৩১ মে, ২০০৮

পরিবেশের দম্ভ বেজায় - বাড়ির গরম, গাড়ীর গরম, হাওয়া গরম, মাথা গরম।

পরিবেশের দম্ভ বেজায় - বাড়ির গরম, গাড়ীর গরম, হাওয়া গরম, মাথা গরম।

ধন্যবাদ! আবহাওয়া দফতর! দোহাই আপনাদের, পচা গরমে, ঠান্ডা ঘরে বসে বসে , আমাদের আর স্তোক দেবেন না। মৌসুমী বায়ু দিক প্রত্যাবর্তন করে আসবে না। পুকুর নেই, ডোবা নেই, আছে শুধু মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং, শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, ফুললি এয়ার কনডিশানড ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। সেই অনুপাতে বাড়ছে লোক, বাড়ছে গাড়ী, বাড়ছে এ-সি, বাড়ছে জেনারেটার, বাড়ছে রেফ্রিজারেটার। বিদ্যুত্ উত্পাদন সীমিত কিন্তু চাহিদা প্রচুর। বিদ্যুত নেই? জেনারেটার চালাও। আরে বাবা সে ও তো চলবে ডিজেলে। এদিকে পেট্রোলে, ডিজেলে ভর্তুকি দিতে দিতে সরকার ফতুর। মানুষকে সুখে থাকতে ভূতে কিলোয়। এরা বোঝেনা এঁড়ে গরু টেনে দুধ দোয়া যায়না। এরা ভুলে যায় "Resources are limited" গাছ কাটো, পুকুর বোজাও, ফ্ল্যাট তোলো, -সি বসাও, জেনরেটার চালাও, ঘরে বসে বসে টিভিতে আই-পি-এল-এর খেলা দেখ, আর চিপস্ চিবোয়, নয়তো ঠান্ডা পানীয় গেলো  -- মামারবাড়ীর আবদার পেয়েছো? তাই তো mother earth ক্ষেপে ব্যোম্ আমাদের ওপর। দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু বিরূপ হয়েছে,ভাগ্যদেবতা ওপরে বসে বসে হাসছেন। সকলে দোষ দিচ্ছেন global warming কে, আরে কেন সেটা বল? greenhouse gas এ পরিবেশ সংপৃক্ত। তাই তাপমাত্রা কমবে না। আরে কার জন্য সেটা বলো? এবার বৃষ্টি হবে না। বৃষ্টি এলে ফেরিওয়ালার মত দূর দূর করে বলব চাই না আমাদের ,লাগবে না, দরকার নেই। বন্ধ করে দোব জানালা। লজ্জায় মুখ দেখবো না বৃষ্টির। বৃষ্টিকে স্বাগতম জানাতে দুঃখ হচ্ছে কারণ সে ও আমাদের কথা ভাবছে। আর আমরা আমাদের কথা না ভেবে প্রতিনিয়তঃ নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারছি। আর বৃষ্টি হলেই তো জল জমবে। পর্যাপ্ত প্ল্যাস্টিক পূর্ণ পরিবেশের সব নর্দমার মুখে জল আটকে যাবে। তার থেকে "এই বেশ ভাল আছি" মেনে নিয়ে হাসি মুখে সহ্য করুন।

কোন মন্তব্য নেই: