শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী ছেড়ে খোয়াইয়ের পথ ধরে চলে, ক্যানালের পাশ দিয়ে বেশ খানিকটা পথ গেলে বল্লভপুরে বনেরপুকুরডাঙার বিখ্যাত আদিবাসী দুর্গাপূজা দেখতে পাওয়া যাবে যার নাম হিরালিনী দুর্গোত্সব । বিশ্বভারতী চত্বরে কোনো পুজো হয়না । বিশ্বভারতীর তথাকথিত ব্রহ্ম উপাসনা থেকে বেরিয়ে এসে বনের মধ্যে এই মূর্তিপূজার অভিনবত্ব চোখ ধাঁধিয়ে দেয় । ২০০১ সাল থেকে সোনাঝুড়ি বনে এই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা হলেন বাঁধন দাস । গভর্মেন্ট আর্ট কলেজের ছাত্র বাঁধন দাস তাঁর দিদি হীরা এবং পিতা নলিনী দাসের নামে এই পুজোর নাম দেন হিরালিনী ।
পূজোমেলার প্রধান রূপকারেরা আসে অঞ্চলের সাঁওতাল গ্রামগুলোর থেকে । এছাড়াও দুমকা, ঝাড়খন্ডের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শিল্পীরা এসে যোগ দেন ম্যারাপ বাঁধার কাজে, প্রতিমা গ,ডার কাজে, পুজোর যোগাড় যন্ত্রে আর ভীড় সামলানোর কাজে । মেলা, হৈ চৈ নাচ-গান এই পুজোর অন্যতম অঙ্গ । পরিবেশ দূষণ এড়াতে এবারের পুজোর থিম হোল গ্রিন পুজো, ক্লিন পুজো । ধূমপান্, প্লাসটিক ও গারবেজ নৈব নৈব চ । ২০০১ সালে প্রথমবার পুজোয় মূর্তি আনা হয়েছিল কলকাতা থেকে । সেবার পোড়ামাটির প্রতিমা আনা হয়েছিল । পরেরবার ২০০২ সালে বাঁধনদা তার আর্ট কলেজের ছাত্রদের নিয়ে কাঠের প্রতিমা বানান ।
সেই বছর ডিসেম্বর মাসে বাঁধনদা মারা যান । তখন থেকে তাঁর ছাত্ররাই সেই পুজো এগিয়ে নিয়ে চলেছে । ২০০৩ সালে লোহার প্রতিমা, ২০০৪ সালে বাঁশে বোনা ও ২০০৫ সালে মাটির প্রতিমা তৈরী হয় । আসলে বাঁধনদার ইচ্ছেতেই প্রতিবার বৈচিত্র্যময় হয় এই পুজো । গাঁয়ের প্রচুর মানুষ নিঃস্বার্থ ভাবে পরিশ্রম করে এই পুজোতে আর ঐ চারটে দিন নাচ গান যাত্রাপালায় , জঙ্গলের পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে ঢাকের বাদ্যি আর মাদলের তানে মিলেমিশে এক হয়ে যায় মানুষ ও পল্লীপ্রকৃতি ।
পূজোমেলার প্রধান রূপকারেরা আসে অঞ্চলের সাঁওতাল গ্রামগুলোর থেকে । এছাড়াও দুমকা, ঝাড়খন্ডের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শিল্পীরা এসে যোগ দেন ম্যারাপ বাঁধার কাজে, প্রতিমা গ,ডার কাজে, পুজোর যোগাড় যন্ত্রে আর ভীড় সামলানোর কাজে । মেলা, হৈ চৈ নাচ-গান এই পুজোর অন্যতম অঙ্গ । পরিবেশ দূষণ এড়াতে এবারের পুজোর থিম হোল গ্রিন পুজো, ক্লিন পুজো । ধূমপান্, প্লাসটিক ও গারবেজ নৈব নৈব চ । ২০০১ সালে প্রথমবার পুজোয় মূর্তি আনা হয়েছিল কলকাতা থেকে । সেবার পোড়ামাটির প্রতিমা আনা হয়েছিল । পরেরবার ২০০২ সালে বাঁধনদা তার আর্ট কলেজের ছাত্রদের নিয়ে কাঠের প্রতিমা বানান ।
সেই বছর ডিসেম্বর মাসে বাঁধনদা মারা যান । তখন থেকে তাঁর ছাত্ররাই সেই পুজো এগিয়ে নিয়ে চলেছে । ২০০৩ সালে লোহার প্রতিমা, ২০০৪ সালে বাঁশে বোনা ও ২০০৫ সালে মাটির প্রতিমা তৈরী হয় । আসলে বাঁধনদার ইচ্ছেতেই প্রতিবার বৈচিত্র্যময় হয় এই পুজো । গাঁয়ের প্রচুর মানুষ নিঃস্বার্থ ভাবে পরিশ্রম করে এই পুজোতে আর ঐ চারটে দিন নাচ গান যাত্রাপালায় , জঙ্গলের পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে ঢাকের বাদ্যি আর মাদলের তানে মিলেমিশে এক হয়ে যায় মানুষ ও পল্লীপ্রকৃতি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন