- (১) মিষ্টার ঝুনঝুনওয়ালার স্ত্রী বলছেন তাঁর ড্রাইভারকেঃ
"তুম তো আপনা পইসা জমা করোগে, হমারা ভি জমা দে দো না বাবা! “
- (২) এক নামকরা ডাক্তারবাবু ব্যাঙ্কে এসেছেন । প্রাইভেট ব্যাংকের পার্সোনাল রিলেশানশিপ ম্যানেজারকে বলতে শুনলাম ফিসফিস করে,” বস্, কিছু একটা উপায় তো করো! মারা পড়ে যাব যে।"
ম্যানেজার বললেন, আপনার নার্সিংহোমের নামে জমা করে দিন। ব্যাস্! ট্যাক্স দিয়ে দেবেন আবার কি! আপনার টাকার ব্যবস্থা করতে গিয়ে আমার চাকরীটা আর খোয়াতে পারিনা স্যার!
- (৩) ছবির দোকানে ছবি বাঁধাতে গেছি, মালিক বলছে, "দিদি জানেন? প্রতি হাজারে ৮টি ১০০ দিলে আমাকে ২০০ দেবে বলছে, এমন ২৬ লক্ষ টাকা দিতে চাইছেন একজন নিজের লস করে"
বেচারা ছবির দোকানের মালিকের অত টাকা কোথায়? সে বলল, "লোভ লাগছিল , জানেন তো? ২৬ লাখ একশোর নোট দিতে পারলে আমার লাভ থাকত নেট ৫লাখ কুড়ি হাজার। একটা মালতী গাড়িও হয়ে যেত"
- (৪) বড় বড় সব আবাসনের বাসিন্দারা ইলেকট্রিক বিল, মাসিক মেন্টেনেন্স বাকী রেখে দেন। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর। তারা সব ছুটে গিয়ে নোটের তাড়া জমা করছে। ইলেকট্রিক সাপ্লাই বলেছে, "আলবাত নেব, না নিলে আমাদেরি লস তো!"
- (৫) "হামারা রুপয়া জমা কর দো দিদি, তুমহারা একাউন্ট মে। হর দশহাজার রুপয়া মে ১০০০ তুমহরা"
- রান্নার মাসীর অবাঙালী কাজের বাড়ির গিন্নী বলল তাকে। সে বলল, উসকে বাদ? তুমহরা রুপয়া ক্যায়সে তুমহরে পাস যায় গা? গিন্নীর সপ্রতিভ উত্তর কুছ দিনো কে বাদ, তুম থোড়া থোড়া করকে হামকো বাপাস কর দোগে। রান্নার মাসী বলল, আমার একাউন্ট একলাখ টাকা চোখে দেখেনি। আর আমি সেখানে গিয়ে গিয়ে ১০ লাখ টাকা জমা দেব? মাফ করো আমাকে!
- (৬) স্থানীয় বস্তিতে থাকে রামের মা। লোকের বাড়ি কাজ করে মাসিক আয় প্রায় ৭-৮ হাজার। সেদিন তাড়াহুড়ো করে ব্যাঙ্কে গিয়ে জমানো হাজার পনের টাকা দিয়ে বদল করে এনেছে তার কষ্টের রোজগার। এবার তাদের বস্তিতে যেই রটে গেল রামের মায়ের অনেক একশো টাকা তখন প্রত্যেকে রামের মা'কে বলতে লাগল, মাসী ৫০০ নোটের বদলে ৪টে ১০০ দাও। তোমারি তো লাভ । রামের মা কাজে যায়নি সারাদিন ঘরে বসে এই ব্যবসায় মন দিল। স্বল্প পুঁজিতেও ব্যবসা হয় তবে। অভাবের সংসারে যা আসে তাই ভাল। সে তো আর ভুল কিছু করছে না। মানুষের উপকার করেছে মাত্র।
- (৭)অগ্রবালবাবুরা পঞ্জাবের লোক। সেখানকার প্রত্যন্ত গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনধন একাউন্ট খুলে এসেছিল ভাগ্যিস! ১০ জনের নামে থাকা এমন একাউন্টে ব্রিফকেস, এটাচি ভরে টাকা নিয়ে রাখতে গেছে রেলভাড়া করে। অগ্রবাল পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের হাতে এমন ব্রিফকেস।
- (৮) আবাসনের এক অবাঙালী ব্যাবসাদার তার কাজের মাসী সহ সকল স্টাফদের বাধ্য করেছেন সচিত্র পরিচয়পত্র দিতে। সেই পরিচয়পত্র তিনি খান কুড়ি করে জেরক্স করিয়ে প্রত্যেকের হাতে নোটের তাড়া গুঁজে দিয়ে ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা দিতে বলছেন। ভিন্নভিন্ন একাউন্টে বেচারা স্টাফেরা জমা দিয়েই চলেছে, দিয়েই চলেছে...আর তিনি বলেছেন, যা সময় লাগে লাগুক, কাজে না আসলেও চলবে আর এর জন্য আলাদা বখশিসও দিব্যি মিলবে।
- (৯) পুরণো কাগজওয়ালাদের খুব মজা। প্রচুর লোকজন বাড়ি সাফাই যজ্ঞে মেতে উঠেছে। কোথায় কি পাওয়া যায় সেই লক্ষ্যে। এবার তাকের ওপরে, তাকিয়ার নীচে, গদির তলায়, কাগজের বান্ডিলে পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য ৫০০-১০০০। অতএব অঘ্রাণেই কাগজওয়ালাদের পোষমাস চলিতেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন