রক্তবীজ বধে দেবী চন্ডমুন্ড বিনাশিনী রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি !!!
আশ্বিনের পূর্ণিমার পর থেকে যে কৃষ্ণপক্ষ শুরু হয় তা হল পিতৃপক্ষ । সূর্য তখন কন্যারাশিতে অবস্থান করে । হিন্দুধর্মের বিশ্বাস অনুসারে পিতৃলোক থেকে আমাদের পূর্বপুরুষের আত্মা তখন অবতরণ করেন স্বর্গ্য লোক থেকে মর্ত্যে । অর্থাত আমাদের আশেপাশে তাঁরা বিরাজ করেন । তাই আমরা এই সময় তাঁদের তুষ্ট করি তর্পণের মাধ্যমে । একপক্ষকাল অর্থাত গণেশ চতুর্থীর পর যে পূর্ণিমা তার পরদিন থেকে এই কৃষ্ণপক্ষ চলে মহালয়া অবধি । আর এই পক্ষকাল আমরা বাস করি আমাদের পরম আত্মীয় পূজনীয় বন্ধুদের স্মৃতিতর্পণ করে । কিংবদন্তী অনুসারে রামচন্দ্র রাবণ বধ করার জন্য দুর্গাপুজো করবেন স্থির করেন । কিন্তু তখন দেবলোক ঘুমন্ত ছিল । ঘুমন্ত দেবলোককে জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে অকালবোধন করেছিলেন । তাই সেই অর্থে এই সময়ে প্রতিবছর দুর্গাপুজোর ঠিক আগেই স্বর্গলোকে আমাদের পিতৃপুরুষদেরও জাগ্রত করি । হিন্দুধর্মের বিশ্বাস, মহালয়ার পরদিন মা দুর্গা স্বর্গলোক থেকে অবতরণ করেণ মর্ত্যলোকে এবং পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষের শুভ সূচনা হয় তখনি ।
মহালয়ার অমাবস্যা তিথিতে দেবদেবীরা জাগ্রত হ'ন এবং মাদুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তিতে ঐ দিন চক্ষুদান করা হয় ।
২টি মন্তব্য:
Bah!!!
thanks ! ShubhoBijoyar preeti o Shubhechchha janai!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন