আবার পহেলা নেশা। বাঙালীর বৈশাখ বিলাস। কি পেয়েছি আর কি যে পেলাম ভাববার অবকাশ নেই।
একদিকে রাজনীতির রঙ্গ । পহেলা উত্তেজনার পারদ তুমুলে । অন্যদিকে তাপমাত্রার পারদ চড়চড় করে উঠছে সেই ভয়ে কুপোকাত বাঙালী। তবুও বিরিয়ানি, পোলাও কালিয়া, কোর্মা, পটলের দোলমা, নতুন জামা, নতুন ছবি, নতুন ম্যাগাজিন আত্মপ্রকাশ, সিডি রিলিজ, বর্ষ বরণের ঢালাও আয়োজন । বৈশাখের আগমনী আর চৈত্রের স্মৃতি ঝেড়ে ফেলে আবার রবীন্দ্রজয়ন্তীর রিহার্সাল। কেন বাপু কাজকম্ম নেই ? পাড়ায় পাড়ায় রাজনৈতিক এজেন্ডা। মঞ্চ প্রস্তুত। শিল্পীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে প্রোগ্রাম। নামীদামী শিল্পীকে পার্টি ফান্ড থেকে সাম্মানিক দেওয়া হয় অবশ্যি। ছোট ছোট ম্যাগাজিনের বর্ষ পূর্তি সংখ্যা প্রকাশেও তাই। ছোট ছোট লেখক নিজের লেখা ছাপার অক্ষরে দেখবেন বলে কিনছেন । কি জ্বালা!
আর আছে অকালবোশেখির হঠাত মেঘ কিম্বা কালবৈশাখির পরিকল্পনা।সেটা অবিশ্যি ওপরওয়ালার। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে বানভাসি বৈশাখ বিলাস বেল-জুঁই এর গন্ধ এ ভরপুর । বর্ষবরণ বা বৈশাখ-উত্সব চৌপাট তখন। যতসব!
আমরা বাপু নববর্ষের শুভ মহরত বুঝি নতুন খাওয়াদাওয়ায়। বাঙালির ঝালিয়ে নেবার পালা সেই চিরাচরিত বং-কানেকশান । যতই ইংরেজী ছবি দেখি, ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করে অনর্গল কথা বলি আর গোগ্রাসে কন্টিনেন্টাল খাবারদাবার গিলি না কেন আদতে আমরা ঝোল-ঝাল-অম্বলের ভক্ত ।
আমারা যেমন নিউইয়ারে কেকও কাটি, দোলে ঠাণ্ডাইতেও চুমুক দি আবার পহেলা বৈশাখে কব্জি ডুবিয়ে বাঙ্গালী খানা খাই। এ বোধহয় আমাদের মত হুজুগে বাঙালির পক্ষেই সম্ভব ।কিন্তু হুজুগই কি শেষ কথা বাঙ্গালীর?
সেই পয়লা বৈশাখের দিন বাবার সঙ্গে দোকানের হালখাতার চিঠি নিয়ে, বরফকুচি দেওয়া কাঁচের গ্লাস উপচোনো অরেঞ্জ স্কোয়াশ আর বগল দাবা করে মিষ্টির বাক্স নিয়ে ফেরা? ঠাকুমার জন্য নিয়ে যেতে হবে সোনার গয়নার দোকানে নতুন বাংলা ক্যালেন্ডার । দিদিমার জন্য বুকষ্টল থেকে নতুন পঞ্জিকা । সবচেয়ে মজা লাগত মাছের বাজারেও হালখাতার মৌরসী পাট্টা দেখে । সেদিন মাছবাজার ধুয়ে মুছে সাফ এক্কেবারে । লক্ষ্মী গণেশের একযোগে পুজোয় মাছের আঁশটে গন্ধ কাটানোর জন্যে ফিনাইল, ধূপ ধুনো । আর মাছওয়ালাও ধবধবে পাজামা-পাঞ্জাবী চড়িয়ে বসেছে জম্পেশ করে । আমি বাবার হাত ধরে লেসের ফ্রিল দেওয়া, নতুন ছিটের নরম ফ্রকে । প্রথমবার গিয়ে ভেবেছিলাম সে বুঝি মাছ দেবে ফ্রি তে । সে গুড়ে বালি! পয়লা নাম্বার মিষ্টির বাক্স নিয়ে থরে থরে বসে আছে সেও ! তার মানে বুঝলাম মিষ্টিমুখ না করলে বাঙালির শুভ কাজ হয়না । এই ছোটখাটো বাঙালিয়ানা গুলোই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে বহুযুগ ধরে। নিকুচি করেছে। এই নিয়েই পড়ে থাকল বাঙ্গালী। শুধু ধুয়ে ধুয়ে জল খেল আর পেট ফোলাল।
রেস্তোরাঁয় বৈশাখী হেঁশেলের তোড়জোড়। মোচ্ছব সেখানেও। রসিক বাঙালীর বৈশাখী রসনা বিলাস। শুরুতেই কাঁচা আমের জুসের সঙ্গে ভদকার অভিনব ককটেল। অথবা তরমুজের লাল রসে পুদিনার সবুজ। ওপর থেকে আধ পেগ হোয়াইট রাম। যাকে বলে ফিউশান শরবত। তারপরেই লুচি, বেগুনভাজা, শাক-শুক্তো-ছ্যাঁচড়া-মুড়িঘন্ট। পরের দফায় ঘি ভাত, তপসে ফ্রাই। নির্গুণ, নির্গন্ধা বেগুণ দিয়ে বেগুণ বাসন্তী থেকে শুরু করে সারাবছর অচল পটলের দোলমা। ঘিভাতের কত রকম নাম হয় আজকাল! মোরগ পোলাও থেকে আফগানী জাফরানি মোতি পলান্ন। মানে পল অর্থাৎ মাংস মিশ্রিত অন্ন মানে যাকে বিরিয়ানি বলি আমরা। একই অঙ্গে ভাতের কত রূপ! সে কখনো দারুচিনি দেশে, কখনো মখমলি জুঁইফুলের বাগিচায়। মানে যাকে বলে সিনামন রাইস অথবা জেসমিন রাইস।
চিতলমাছের অনুকরণে গাছপাঁঠার মুইঠ্যা তো পনীর পসন্দ। যশুরে তেল কৈ কিম্বা বরিশালী ইলিশ। কোথাও মৈথিলী ভেটকি, কোথাও আবার মাটন মনোহরা। শুধু চমকে যাওয়া নামের অভিনবত্বে। আবার কোথাও মশলা মাখানো ভেটকি ফিলের পাতুড়ি কলাপাতায় আবার কোথাও লাউপাতায় ।
বাঙালী রেস্তোরাঁগুলো এই একটা মাস ষোলো আনা বাঙালী । মধুরেণ সমাপয়েত ম্যাজিক মিহিদানার বেকড ভার্সন অথবা রসোগোল্লার পুডিং দিয়ে। অথবা কোকো দিয়ে চোকোগোল্লার পাশাপাশি কফি গোল্লাও চলছে দিব্যি । এমন ইনোভেশনে আছে বাঙালী! সন্দেশের সঙ্গে ফ্রুট ফিউশানে কিম্বা জলভরা জলপরী কিম্বা দৈ কলসের ঠান্ডা ছোঁয়ায় । মাটির ছোট্ট কলসে প্রথমে দৈ, তারপর মাখা সন্দেশ আর টপিং এ গারণিশ করা এক চামচ রাবড়ি। পেস্তা কুচিয়ে দাও ব্যাস! অনবদ্য বং মিষ্টি । আর তারপরেও চালিয়ে দেওয়া যায় কেশরীয়া মালপোয়া কিম্বা গুলাবী জিলিপিকে। রামকৃষ্ণদেবের কথায় ভরাপেটেও জিলিপি জিভ থেকে টুকুস করে, অতি অনায়াসে গলার মধ্যে দিয়ে সোজা পেটে চালান করা যায় । যেমন খুব ভীড়ে লাটসাহেবের গাড়ির চাকা ফাঁকফোকর দিয়ে রাস্তা পেরিয়ে যায় সাবলীল গতিতে।
এসব রেস্তোঁরায় খেতে যায় বহু মানুষ পয়লা বৈশাখে। আমাদের তো আসলে রোজ রোজ বৈশাখী। রোজ রোজ পয়লা নম্বর ভুরিভোজ চাই-ই। মাদার্স ডে, ফাদার্স ডে, ভ্যালেন্টাইন্স ডে' র মত বেঙ্গলি নিউইয়ার্স ডে আমাদের রোজ রোজ। বাকী যেটুকু করি সবটাই হুজুগে। তবে যাই বলুন মিডিয়ার দৌলতে পয়লা বৈশাখের একটা দিব্যি ব্র্যান্ড তৈরী হয়ে গেছে। সেটাই যা ভালোলাগার। গর্ব বোধ করার। কিন্তু এসব আর কদ্দিন! উত্তিস্থিত জাগ্রত বাঙ্গালী! বেলা বয়ে যায় যে!
এবারের বৈশাখী শ্লোগান ছিল নোট বাতিলের একবছর পর বাঙালির উত্থান । থুড়ি কেউ বলছে পতন । ডিজিটাল ভারতের স্বপ্ন দেখতে দেখতে ডিজিটাল শপিংও করেছে বাঙ্গালী । বৈশাখে খাদ্যবিলাসেও সামিল হয়েছে । আমিও হোমমেকারের হেঁশেলের চাক্কা বন্ধ করেছি পয়লা বৈশাখে। রাঁধছিনা, রাঁধবনা। স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ সব সঁপেছি পয়লা বৈশাখকে।
এসব ত ভাল কথা কিন্তু এবার নতুন বছরের পহেলা রেজলিউশান কি হবে জানেন কেউ?
যুগশঙ্খ "রবিবারের বৈঠক"
একদিকে রাজনীতির রঙ্গ । পহেলা উত্তেজনার পারদ তুমুলে । অন্যদিকে তাপমাত্রার পারদ চড়চড় করে উঠছে সেই ভয়ে কুপোকাত বাঙালী। তবুও বিরিয়ানি, পোলাও কালিয়া, কোর্মা, পটলের দোলমা, নতুন জামা, নতুন ছবি, নতুন ম্যাগাজিন আত্মপ্রকাশ, সিডি রিলিজ, বর্ষ বরণের ঢালাও আয়োজন । বৈশাখের আগমনী আর চৈত্রের স্মৃতি ঝেড়ে ফেলে আবার রবীন্দ্রজয়ন্তীর রিহার্সাল। কেন বাপু কাজকম্ম নেই ? পাড়ায় পাড়ায় রাজনৈতিক এজেন্ডা। মঞ্চ প্রস্তুত। শিল্পীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে প্রোগ্রাম। নামীদামী শিল্পীকে পার্টি ফান্ড থেকে সাম্মানিক দেওয়া হয় অবশ্যি। ছোট ছোট ম্যাগাজিনের বর্ষ পূর্তি সংখ্যা প্রকাশেও তাই। ছোট ছোট লেখক নিজের লেখা ছাপার অক্ষরে দেখবেন বলে কিনছেন । কি জ্বালা!
আর আছে অকালবোশেখির হঠাত মেঘ কিম্বা কালবৈশাখির পরিকল্পনা।সেটা অবিশ্যি ওপরওয়ালার। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে বানভাসি বৈশাখ বিলাস বেল-জুঁই এর গন্ধ এ ভরপুর । বর্ষবরণ বা বৈশাখ-উত্সব চৌপাট তখন। যতসব!
আমরা বাপু নববর্ষের শুভ মহরত বুঝি নতুন খাওয়াদাওয়ায়। বাঙালির ঝালিয়ে নেবার পালা সেই চিরাচরিত বং-কানেকশান । যতই ইংরেজী ছবি দেখি, ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করে অনর্গল কথা বলি আর গোগ্রাসে কন্টিনেন্টাল খাবারদাবার গিলি না কেন আদতে আমরা ঝোল-ঝাল-অম্বলের ভক্ত ।
আমারা যেমন নিউইয়ারে কেকও কাটি, দোলে ঠাণ্ডাইতেও চুমুক দি আবার পহেলা বৈশাখে কব্জি ডুবিয়ে বাঙ্গালী খানা খাই। এ বোধহয় আমাদের মত হুজুগে বাঙালির পক্ষেই সম্ভব ।কিন্তু হুজুগই কি শেষ কথা বাঙ্গালীর?
সেই পয়লা বৈশাখের দিন বাবার সঙ্গে দোকানের হালখাতার চিঠি নিয়ে, বরফকুচি দেওয়া কাঁচের গ্লাস উপচোনো অরেঞ্জ স্কোয়াশ আর বগল দাবা করে মিষ্টির বাক্স নিয়ে ফেরা? ঠাকুমার জন্য নিয়ে যেতে হবে সোনার গয়নার দোকানে নতুন বাংলা ক্যালেন্ডার । দিদিমার জন্য বুকষ্টল থেকে নতুন পঞ্জিকা । সবচেয়ে মজা লাগত মাছের বাজারেও হালখাতার মৌরসী পাট্টা দেখে । সেদিন মাছবাজার ধুয়ে মুছে সাফ এক্কেবারে । লক্ষ্মী গণেশের একযোগে পুজোয় মাছের আঁশটে গন্ধ কাটানোর জন্যে ফিনাইল, ধূপ ধুনো । আর মাছওয়ালাও ধবধবে পাজামা-পাঞ্জাবী চড়িয়ে বসেছে জম্পেশ করে । আমি বাবার হাত ধরে লেসের ফ্রিল দেওয়া, নতুন ছিটের নরম ফ্রকে । প্রথমবার গিয়ে ভেবেছিলাম সে বুঝি মাছ দেবে ফ্রি তে । সে গুড়ে বালি! পয়লা নাম্বার মিষ্টির বাক্স নিয়ে থরে থরে বসে আছে সেও ! তার মানে বুঝলাম মিষ্টিমুখ না করলে বাঙালির শুভ কাজ হয়না । এই ছোটখাটো বাঙালিয়ানা গুলোই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে বহুযুগ ধরে। নিকুচি করেছে। এই নিয়েই পড়ে থাকল বাঙ্গালী। শুধু ধুয়ে ধুয়ে জল খেল আর পেট ফোলাল।
রেস্তোরাঁয় বৈশাখী হেঁশেলের তোড়জোড়। মোচ্ছব সেখানেও। রসিক বাঙালীর বৈশাখী রসনা বিলাস। শুরুতেই কাঁচা আমের জুসের সঙ্গে ভদকার অভিনব ককটেল। অথবা তরমুজের লাল রসে পুদিনার সবুজ। ওপর থেকে আধ পেগ হোয়াইট রাম। যাকে বলে ফিউশান শরবত। তারপরেই লুচি, বেগুনভাজা, শাক-শুক্তো-ছ্যাঁচড়া-মুড়িঘন্ট। পরের দফায় ঘি ভাত, তপসে ফ্রাই। নির্গুণ, নির্গন্ধা বেগুণ দিয়ে বেগুণ বাসন্তী থেকে শুরু করে সারাবছর অচল পটলের দোলমা। ঘিভাতের কত রকম নাম হয় আজকাল! মোরগ পোলাও থেকে আফগানী জাফরানি মোতি পলান্ন। মানে পল অর্থাৎ মাংস মিশ্রিত অন্ন মানে যাকে বিরিয়ানি বলি আমরা। একই অঙ্গে ভাতের কত রূপ! সে কখনো দারুচিনি দেশে, কখনো মখমলি জুঁইফুলের বাগিচায়। মানে যাকে বলে সিনামন রাইস অথবা জেসমিন রাইস।
চিতলমাছের অনুকরণে গাছপাঁঠার মুইঠ্যা তো পনীর পসন্দ। যশুরে তেল কৈ কিম্বা বরিশালী ইলিশ। কোথাও মৈথিলী ভেটকি, কোথাও আবার মাটন মনোহরা। শুধু চমকে যাওয়া নামের অভিনবত্বে। আবার কোথাও মশলা মাখানো ভেটকি ফিলের পাতুড়ি কলাপাতায় আবার কোথাও লাউপাতায় ।
বাঙালী রেস্তোরাঁগুলো এই একটা মাস ষোলো আনা বাঙালী । মধুরেণ সমাপয়েত ম্যাজিক মিহিদানার বেকড ভার্সন অথবা রসোগোল্লার পুডিং দিয়ে। অথবা কোকো দিয়ে চোকোগোল্লার পাশাপাশি কফি গোল্লাও চলছে দিব্যি । এমন ইনোভেশনে আছে বাঙালী! সন্দেশের সঙ্গে ফ্রুট ফিউশানে কিম্বা জলভরা জলপরী কিম্বা দৈ কলসের ঠান্ডা ছোঁয়ায় । মাটির ছোট্ট কলসে প্রথমে দৈ, তারপর মাখা সন্দেশ আর টপিং এ গারণিশ করা এক চামচ রাবড়ি। পেস্তা কুচিয়ে দাও ব্যাস! অনবদ্য বং মিষ্টি । আর তারপরেও চালিয়ে দেওয়া যায় কেশরীয়া মালপোয়া কিম্বা গুলাবী জিলিপিকে। রামকৃষ্ণদেবের কথায় ভরাপেটেও জিলিপি জিভ থেকে টুকুস করে, অতি অনায়াসে গলার মধ্যে দিয়ে সোজা পেটে চালান করা যায় । যেমন খুব ভীড়ে লাটসাহেবের গাড়ির চাকা ফাঁকফোকর দিয়ে রাস্তা পেরিয়ে যায় সাবলীল গতিতে।
এসব রেস্তোঁরায় খেতে যায় বহু মানুষ পয়লা বৈশাখে। আমাদের তো আসলে রোজ রোজ বৈশাখী। রোজ রোজ পয়লা নম্বর ভুরিভোজ চাই-ই। মাদার্স ডে, ফাদার্স ডে, ভ্যালেন্টাইন্স ডে' র মত বেঙ্গলি নিউইয়ার্স ডে আমাদের রোজ রোজ। বাকী যেটুকু করি সবটাই হুজুগে। তবে যাই বলুন মিডিয়ার দৌলতে পয়লা বৈশাখের একটা দিব্যি ব্র্যান্ড তৈরী হয়ে গেছে। সেটাই যা ভালোলাগার। গর্ব বোধ করার। কিন্তু এসব আর কদ্দিন! উত্তিস্থিত জাগ্রত বাঙ্গালী! বেলা বয়ে যায় যে!
এবারের বৈশাখী শ্লোগান ছিল নোট বাতিলের একবছর পর বাঙালির উত্থান । থুড়ি কেউ বলছে পতন । ডিজিটাল ভারতের স্বপ্ন দেখতে দেখতে ডিজিটাল শপিংও করেছে বাঙ্গালী । বৈশাখে খাদ্যবিলাসেও সামিল হয়েছে । আমিও হোমমেকারের হেঁশেলের চাক্কা বন্ধ করেছি পয়লা বৈশাখে। রাঁধছিনা, রাঁধবনা। স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ সব সঁপেছি পয়লা বৈশাখকে।
এসব ত ভাল কথা কিন্তু এবার নতুন বছরের পহেলা রেজলিউশান কি হবে জানেন কেউ?
যুগশঙ্খ "রবিবারের বৈঠক"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন