অলীক সুখ
শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটির হ্যাট্রিক ! দেখেছি এদের আগের ছবিদুটিঃ ইচ্ছে ও মুক্তধারা । খুব বাস্তববাদী কাজ করেন এরা । আর নতুন রকমেরো । আমার পছন্দের লেখিকা সুচিত্রা ভট্টাচার্যের কাহিনী। পছন্দের অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদারকে নায়করূপে প্রথম দেখা। আর সোহিনীকে নতুন করে কিছু বলার নেই । চন্দ্রবিন্দুর অনিন্দ্যকে আরো একবার Hats off! দারুন লিরিকস আর দারুন সুর। আর জয় সরকারের অনবদ্য সঙ্গীত আয়োজন ।পুরোটাই পাওয়ার সুখ না হলেও অনেকটাই সুখের ।
দেবশঙ্কর হালদার (ছবিতে ডাঃ কিংশুক গুহ) তাঁর বিয়ের তারিখে নিজের "সুখ"/ইচ্ছাপূরণের জন্য একমাত্র বৌকে উপহার দিলেন কোলকাতার বুকে এক স্বপ্ন-বাড়ি যার নাম ফ্ল্যাট । আর সেই সুখ পূরণ করতে গিয়ে কেড়ে নিলেন সোহিনীর জীবন । সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়ে সোহিনীর প্রেতাত্মা কুরে কুরে খেতে লাগল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ( রম্যাণি, ডাক্তারবাবুর স্ত্রী )কে । সেও সন্তান সম্ভবা হল কিন্তু তার যখন মিসক্যারেজ হল তখন ডাক্তারবাবু বুঝতে পারলেন সেই "সুখ" পূরণের কি মাহাত্ম্য । তার আগে নয় ।
তবে কোলকাতার ডাক্তারবাবুদের আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নপূরণের ইচ্ছা আর ডাক্তারী পাশ করে শপথ গ্রহণের মূহুর্তটা একতু প্রকট করে দেখালে আরো ভালো লাগত । আজ কোলকাতার সরকারী-বেসরকারী সব হাসপাতাল/নার্সিংহোমের কি অবস্থা তা আমরা খুব ভালো করেই জানি । খবরের কাগজে প্রতিনিয়তঃ দেখতে পাই, টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে পাই নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তদের সুচিকিত্সা বা যথাসময়ে করণীয় চিকিত্সার অভাবে মৃত্যু কিন্তু উচ্চমধ্যবিত্তরাও সমান ভাবে ভুক্তভোগী । এত সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল হচ্ছে কিন্তু ডাক্তারবাবুরা কি ঠিকমত কর্তব্য পালন করছেন? কেন আমরা কোলকাতার মানুষেরা এই মেট্রো সিটি ছেড়ে অন্যত্র যাব আর কেনই বা ডাক্তারবাবুরা আরো সহৃদয় হবেননা এ শহরের মানুষদের জন্য ? এই শূণ্যস্থানগুলি নন্দিতা-শিবপ্রসাদরা আরো একটু প্রকট করে তুললে ভালো হত বোধহয় ।
আর মাঝেমাঝে দেবশঙ্করের অতি নাটকীয় চিত্কার বড্ড প্রকট লেগেছে । উনি নাট্যমঞ্চের ব্যাক্তিত্ত্ব বলে বোধহয় তেমনটি হয়েছে । কিন্তু সব মিলিয়ে বাংলাছবির বাজারে বেশ নাম করবে বলে মনে হল ।
সব মিলিয়ে রোবাবরের বিকেল + প্রিয়া সিনেমা + অলীক সুখ = টোট্যালি পয়সা উশুল ছবি । সাথে বোনাস হল বিশ্বনাথ + নন্দিতা + শিবপ্রসাদের সাথে প্রিয়ার সিঁড়িতে করমর্দন !!!
এই হল কলকাতার মানুষজনের অলীক সুখ । বাঙালী বেশ আছি আমরা বেঁচে বরতে ...কি বল ? বাইরে বেরিয়ে দেখি একজন ব্যাগ ভর্তি আচার নিয়ে চেঁচাচ্ছে " ও মা একটা প্যাকেট আচার নিয়েই দেখুন না ! ওদিকে ন্যানোর কারখানা হলে সে সিঙ্গুরে গিয়ে সেই আচারের ব্যাগ পুরোটাই হয়ত বিক্রি করে আসতে পারত । অন্যথায় যারা আচার তৈরী করা শেখালো তারা সেই আচারের বিশ্বব্যাপী মার্কেটিং করে আজ ক্রোড়পতি। আজ তারাই এই শহরটাকে গ্রাস করে ফেলল । তাই তো ন্যানো ওদের দেশে ।আমাদের অলীকসুখ আছে বাবা। আমরা এই নিয়ে দিব্য আছি বেঁচে । আমাদেরই বা সুখ কম কিসের?
শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটির হ্যাট্রিক ! দেখেছি এদের আগের ছবিদুটিঃ ইচ্ছে ও মুক্তধারা । খুব বাস্তববাদী কাজ করেন এরা । আর নতুন রকমেরো । আমার পছন্দের লেখিকা সুচিত্রা ভট্টাচার্যের কাহিনী। পছন্দের অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদারকে নায়করূপে প্রথম দেখা। আর সোহিনীকে নতুন করে কিছু বলার নেই । চন্দ্রবিন্দুর অনিন্দ্যকে আরো একবার Hats off! দারুন লিরিকস আর দারুন সুর। আর জয় সরকারের অনবদ্য সঙ্গীত আয়োজন ।পুরোটাই পাওয়ার সুখ না হলেও অনেকটাই সুখের ।
দেবশঙ্কর হালদার (ছবিতে ডাঃ কিংশুক গুহ) তাঁর বিয়ের তারিখে নিজের "সুখ"/ইচ্ছাপূরণের জন্য একমাত্র বৌকে উপহার দিলেন কোলকাতার বুকে এক স্বপ্ন-বাড়ি যার নাম ফ্ল্যাট । আর সেই সুখ পূরণ করতে গিয়ে কেড়ে নিলেন সোহিনীর জীবন । সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়ে সোহিনীর প্রেতাত্মা কুরে কুরে খেতে লাগল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ( রম্যাণি, ডাক্তারবাবুর স্ত্রী )কে । সেও সন্তান সম্ভবা হল কিন্তু তার যখন মিসক্যারেজ হল তখন ডাক্তারবাবু বুঝতে পারলেন সেই "সুখ" পূরণের কি মাহাত্ম্য । তার আগে নয় ।
তবে কোলকাতার ডাক্তারবাবুদের আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নপূরণের ইচ্ছা আর ডাক্তারী পাশ করে শপথ গ্রহণের মূহুর্তটা একতু প্রকট করে দেখালে আরো ভালো লাগত । আজ কোলকাতার সরকারী-বেসরকারী সব হাসপাতাল/নার্সিংহোমের কি অবস্থা তা আমরা খুব ভালো করেই জানি । খবরের কাগজে প্রতিনিয়তঃ দেখতে পাই, টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে পাই নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তদের সুচিকিত্সা বা যথাসময়ে করণীয় চিকিত্সার অভাবে মৃত্যু কিন্তু উচ্চমধ্যবিত্তরাও সমান ভাবে ভুক্তভোগী । এত সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল হচ্ছে কিন্তু ডাক্তারবাবুরা কি ঠিকমত কর্তব্য পালন করছেন? কেন আমরা কোলকাতার মানুষেরা এই মেট্রো সিটি ছেড়ে অন্যত্র যাব আর কেনই বা ডাক্তারবাবুরা আরো সহৃদয় হবেননা এ শহরের মানুষদের জন্য ? এই শূণ্যস্থানগুলি নন্দিতা-শিবপ্রসাদরা আরো একটু প্রকট করে তুললে ভালো হত বোধহয় ।
আর মাঝেমাঝে দেবশঙ্করের অতি নাটকীয় চিত্কার বড্ড প্রকট লেগেছে । উনি নাট্যমঞ্চের ব্যাক্তিত্ত্ব বলে বোধহয় তেমনটি হয়েছে । কিন্তু সব মিলিয়ে বাংলাছবির বাজারে বেশ নাম করবে বলে মনে হল ।
সব মিলিয়ে রোবাবরের বিকেল + প্রিয়া সিনেমা + অলীক সুখ = টোট্যালি পয়সা উশুল ছবি । সাথে বোনাস হল বিশ্বনাথ + নন্দিতা + শিবপ্রসাদের সাথে প্রিয়ার সিঁড়িতে করমর্দন !!!
এই হল কলকাতার মানুষজনের অলীক সুখ । বাঙালী বেশ আছি আমরা বেঁচে বরতে ...কি বল ? বাইরে বেরিয়ে দেখি একজন ব্যাগ ভর্তি আচার নিয়ে চেঁচাচ্ছে " ও মা একটা প্যাকেট আচার নিয়েই দেখুন না ! ওদিকে ন্যানোর কারখানা হলে সে সিঙ্গুরে গিয়ে সেই আচারের ব্যাগ পুরোটাই হয়ত বিক্রি করে আসতে পারত । অন্যথায় যারা আচার তৈরী করা শেখালো তারা সেই আচারের বিশ্বব্যাপী মার্কেটিং করে আজ ক্রোড়পতি। আজ তারাই এই শহরটাকে গ্রাস করে ফেলল । তাই তো ন্যানো ওদের দেশে ।আমাদের অলীকসুখ আছে বাবা। আমরা এই নিয়ে দিব্য আছি বেঁচে । আমাদেরই বা সুখ কম কিসের?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন