১৭ মে, ২০০৮

উত্তিষ্ঠিত! জাগ্রত !

পিছনে হাঁটিতে থাক ভারতবাসী! সমগ্র বিশ্ব জুড়িয়া জ্বালানি সংকট। তরলায়িত প্রাকৃতিক খনিজ গ্যাস নাই। কেমনে পশিবে তুমি মডিউলার কিচেনে? কেমনে রাঁধিবে তুমি পঞ্চব্যঞ্জন? রেস্তোরাঁর রন্ধনশালেও এলপিজি সাপ্লাই বন্ধ হইয়াছে । খাইবে কি? ক্ষুধার্ত হইয়া হাঁটিয়া হাঁটিয়া পরিশ্রান্ত।; কারণ গাড়ী, বাস কিছুই চলিবে না, পেট্রোল ,ডিজেল ফুরাইয়াছে অতএব,ফিরিয়া চলো মূর্খ ভারতবাসী প্রস্তরযুগে! প্রস্তরে,প্রস্তরে ঘর্ষণ করিয়া অগ্নিসংযোগ করিয়া কাঠ্-কুটো জ্বালিতে শেখো নিশ্চয়ই পারিবে। জ্বালানী নাই,অতএব দূষণও কমিয়াছে, কাজেই গাছ কাটিতে আর বাধা নাই। গাছের গুঁড়ি কাটিয়া ঠেলাগাডী তৈয়ারী করিতে শেখো,উহাতে লাভ আছে। আমরা সভ্য হইয়া উঠিয়াছি, পাশ্চাত্যের দিক হইতে লজ্জায় মুখ ফিরাইয়া লইয়া পিছনে হাঁটিতেছি। রাজনীতি আমাদের চালনা করিতেছে, ইন্ডিয়ান পলিটিকাল লিডার্স (আই-পি-এল) দ্বারা তাড়িত হইয়া আমরা, ইন্ডিয়ান পরিবার লিগ (আই-পি-এল) এর সদস্যগণ জ্বালানীবিহীন যুগের উদ্দেশ্যে ধাবমান।
তাঁহারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে পাকাপাকি অবস্থান করিবেন বলিয়া এই সিদ্ধান্ত । তাঁহারা গণতন্ত্রকে রক্ষা করিতেছেন, আপামর জনতার কথা ভাবিতেছেন - ইহাই বা কি কম কথা! হউক না জ্বালানী সংকট, বিশ্বের বাজারে সকল সভ্য দেশ জ্বালানীর যে মূল্য দিতেছে, আমরা তাহা কিছুতেই দিব না। এ আমাদের অঙ্গীকার। সরকার, অভাগা করদাতাদের পকেট কাটিয়া, ভর্তুকি দিয়া যেমন খনিজ সম্পদের মূল্য হ্রাসপ্রাপ্ত করিয়া রাখিয়াছেন, তেমনই থাকিবে। কোন চিন্তা নাই। "তোমরা আমাকে ভোট দাও, আমি গ্যাসের দাম কমই রাখিব" -- এরূপই চলিবে। প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি হইবে না কারণ আমরা ন্যায্য মূল্য দিব না , মুদ্রাস্ফিতী হইবে হউক , নোট ছাপিতে পিছ পা হইব না। তবু ত তাঁহারা আম জনতার কথা ভাবিতেছেন, দেশের অর্থনীতি রসাতলে যাউক। 
শেষমেশ  চন্ডীদাসের আমোঘ বাণী মাথায় করিয়া 
"সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই"

কোন মন্তব্য নেই: