কলেজগেটের পাশে রোজ সকাল দশটা থেকে বিকেল সাতটা অবধি দাঁড়িয়ে থাকত মতিদা ।
এ পাড়ার বিখ্যাত ফুচকাওয়ালা । তার ফুচকা যেমন বড়বড়, গোল্লা গোল্লা, ও মুচমুচে আর তেমনি সুস্বাদু তার যাবতীয় অনুপান। একদম ঠিকঠাক টক, ঝাল ও নুনের কম্বিনেশন । আমাদের অনেক গবেষণা হত সেই তেঁতুল জলের রসায়ন নিয়ে । বাড়িতে অনেক বকুনিও খেতাম রোজ রোজ ফুচকাখাওয়া নিয়ে । কিন্তু এক মতিদা মানুষটা আর দুই তার ফুচকার টানকে কিছুতেই এড়াতে পারতাম না । মতিদার ছিল একটাই শ্লোগান "ইয়ে ফুচকা খাইয়ো তো মতিদাকা গুণ গাইও " "আমার ফুচকায় অসুখ করবে না । কলেজের ফিল্টারের জলে তৈরী এই তেঁতুলজল" । আমার দিদি তখন পড়ত অন্য কলেজে ।
দিদিকে বলতাম " একদিন তোকে মতিদার ফুচকা খাওয়াব " তা সে আর হয়ে উঠত না । সেবার পয়লাবোশেখের ঠিক আগে মা নতুন জামাকাপড় কেনার টাকা দিলেন । আমরা দু'বোনে হাতিবাগান থেকে জামাকাপড় কিনে একটা চায়ের দোকানে এসে চা-জলখাবারের অর্ডার দিয়ে দেখি পার্সের সব টাকা শেষ। মাত্র একটা কয়েন পড়ে আছে । এদিকে প্রচন্ড খিদে পেয়েছে আর বাড়িও ফিরতে হবে । হাঁটা লাগালাম কলেজের দিকে| বাসে উঠব সে পয়সাও নেই কাছে । হাঁটতে হাঁটতে দুজনে পৌঁছলাম কলেজ অবধি । সেখানে মতিদা তখনো দাঁড়িয়ে । দিদিকে দেখামাত্রই মতিদা যথারীতি তার স্লোগান আওড়ালো "ইয়ে ফুচকা খাইয়ো তো মতিদাকা গুণ গাইও "
"আমার ফুচকায় অসুখ করবে না । কলেজের ফিল্টারের জলে তৈরী এই তেঁতুলজল"
দিদিকে কথা দিয়েছিলাম একদিন ফুচকা খাওয়াব । মতিদা শালপাতা ভাঁজ করে এগিয়ে দিল আমাদের সামনে ।
আমি বললাম " না, মানে একটা কথা ছিল মতিদা ,"
মতিদা বলল " খাও খাও , কিচ্ছু হবে না "
আমি বললাম " না না সে কথা নয় "
মতিদা বলল "মা বকবে ?” আমি বললাম " না না পয়সা ফুরিয়ে গেছে যে "
মতিদা বলল "কাল দিও, আগে তো খাও "
আমি বললাম " বাড়িফেরার পয়সাও নেই "
মতিদা বলল " আমি দিচ্ছি, কাল দিও "
আমরা পেট পুরে ফুচকা খেলাম । এত ভাল বোধ হয় আগেও লাগেনি কখনো । আরো যেন বড়বড়, গোল্লাগোল্লা, মুচমুচে ফুচকা ! আরো পার্ফেক্ট টক-ঝাল-নুনের কম্বিনেশন !
দু'জনের বাসের ভাড়াও চেয়ে নিলাম মতিদার কাছ থেকে ।
আমরা তখন বেথুন কলেজ, আমি তখন শাড়ি
কেমিষ্ট্রিল্যাব, লেকচার হল, আর মিনিবাসে বাড়ি ।।
কেমন যেন দিনগুলো সব হঠাত ফুরিয়ে এল
হেদোর ধারে ফুচকা-আচার সায়েন্স কলেজ গেল !!!
এ পাড়ার বিখ্যাত ফুচকাওয়ালা । তার ফুচকা যেমন বড়বড়, গোল্লা গোল্লা, ও মুচমুচে আর তেমনি সুস্বাদু তার যাবতীয় অনুপান। একদম ঠিকঠাক টক, ঝাল ও নুনের কম্বিনেশন । আমাদের অনেক গবেষণা হত সেই তেঁতুল জলের রসায়ন নিয়ে । বাড়িতে অনেক বকুনিও খেতাম রোজ রোজ ফুচকাখাওয়া নিয়ে । কিন্তু এক মতিদা মানুষটা আর দুই তার ফুচকার টানকে কিছুতেই এড়াতে পারতাম না । মতিদার ছিল একটাই শ্লোগান "ইয়ে ফুচকা খাইয়ো তো মতিদাকা গুণ গাইও " "আমার ফুচকায় অসুখ করবে না । কলেজের ফিল্টারের জলে তৈরী এই তেঁতুলজল" । আমার দিদি তখন পড়ত অন্য কলেজে ।
দিদিকে বলতাম " একদিন তোকে মতিদার ফুচকা খাওয়াব " তা সে আর হয়ে উঠত না । সেবার পয়লাবোশেখের ঠিক আগে মা নতুন জামাকাপড় কেনার টাকা দিলেন । আমরা দু'বোনে হাতিবাগান থেকে জামাকাপড় কিনে একটা চায়ের দোকানে এসে চা-জলখাবারের অর্ডার দিয়ে দেখি পার্সের সব টাকা শেষ। মাত্র একটা কয়েন পড়ে আছে । এদিকে প্রচন্ড খিদে পেয়েছে আর বাড়িও ফিরতে হবে । হাঁটা লাগালাম কলেজের দিকে| বাসে উঠব সে পয়সাও নেই কাছে । হাঁটতে হাঁটতে দুজনে পৌঁছলাম কলেজ অবধি । সেখানে মতিদা তখনো দাঁড়িয়ে । দিদিকে দেখামাত্রই মতিদা যথারীতি তার স্লোগান আওড়ালো "ইয়ে ফুচকা খাইয়ো তো মতিদাকা গুণ গাইও "
"আমার ফুচকায় অসুখ করবে না । কলেজের ফিল্টারের জলে তৈরী এই তেঁতুলজল"
দিদিকে কথা দিয়েছিলাম একদিন ফুচকা খাওয়াব । মতিদা শালপাতা ভাঁজ করে এগিয়ে দিল আমাদের সামনে ।
আমি বললাম " না, মানে একটা কথা ছিল মতিদা ,"
মতিদা বলল " খাও খাও , কিচ্ছু হবে না "
আমি বললাম " না না সে কথা নয় "
মতিদা বলল "মা বকবে ?” আমি বললাম " না না পয়সা ফুরিয়ে গেছে যে "
মতিদা বলল "কাল দিও, আগে তো খাও "
আমি বললাম " বাড়িফেরার পয়সাও নেই "
মতিদা বলল " আমি দিচ্ছি, কাল দিও "
আমরা পেট পুরে ফুচকা খেলাম । এত ভাল বোধ হয় আগেও লাগেনি কখনো । আরো যেন বড়বড়, গোল্লাগোল্লা, মুচমুচে ফুচকা ! আরো পার্ফেক্ট টক-ঝাল-নুনের কম্বিনেশন !
দু'জনের বাসের ভাড়াও চেয়ে নিলাম মতিদার কাছ থেকে ।
আমরা তখন বেথুন কলেজ, আমি তখন শাড়ি
কেমিষ্ট্রিল্যাব, লেকচার হল, আর মিনিবাসে বাড়ি ।।
কেমন যেন দিনগুলো সব হঠাত ফুরিয়ে এল
হেদোর ধারে ফুচকা-আচার সায়েন্স কলেজ গেল !!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন