ভোর ভোর হাঁটতে গিয়ে ১০টাকার এক বান্ডিল ধবধবে দুধসাদা বকফুল কিম্বা সদ্য কমল মুকুলদল উন্মোচিত কুমড়োফুল কিনে ফেলতে পারলে গিন্নীমায়ের সেদিন দুপুরের মেন্যু করতে মোটেও অসুবিধে হয়না। বাড়ি এসেই কাজের মাসীকে সমানুপাতে বেসন, চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে বলে।
- মনে করে এক টুসকি লংকাগুঁড়ো, আধ চামচ হলুদ, নুন, দু'চামচ পোস্ত আর একটু কালোজিরে ছড়িয়ে বেশ করে ফর্ক দিয়ে ঘেঁটে ফ্রিজে রেখে দিও কিন্তু। যা রাঁধো বাপু আজকাল! পোলাও, কালিয়া, মুর্গি, মাটন বাদ দিয়ে পিঁয়াজ, ধনেপাতা দিয়ে পাতলা মুসূরডাল চাপাও তো দেখি।
এদিকে গিন্নীমা টিভিতে গান শুনতে শুনতে একে একে মোচার খোলস ছাড়াতে ছাড়াতে একবার বাটার টোস্টে কামড় আর একবার লাল চায়ে চুমুক দেন। মোচার খোলস ছাড়াতে গেলেই মনে পড়ে নিজের জীবনের কথা। একটা করে মেরুন খোলা যেন নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা মনে করায়। ছোটবেলায় মানুষ চিনতে পারেনা কেউ। বড় হতে হতে মেরুন খোলায় হালকা হলুদ রঙের ছোঁয়া ধরতে শুরু করে। বুদ্ধি আর বয়স সমানুপাতে চলে।
- কি গো বৌদি? সব খোলা ফেলে দিলে আর পড়ে রইল কি?
-আহ! দিচ্ছি বাপু। একটু রোসো দিকিনি। গান শুনতে দাও।আমি জানি হলুদ অংশ ফেলতে নেই।
ভেতর থেকে শুধুই পুষ্টিতে ঠাসা হলদে মোচাটুকুনি বেরিয়ে আসে। জীবনের সারাত্সার যেন। অভিজ্ঞতার পারদ চড়তে চড়তে নধরকান্তি মোচার এডিবল পার্টটুকুনি মনে করিয়ে দেয় জীবনের কথা। পরমহংসের কথা। সারটুকুনি নিয়ে অসারটুকুনি ফেলে দেয় সেই প্রজাতির হাঁসেরা। কত বুদ্ধি তাদের।
-দাও বৌদি, আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে কিন্তু
- আমি তো তবু ছাড়িয়ে দিচ্ছি, কোন্ বাড়ির বৌদিরা ছাড়িয়ে দেয় বলতো?
- তা ঠিক বৌদি। তবে এবার ছোট ছোট কলাগুলো দাও এদিকে। ওগুলোতেই সময় লাগে বেশি।
- দিচ্ছি বাবা। আমি অনেকটা কাজ সেরে রেখেছি তোমার। ন্যানো কলাদের প্ল্যাসটিকের জ্যাকেট ফেলে দিয়েছি। তুমি কেবল ওদের ভেতর থেকে কাঠির মত গর্ভদন্ডটা ফেলে দাও। হাতের তেলোয় রাখো। যেমন আমায় রেখেছে এবাড়ির লোকজন আর আমি রেখেছি তোমাকে। একসঙ্গে চাপ দিয়ে টেনে বের করে ফেল। তাড়াতাড়ি হবে। কতবার বলব? একটা একটা করে বের করলে সময় বেশি লাগে।
মোচার পরত খুলতে খুলতে জীবনের গল্পেরা ভীড় করে গিন্নীমায়ের ঘাড়ে।
ছোট্ট ছোট্ট ন্যানো কলাগুলো যেন জীবনের প্রতি মুহূর্তের ছোট ছোট কর্মফল, তাইনা? ওদের আর গর্ভাধান হলনা এজন্মে। খসেও গেলনা বাকী জীবনটা। ঝরেও পড়েও মরতে পারত গাছের নীচে, মায়ের কোলে। মোচার পরতে পরতে কেউ যেন চেপে গলা টিপে ওদের বিকাশ টা রুখে দিল জন্মের মত। অ্যাবরশান করে দিল ন্যাচারালি। অত ফুল কি হাবে ফুটে? অত কি হবে জন্মের? ঘেটি ধরে আবারো জাঁতা কলে পিষতে হবে তাকেও। জীবন যুদ্ধ সবার জন্য নয়।
- আজ নিশ্চয়ই গল্প ফাঁদছ তুমি!
- ঠিক ধরেছ, এই না হলে তুমি!
- মনে করে এক টুসকি লংকাগুঁড়ো, আধ চামচ হলুদ, নুন, দু'চামচ পোস্ত আর একটু কালোজিরে ছড়িয়ে বেশ করে ফর্ক দিয়ে ঘেঁটে ফ্রিজে রেখে দিও কিন্তু। যা রাঁধো বাপু আজকাল! পোলাও, কালিয়া, মুর্গি, মাটন বাদ দিয়ে পিঁয়াজ, ধনেপাতা দিয়ে পাতলা মুসূরডাল চাপাও তো দেখি।
এদিকে গিন্নীমা টিভিতে গান শুনতে শুনতে একে একে মোচার খোলস ছাড়াতে ছাড়াতে একবার বাটার টোস্টে কামড় আর একবার লাল চায়ে চুমুক দেন। মোচার খোলস ছাড়াতে গেলেই মনে পড়ে নিজের জীবনের কথা। একটা করে মেরুন খোলা যেন নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা মনে করায়। ছোটবেলায় মানুষ চিনতে পারেনা কেউ। বড় হতে হতে মেরুন খোলায় হালকা হলুদ রঙের ছোঁয়া ধরতে শুরু করে। বুদ্ধি আর বয়স সমানুপাতে চলে।
- কি গো বৌদি? সব খোলা ফেলে দিলে আর পড়ে রইল কি?
-আহ! দিচ্ছি বাপু। একটু রোসো দিকিনি। গান শুনতে দাও।আমি জানি হলুদ অংশ ফেলতে নেই।
ভেতর থেকে শুধুই পুষ্টিতে ঠাসা হলদে মোচাটুকুনি বেরিয়ে আসে। জীবনের সারাত্সার যেন। অভিজ্ঞতার পারদ চড়তে চড়তে নধরকান্তি মোচার এডিবল পার্টটুকুনি মনে করিয়ে দেয় জীবনের কথা। পরমহংসের কথা। সারটুকুনি নিয়ে অসারটুকুনি ফেলে দেয় সেই প্রজাতির হাঁসেরা। কত বুদ্ধি তাদের।
-দাও বৌদি, আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে কিন্তু
- আমি তো তবু ছাড়িয়ে দিচ্ছি, কোন্ বাড়ির বৌদিরা ছাড়িয়ে দেয় বলতো?
- তা ঠিক বৌদি। তবে এবার ছোট ছোট কলাগুলো দাও এদিকে। ওগুলোতেই সময় লাগে বেশি।
- দিচ্ছি বাবা। আমি অনেকটা কাজ সেরে রেখেছি তোমার। ন্যানো কলাদের প্ল্যাসটিকের জ্যাকেট ফেলে দিয়েছি। তুমি কেবল ওদের ভেতর থেকে কাঠির মত গর্ভদন্ডটা ফেলে দাও। হাতের তেলোয় রাখো। যেমন আমায় রেখেছে এবাড়ির লোকজন আর আমি রেখেছি তোমাকে। একসঙ্গে চাপ দিয়ে টেনে বের করে ফেল। তাড়াতাড়ি হবে। কতবার বলব? একটা একটা করে বের করলে সময় বেশি লাগে।
মোচার পরত খুলতে খুলতে জীবনের গল্পেরা ভীড় করে গিন্নীমায়ের ঘাড়ে।
ছোট্ট ছোট্ট ন্যানো কলাগুলো যেন জীবনের প্রতি মুহূর্তের ছোট ছোট কর্মফল, তাইনা? ওদের আর গর্ভাধান হলনা এজন্মে। খসেও গেলনা বাকী জীবনটা। ঝরেও পড়েও মরতে পারত গাছের নীচে, মায়ের কোলে। মোচার পরতে পরতে কেউ যেন চেপে গলা টিপে ওদের বিকাশ টা রুখে দিল জন্মের মত। অ্যাবরশান করে দিল ন্যাচারালি। অত ফুল কি হাবে ফুটে? অত কি হবে জন্মের? ঘেটি ধরে আবারো জাঁতা কলে পিষতে হবে তাকেও। জীবন যুদ্ধ সবার জন্য নয়।
- আজ নিশ্চয়ই গল্প ফাঁদছ তুমি!
- ঠিক ধরেছ, এই না হলে তুমি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন