আজ আমার মায়ের জন্মদিন! তাই মায়ের জন্য আমার লেখা এই কবিতাটি দিলাম। আমার ব্লগার বন্ধুরা এবং পাঠকরা পড়লে খুশি হব।
"খোলাচিঠি — মাকে "
“মা” তোমাকে দুদিন দেখিনি, মনে হচ্ছে দু’যুগ
এলোমেলো কিছু কাজের পাহাড় আমার সকাল
ঊনিশ-কুড়ির মত গুগুল দ্বীপে কাটে দুপুর |
বিকেলগুলো এখন “নয়নতারা”য় ফোটা,
খুব রঙীন না হলেও ছন্দ মধুর ;
দেখো মা, কত লক্ষ্মী হয়েছি আমি,
সিঁড়িভাঙার অঙ্কখাতায় আর কানমোলায়
ইতিহাস-ভূগোলের অগোছালোতায় আর নেই আমি।
চালডালের ফুটন্ত খিচুড়ির টগবগতায়,
থোড়-বড়ি-ডাঁটার জঞ্জালে আমার কলম চলছে
শেষপাতে পরমান্নের মত!
তোমার জুঁইগাছে জল, গীতা-গায়ত্রি-গঙ্গা,
তুলসীতলায় সাঁঝবাতি সবই বাধ্যতার তালিকায়,
ধোপা-নাপিতের হিসেবের রোজনামচায়|
গরমের ছুটির খুনসুটির দুপুরগুলো,
আমায় অঙ্ক কষায় আর ছবি আঁকায় ;
আমার অঙ্ক এখনো মেলেনি মা…
রোয়াকের রাইবেলের গন্ধ, বৃষ্টিবাদল-আড্ডায়,
বর্ষামেঘের কাজরী গান শোনায় |
ফুলতলায় ঘর বেঁধেছিলাম আমরা…
শিউলিফোটার গন্ধবৃষ্টি পাবো বলে,
লক্ষ্মীপূর্ণিমার কোজাগর রাতের আকাশের
সেই বাঁধভাঙা হাসি মনে পড়ে?
কার্ত্তিকমাসের আকাশপ্রদীপ দেখে মনটা ডুকরে ওঠে
দুরের তারার পানে চেয়ে ভাবি তোমার গানের কথা
বসন্ত দূরে, তবুও কোকিলটা জ্বালিয়ে মারে..
মন ভালো করা এসএমএস গুলো নিয়ে
মিসডকল গুলো দেখে বাঁচতে চেয়েছিলাম
আমি চলতে চলতে অন্ত:সলিলা ফল্গুনদী
রিক্ত হতে হতে শূন্যতায় পৌঁচেছি,
তবুও মুক্তি মেলেনি।
ভুলবোঝাবুঝির টানাপোড়েনে স্মৃতির ক্যানভাসকে
নতুন রঙতুলির টানে জিইয়ে রাখছি
সেদিনের গোধূলির গোগ্রাসে আমার ডুরে শাড়ির লালটুকু
আমার সীমন্তে লেগেছিল, হয়েছিলাম সুমঙ্গলীবধু !
আজও শুনতে পাই অতীতের কোলাহল
সম্বোধনের প্রতিধ্বনি, সম্মোহনের গান ।
আমি নীল পাহাড়ের কোলে একটা সাদা শহরে
শুনতে পাই সেই সব অকিঞ্চনের ছন্দ,
ছন্দপতনের শব্দ আর শুনি শব্দবন্ধনের হাতছানি।
সেই গুগুলদ্বীপের আমি এক নির্বাসিত অতিথি,
তবুও এই বেশ ভালো, আমার সব পেয়েছির দেশ !
পাগলের মত ধরেছি তাকে, শান্তিসাগরে ঘর বেঁধেছি
পিঠটা দেয়ালে ঠেকার আগেই ধরে ফেলেছি তাকে
তবুও বেঁচে রইলাম আমার কবিতার অমরাবতীতে!
"খোলাচিঠি — মাকে "
“মা” তোমাকে দুদিন দেখিনি, মনে হচ্ছে দু’যুগ
এলোমেলো কিছু কাজের পাহাড় আমার সকাল
ঊনিশ-কুড়ির মত গুগুল দ্বীপে কাটে দুপুর |
বিকেলগুলো এখন “নয়নতারা”য় ফোটা,
খুব রঙীন না হলেও ছন্দ মধুর ;
দেখো মা, কত লক্ষ্মী হয়েছি আমি,
সিঁড়িভাঙার অঙ্কখাতায় আর কানমোলায়
ইতিহাস-ভূগোলের অগোছালোতায় আর নেই আমি।
চালডালের ফুটন্ত খিচুড়ির টগবগতায়,
থোড়-বড়ি-ডাঁটার জঞ্জালে আমার কলম চলছে
শেষপাতে পরমান্নের মত!
তোমার জুঁইগাছে জল, গীতা-গায়ত্রি-গঙ্গা,
তুলসীতলায় সাঁঝবাতি সবই বাধ্যতার তালিকায়,
ধোপা-নাপিতের হিসেবের রোজনামচায়|
গরমের ছুটির খুনসুটির দুপুরগুলো,
আমায় অঙ্ক কষায় আর ছবি আঁকায় ;
আমার অঙ্ক এখনো মেলেনি মা…
রোয়াকের রাইবেলের গন্ধ, বৃষ্টিবাদল-আড্ডায়,
বর্ষামেঘের কাজরী গান শোনায় |
ফুলতলায় ঘর বেঁধেছিলাম আমরা…
শিউলিফোটার গন্ধবৃষ্টি পাবো বলে,
লক্ষ্মীপূর্ণিমার কোজাগর রাতের আকাশের
সেই বাঁধভাঙা হাসি মনে পড়ে?
কার্ত্তিকমাসের আকাশপ্রদীপ দেখে মনটা ডুকরে ওঠে
দুরের তারার পানে চেয়ে ভাবি তোমার গানের কথা
বসন্ত দূরে, তবুও কোকিলটা জ্বালিয়ে মারে..
মন ভালো করা এসএমএস গুলো নিয়ে
মিসডকল গুলো দেখে বাঁচতে চেয়েছিলাম
আমি চলতে চলতে অন্ত:সলিলা ফল্গুনদী
রিক্ত হতে হতে শূন্যতায় পৌঁচেছি,
তবুও মুক্তি মেলেনি।
ভুলবোঝাবুঝির টানাপোড়েনে স্মৃতির ক্যানভাসকে
নতুন রঙতুলির টানে জিইয়ে রাখছি
সেদিনের গোধূলির গোগ্রাসে আমার ডুরে শাড়ির লালটুকু
আমার সীমন্তে লেগেছিল, হয়েছিলাম সুমঙ্গলীবধু !
আজও শুনতে পাই অতীতের কোলাহল
সম্বোধনের প্রতিধ্বনি, সম্মোহনের গান ।
আমি নীল পাহাড়ের কোলে একটা সাদা শহরে
শুনতে পাই সেই সব অকিঞ্চনের ছন্দ,
ছন্দপতনের শব্দ আর শুনি শব্দবন্ধনের হাতছানি।
সেই গুগুলদ্বীপের আমি এক নির্বাসিত অতিথি,
তবুও এই বেশ ভালো, আমার সব পেয়েছির দেশ !
পাগলের মত ধরেছি তাকে, শান্তিসাগরে ঘর বেঁধেছি
পিঠটা দেয়ালে ঠেকার আগেই ধরে ফেলেছি তাকে
তবুও বেঁচে রইলাম আমার কবিতার অমরাবতীতে!
"খোলা চিঠি-মাকে" কবিতাটি আসামের করিমগঞ্জের দৈনিক পত্রিকা "দৈনিক জনকন্ঠ"র রবিবারের পাতা "জনমজলিশে" প্রকাশিত হয়েছে ২৫ শে এপ্রিল ২০১০
২টি মন্তব্য:
khub bhalo laglo---e jeno amader sobar kotha sobar mayeder jonyo. masima ke janai amar pranam...sustha thakun r amader mathar upor chhayar moton thakun aro onek onek bochhor..
anek dhanyobad Mousumi! make janiyechhi tomar katha.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন