২১ অক্টো, ২০০৯
মরুভ্রমণ যদিও অধরা তবুও মধুর!!!
আসলে সেই অর্থে মরুভ্রমণ হয়নি এবার। আমার ছেলে রাজস্থানের একটি কলেজে এই বছর ভর্ত্তি হয়েছে...তাই সে তো আসতে পারবে না ...তাই আমাদের যাওয়া..তবে কলকাতার ভীড় ছেড়ে পালিয়ে কিছু খারাপ লাগেনি..বরং একটু অন্যরকম দীপাবলী হল এবছর । ময়ূর, টিয়াপাখি, বকের সারি, নিম গাছের এভিনিউ, ঊটের সঙ্গে পথ হাঁটা, কাঠবেড়ালির পায়ে পায়ে লুকিয়ে পড়া, এই সব আর কি ...মাটি থেকে ২৫০ মিটার উঁচুতে সংকটমোচন মন্দির দেখতে গেলাম । বাজিপোড়ানো দেখলাম কলেজের ক্যাম্পাসে । প্রচুর আলো দিয়ে সাজানো কলেজের ঘড়ি-স্তম্ভ...আলো আলো আর শুধু আলোর রোশনাই ..কিন্তু সাথে নীরবতা..এক অপূর্ব নৈসর্গিক শান্ত প্রকৃতি। সকাল হলেই নতুন ঠান্ডা হাওয়ার ছোঁয়া আর কর্কশ কেকাধ্বনি যেন মনে করিয়ে দিচ্ছিল আলস-লালস পসরা সাজিয়ে শীতের আগমনবার্তা । আমার ছোটবেলায় বাবা মায়ের সাথে রাজস্থান ঘোরা কিন্তু এই বয়সে স্বামী-পুত্রের সাথে ছোট্ট এই গ্রামের মাঝে দিন কয়েক ঘুরে এসে ...কত পাখির কলরব শুনে, কত বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মনে পড়ে গেল..আমি বিন্দুতে সিন্ধুদর্শন করলাম !
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া,
একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু!!!!
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
1 টি মন্তব্য:
brilliant photograph ...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন