রবীন্দ্রনাথ এক উপন্যাসের সূচনায় লিখেছেনঃ "আরম্ভের পূর্বেও আরম্ভ আছে, সন্ধ্যাবেলায় দীপ জ্বালানোর আগে সকালবেলায় সলতে পাকানো।" ঠাকুর পরিবারের আদিপুরুষ জগন্নাথ কুশারী, পীরালি ব্রাহ্মণ অর্থাত মুসলমানের অন্নগ্রহণের দোষযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি শুকদেব রায়চৌধুরীর এক কন্যাকে বিবাহ করে বাংলা দেশের খুলনা গ্রামের ভূসম্পত্তি পেয়ে সেখানেই বাস করতে শুরু করেন। পিরালী বামুনরা তদানীন্তন সমাজে এক ধাপ নীচের শ্রেণীর ব্রাহ্মণ বলে পরিগনিত হতেন। সেই কারণে জগন্নাথ হলেন 'পতিত'। জগন্নাথের কয়েক পুরুষ পরে তাঁর উত্তরসূরী পারিবারিক মনোমালিন্য হেতু খুলনা থেকে নৌকা কোরে চলে এলেন কলকাতায়।ততদিনে রাজধানী কলকাতায় ইংরাজ বণিকদের মৌরসীপাট্টা। অতএব জীবিকার জন্য চিন্তা নেই।কুশারীরা এসে ঘর বাঁধলেন গোবিন্দপুর গ্রামে,দরিদ্র হিন্দুসমাজের হরিজন পল্লীতে। সেখানে এতদিন একঘরও ব্রাহ্মণ ছিল না। লোকেরা তাদের মধ্যে ব্রাহ্মণ পেয়ে খুব খুশী।। খুলনায় যারা ছিলেন পতিত-পিরালী ,এখানে তারা হলেন "ঠাকুর-মশাই "। মুখে,মুখে চলল ঠাকুর-মশাই | তাঁরা ইংরাজদের মালপত্র ও সরবরাহ করতেন। ইংরাজদের মুখে মুখে "ঠাকুর-মশাই "শব্দটি অপভ্রংশ হতে হতে ট্যাগোর বা টেগোর হল। এইরূপে কুশারী পদবী উঠে গেল এবং তাঁরা নিজেরাই ঠাকুর পদবী ব্যবহার শুরু করলেন।
২টি মন্তব্য:
good research!!
besh bhalo laglo,sutrati ki "thakur barir andarmahal"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন