখন টেলিভিশনে মাস্টারশেফ দেখেবড় সাধ জাগে একবার কন্টিনেন্টাল বানানোর। বিশ্বায়নের ঢেউ লাগা রাস্তার আনাচেকানাচে এখন বাটন মাশরুম থেকে বেবিকর্ণ, সুইট কর্ণ থেকে ব্রকোলি, তেরঙ্গা সিমলা মির্চ কি না পাওয়া যায়!
কেউ নামেন শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনে। তাঁর গার্ল ফ্রেন্ড হয়ত কলেজ ফেরত আসেন সেথায়। তারপর শুরু হয় সেল পরিক্রমা। আদিগন্ত হাতীবাগান জুড়ে সেল, সেল, সেল।
আর সে যুগে যারা স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের অমোঘ বাণীকে পাথেয় করে ব্যবসায় নেমেছিলেন তাদের দোকানে হাহুতাশ! নিউমার্কেটে তারা নাকি অবস্থান করছেন হকারদের বিরুদ্ধে। আরে বাবা ! বোঝেনা সে বোঝেনা। তার বাপ-ঠাকুরদার এদ্দিনের ব্যাবসাপাতি নাকি হকারদের কল্যাণে লাটে ওঠার উপক্রম! ক্রেতা বলেন যেখানে সস্তা পাব, সেখানে যাব। বিক্রেতা বলেন এসি দেব, জিএসটি নেব, রসিদ দেব। আর নেতা বলেন হকার আমার মাটি। হকার আমার ভোট। হকার আমার ভাগ্যনিয়ন্তা। "সবার ওপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই".... চন্ডীদাসের অমোঘ বাণী । সুভাষবাবুর অপারেশন সানশাইনের পর হকার পুনর্বাসন হয়েছিল। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি জানেন? কেউ যায়নি নতুন বাড়িতে। ক্রেতা খোঁজে সস্তার জিনিষ। বিক্রেতা চায় বিকোতে। কারণ এ শহরে শিল্পের জোয়ার আসেনি তেমন করে। তাই ইকনমিক গ্রোথ নেই । তাই ক্রয় ক্ষমতা বাড়লনা বোধহয়। তাই ফুটপাথেই উঁকিঝুঁকি আর হাতড়ে মরা সাধের জিনিষগুলোর জন্যে।
ওদিকে উঁচু উঁচু শপিং মলের বাতানুকুল বায়ুমন্ডলে ম্যানেকুইন ডুকরে কাঁদে। পথিক আসে দর্শক হয়ে। চোখ বুলায়, হাত বুলায়। পিছন পানে চায়।
যুগশঙ্খ "রবিবারের বৈঠক"
মনে পড়ে রূপঙ্করের সেই বিখ্যাত গান? আর হ্যাঁ, বছরের এই একটা সময় যদি মন আস্কারা পায় যখন তখন মাথায় চড়ে হাত পা ছোঁড়ে। চৈত্রসেলের জন্য । ভিনরাজ্যে গিয়ে থেকে তো দেখেছি । এই চৈত্তসেলের জন্যে ফাগুণ পড়তেই মন কেমন উশখুশ করে! আনচান করে। এমন সেলের পসরা কোথাও দেখিনি আমি ।
সেবার সেই বাম জমানায় সুভাষ চক্কোত্তির তাড়ায় অপারেশন সানশাইনের কবলে পড়ে রাতারাতি গড়িয়াহাট খালি। ফাগুণে সে বিরহব্যথা যে কি জিনিষ তা আমি হাড়েহাড়ে বুঝেছিলাম । কোথায় বাবার পায়জামার দড়ি! কোথায় গেল জামাকাপড় শুকোনোর ক্লিপ্! কোথায় পাই আমার সাধের জাঙ্ক জুয়েলারি, টিপ-ক্লিপ আর কুশন কভার? আর পয়লাবৈশাখে বাড়ির দোরে নতুন ডোরম্যাট? কিনব না? বলুন ত? সব চাই যে আমাদের এই চৈত্রেই।
পথেঘাটে প্রাক্বৈশাখী প্রস্তুতি। চাদ্দিকে চৈত্তসেলের হাতছানি। নানান অফার বর্ষবিদায়ের আনন্দে। এক চিত্র গড়িয়াহাটার মোড়ে, হাতিবাগানের ধারে কিম্বা নিউমার্কেটের আশেপাশে । বছরের বস্তাপচা জিনিষ পত্তরের স্টক ক্লিয়ারেন্স সেল। কোথায় লেডিজ প্রিমিয়াম টপস "বাই ওয়ান, গেট ওয়ান' । কুর্তা, কুর্তি কেপরি, প্যালাজোয় প্রচুর ছাড় । কারে ছেড়ে কারে ধরি! আনারকলি, নূরজাহান সকলেই আছেন এক ছাদের নীচে। শুধু অপেক্ষা পার্স খোলার।
পোলকা ডটের কুশন কভার, হালকা-পুলকা কস্টিউম জ্যুয়েলারি, প্যাস্টাল শেডের সুদৃশ্য বেডস্প্রেড এমন কি গৃহসজ্জার দৃষ্টিনন্দন আর্টিফ্যাক্টসও। বুদ্ধ-গান্ধী-বিবেকানন্দ সকলেই উপস্থিত! সখের পোশাকী চটি জোড়া থেকে গুরুগম্ভীর স্নিকার্স, রান্নাঘরের ঘটিবাটি থেকে ময়লা ফেলবার ভ্যাট। সবেতেই সেল ।
কি ভালো আমার সেই হকার ভাইদের অমায়িক আমন্ত্রণ ! থরে থরে সাজানো সেলের পসরা। আর মধ্যে মধ্যে গলা ফাটিয়ে চীৎকার। মাঝবয়সী একজন আমাকে এখনো বৌদি বলে ডাকে। একবাক্যে জিনিষের দাম আর্ধেক করে হাসিমুখে বলে, নিয়ে যান, পরে দাম দেবেন। এত আন্তরিকতা কোথায় পাব বলুন ত ? তাই ওদেরি আমার এত পছন্দ।
মায়ের জন্য ফাইন মলমলের ফুল ফুল ছাপাশাড়ি আর শ্বশুরমশাইয়ের হাফপাঞ্জাবি না হয় কিনলাম দোকান থেকে। তাই বলে নিজের হাউসকোট কিম্বা কাজের মেয়ের ম্যাক্সি? কক্ষণো নয়। বেঁচে থাক আমার ফুটপাথ! আমার প্রাণের মাঝে চলে গেলে আর পাব না তারে। আর ওখানে কেনার চার্মটাই আলাদা! কত্ত চয়েস! কত্ত আন্তরিকতা হকার ভাইদের! এদের চাকরীবাকরী জোটেনি তাই হকার দলে নাম লিখিয়েছে এরা। এই আমিও ত টুকটাক লিখি আর টিউশানির পয়সায় আমার গুড টাইমপাস করি চৈত্র সেলে ।বড়বড় দোকানের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত উইন্ডোয় চোখ রাখি আর উইন্ডো শপিং করি। কিন্তু কিনি ফুটপাথ থেকে। আমার হকার ভাইটিও বি এ পাস করে হকার হয়েচে। গর্বের সঙ্গে বলে সে। তাই আমি এদেরকেই পেট্রনাইজ করি। আমার এই হকার ভাইকেই খুব দরকার এই চৈত্তসেলে, কুর্তির ঝুলে। এইজন্যেই তো পড়ে রইলাম কলকাতায়। ম্যাটিনি শোয়ে সিনেমা দেখে লেবু চা খেয়ে বিকেলে নন্দন চত্বরে কবিতা পড়ব আর ফেরার পথে সেলের পসরায় ঢুঁ মারব একটিবার। এই ত জীবন।
এই শহরটার জন্মলগ্নে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৃহস্পতি তুঙ্গে জানেন তো? তাই কর্তা অফিস ফেরত নামেন বালিগঞ্জ স্টেশনে, গিন্নী নামেন গড়িয়াহাটে। তারপর ছুঁচোয় ডন বৈঠক দেওয়া পেটে ঐ ফুটপাথের এগরোল কিম্বা চাউমিন, মোমো কিম্বা ফিশফ্রাই সাবাড় করে চৈত্তসেলে পথ পেরোন তাঁরা। আহা কি আনন্দ তখন সেই পথ চলায়! যিনি মেট্রো করে নামেন রাসবিহারী তাঁর জন্য আছে রাসবিহারীর বিস্তীর্ণ দুপারের প্লাসটিক বালতি, মেলামিনের বাসন থেকে কাটগ্লাসের সুরাপাত্র, বাথরুম সেট, পুরণো ম্যাগাজিন থেকে পাইরেটেড সিডি, রেডিমেড ব্লাউজ, সায়া থেকে শার্ট-প্যান্টের পিসে ঢালাও সেল। কি চাই! রাসবিহারীর মোড় থেকে রসা রোডের দিকে কালীঘাট পেরিয়ে হাজরা আর এপাশে দেশপ্রিয় পার্ক পর্যন্ত সেলে ডুবে আছে মহানগরী। ভেতরের জামা, বাইরের জামা, পর্দার কাপড় সবেতেই সেল। গয়নার মজুরি ফ্রি। আবার সোনা কিনলে সম ওজনের রূপো ফ্রি! ভাবা যায় এইআসন্ন পয়লা বৈশাখে চৈত্র সেলের কি মহিমা?
ওদিকে গেরস্ত বঙ্গললনার এখন টেলিভিশনে মাস্টারশেফ দেখেবড় সাধ জাগে একবার কন্টিনেন্টাল বানানোর। বিশ্বায়নের ঢেউ লাগা রাস্তার আনাচেকানাচে এখন বাটন মাশরুম থেকে বেবিকর্ণ, সুইট কর্ণ থেকে ব্রকোলি, তেরঙ্গা সিমলা মির্চ কি না পাওয়া যায়!
কেউ নামেন শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনে। তাঁর গার্ল ফ্রেন্ড হয়ত কলেজ ফেরত আসেন সেথায়। তারপর শুরু হয় সেল পরিক্রমা। আদিগন্ত হাতীবাগান জুড়ে সেল, সেল, সেল।
আর সে যুগে যারা স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের অমোঘ বাণীকে পাথেয় করে ব্যবসায় নেমেছিলেন তাদের দোকানে হাহুতাশ! নিউমার্কেটে তারা নাকি অবস্থান করছেন হকারদের বিরুদ্ধে। আরে বাবা ! বোঝেনা সে বোঝেনা। তার বাপ-ঠাকুরদার এদ্দিনের ব্যাবসাপাতি নাকি হকারদের কল্যাণে লাটে ওঠার উপক্রম! ক্রেতা বলেন যেখানে সস্তা পাব, সেখানে যাব। বিক্রেতা বলেন এসি দেব, জিএসটি নেব, রসিদ দেব। আর নেতা বলেন হকার আমার মাটি। হকার আমার ভোট। হকার আমার ভাগ্যনিয়ন্তা। "সবার ওপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই".... চন্ডীদাসের অমোঘ বাণী । সুভাষবাবুর অপারেশন সানশাইনের পর হকার পুনর্বাসন হয়েছিল। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি জানেন? কেউ যায়নি নতুন বাড়িতে। ক্রেতা খোঁজে সস্তার জিনিষ। বিক্রেতা চায় বিকোতে। কারণ এ শহরে শিল্পের জোয়ার আসেনি তেমন করে। তাই ইকনমিক গ্রোথ নেই । তাই ক্রয় ক্ষমতা বাড়লনা বোধহয়। তাই ফুটপাথেই উঁকিঝুঁকি আর হাতড়ে মরা সাধের জিনিষগুলোর জন্যে।
ওদিকে উঁচু উঁচু শপিং মলের বাতানুকুল বায়ুমন্ডলে ম্যানেকুইন ডুকরে কাঁদে। পথিক আসে দর্শক হয়ে। চোখ বুলায়, হাত বুলায়। পিছন পানে চায়।
যুগশঙ্খ "রবিবারের বৈঠক"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন