ষষ্ঠীর আনমনা সকাল। শিউলির হালকা গন্ধ তখন প্রান্তিকের হাওয়ায় । খালবিল থৈ থৈ জলে । শাপলা, পদ্ম ফুটে রয়েছে আপনমনে । পঞ্চমীর ভোরে রওনা দিয়েছি কোলকাতা ছেড়ে । ষষ্ঠীর ভোরে স্নান সেরে পাটভাঙা শাড়িতে একরাশ শারদীয়ার আনন্দ নিয়ে পৌঁছালাম কঙ্কালীতলার মায়ের মন্দিরে । এটি সতীর একান্ন পিঠের অন্যতম । মায়ের কাঁখাল পড়েছিল । এখনো কুন্ডের জল টৈটুম্বুর । উত্তরবাহিনী কোপাই তীরে মহাশ্মশান ।
পুণ্যতোয়া কোপাই বয়ে চলেছে তিরতির করে…
মন্দির চত্তরে রাঙামাটির বাউল সম্প্রদায় আপনমনে গান গেয়ে চলেছে । একতারাতেও আগমনীর সুর । ফাঁকায় ফাঁকায় ষষ্ঠীর পুজো দিলাম । অঞ্জলি দিলাম । তারপর কঙ্কালীমায়ের পুরুষ রুরু ভৈরব মন্দিরে শিবলিঙ্গে জল ঢাললাম । বাঙলার কুখ্যাত নবাব সুলেমন করনানির ধর্মান্তরিত অত্যাচারী সেনাপতি কালাপাহাড়ের অত্যাচারে শিবলিঙ্গটি ধ্বংসপ্রাপ্ত । তবে সতীপিঠের জন্য স্থান মাহাত্ম্য আজো অমলিন । পুরুষ ও প্রকৃতি এক আকাশের নীচে আজো বিরাজমান ।
ছমছমে রুরু ভৈরব মন্দির বাউলের আখড়া তবে বিন্দুমাত্র নষ্ট হয়নি পরিবেশ
“হৃদ-মাঝারে রাখিব যেতে দিব না …”কানে আমার তখনো বেজে চলেছে সেই বিবাগী বাউলের সুর
ফেরার পথে আবার শরত প্রকৃতি সাথে । শাপলাশালুক, লেবেলক্রসিং, আশ্বিনের ভোরের রোদ্দুর নিয়ে প্রান্তিক ।
২টি মন্তব্য:
দারুণ লাগল তোমার লেখা পড়তে। যেন চোখের সামনে সব দেখতে পাচ্ছিলাম। :))
যাক বাবা তোমার ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুশি হলাম ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন