সেই তো মল খসালি তবে কেন লোক হাসালি
আগে কোন কাজ করতে অস্বীকৃত হয়ে পরে উপযাচক হয়ে এবং স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সেই কাজ করতে স্বীকৃত হলে এমন প্রবাদ আজও মুখে মুখে ফেরে। এমন অনর্থক ভণিতা করা আমাদের অনেকেরই অভ্যেস। তা সে রাজনৈতিক, সামাজিক বা পারিবারিক ক্ষেত্র হোক। এসব হল মানুষের চরিত্র। তবে এই প্রবাদটির শুরু বা জন্ম হয়েছিল অন্যভাবে। তখন বলা হত সেই তো নথ খসালি তবে কেন লো হাসালি?
সে যুগে পতিতাবৃত্তি এবং বেশ্যারা মানুষের মনোরঞ্জনের অন্যতম ব্যবহৃত পণ্য ছিলেন। অনেক বাঈজি তার অবাঞ্ছিত কন্যা কে গায়িকা এবং নর্তকী রাখার চেষ্টা চালাতে ব্যস্ত থাকতেন কিন্তু ঘুণাক্ষরেও তা প্রকাশ করতেন না সর্বসমক্ষে। যেন বাঈজি কন্যা কিছুতেই বেশ্যাবৃত্তি করবেনা। তখন কুমারীত্বের লক্ষণ ছিল নথ আর নথ ভাঙার অর্থ হল কুমারীত্বের বিসর্জন দেওয়া।
এবার অভাবের চাপে বাধ্য হয়ে মা বাইজীর মেয়ের সেই কুমারীত্ব বহু মূল্যে বিক্রীত হতে দেখলে অন্য রসিক সমালোচকরা ঈর্ষান্বিত হয়ে এই মন্তব্য করতেন। এ প্রায় অভ্যেসের পর্যায়ে চলে যেত সে যুগে।
অভাবে সামিল হয়ে বাঈজী মা তার সেই কন্যার কুমারীত্ব ভাঙার জন্য চড়া ক্রয়মূল্য হেঁকে বসতেন যা সাধারণ রসিক জনের সাধ্যের বাইরে ছিল ।
যার ফলে পাতি রাজা বা জমিদার ধনীদের ভাগ্যে সেই কুমারী রত্ন জুটবেনা কারণ তাদের ভাগ্যে তা নেই বলে এমন ঈর্ষান্বিত মন্তব্য করে বসতেন। এখনও পরিস্থিতির চাপে কেউ নিজের অবস্থান পরিবর্তন করলে আজও এরূপ মন্তব্য করা হয়।
অনেকেই হয়ত গায়ে মাখেন না এমন প্রবাদ। ভাবেন, নিন্দুকে যা বলছে বলুক, তাতে আমার কী? আমার কাজ উদ্ধার হওয়া নিয়ে কথা।রাজনীতির আঙিনায় এমন ঘটনা আমরা আকচার দেখি।মনে মনে বলেও থাকি উদ্দিষ্ট ব্যক্তির সম্পর্কে। কিন্তু তাঁরা সেসব শুনতেই পান না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন