৬ মে, ২০১২

"Hate Story"


"কাব্যকৃষ্ণা" ওরফে বাংলার পাওলি দামের ইনটেলেকচ্যুয়াল ব্যান্ড উইডথের ব্যাপ্তি টলিউড থেকে বলিউডে ছড়ানোর প্রয়োজন ছিল এবং "হেটস্টোরি" তা প্রমাণ করেছে । 
মূলচরিত্র কাব্যকৃষ্ণার উদীয়মান জার্নালিষ্ট থেকে কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ও সেখান থেকে বিতাড়িত   হয়ে শহরের নামকরা কলগার্ল হয়ে সেই কোম্পানিরই বোর্ড অফ মেম্বারর্সএ উত্তরণ   --  সত্যি সত্যি নিখুঁত স্টোরিলাইনের প্রশংসা কুড়োতে সক্ষম ।
এই গল্পে কেউ কারোকে ভালোবাসেনা  বরং ঘৃণাই করে । কেবল কাব্যর ফোটোগ্রাফার বন্ধু ভিকি ছাড়া ।  একসময় সেও ঘৃণা করতে শুরু করেছিল কাব্যকে তার গতিবিধি দেখে ।কিন্তু ভিকিই শেষ পর্যন্ত কাব্যের সাথে থেকে যায় । তাকে সাহায্য করে ।   
কাব্য কেন ঘৃণার পাত্রী তা বুঝতে দেখতে হবে হেটস্টোরি । "হেট" করা তো দূরের কথা, দেখেই তাকে ভালোবাসতে ইচ্ছে হবে  ।  
একটি বুদ্ধিদীপ্ত মেয়ের বদলা নিতে নিতে সবশেষে জিতে যাওয়া দেখতে দেখতে বেশ পজিটিভ এটিটিউড প্রমাণ করে । প্রথম দিকে ঐ মেয়ে বেশ কয়েকবার ভুলও করে ঠকে যায় যেমন আমরাও মানুষকে বিশ্বাস করে ঠকি । 

মানুষ মাত্রেই ভুল করে । শুরুতে সেও ভুল করেছে । আর টানটান চিত্রনাট্যে একা পাওলি রক্ষা করে আসল ছবিঘর ! মাঝেমাঝে দু একটা আলগা সূতো থাকলেও টেনশানের পাল্লাই বেশি ।
  জেন-এক্স এর তুখোড় জার্নালিষ্ট কাব্যকৃষ্ণার  সিমেন্ট কোম্পানির করাপশানের ফর্দাফাঁস দিয়ে গল্পের শুরু । প্রশ্ন জাগে সেই তুখোড় মেয়ে কি করে আবার নিজেই সেই কোম্পানির ফাঁদে পা দিয়ে সেখানে চাকরি নেয় ! সেটাই আপত্তিকর । আবার বলি  টু আর ইজ হিউম্যান ! 
ফেঁসে যায় সেই চৌখশ মেয়ে অবাঞ্ছিত মাতৃত্বে? এত বোকা হয় এখনকার জার্নালিষ্ট? এমন দু একটা আলগা বল আছে । তারপর সেই অবাঞ্ছিত মাতৃত্বের বিনাশ হয় সেই কুকর্মের ভিলেনের দ্বারা যে পুরোপুরি তাকে সারাজীবনের মাতৃত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত করে । তা জানতে পেরে কাব্যের আবার বদলা নেওয়া । সমাজ ও লোকলজ্জার ভয়ে কাব্যের বাবা মাও তাকে ঘৃণার চোখে দেখতে শুরু করে  । তাই আবার তা "হেট স্টোরি"  ।

 শিল্পপতি  বাবার ওপর ছেলের জড়সড় ভাব ।এহেন অপারগ ছেলের ওপর ভরসা করে কোম্পানির দায়িত্ত্ব দিয়ে কোম্পানিকে ডুবিয়ে দেওয়া দেখে  বাবার কাছে একমাত্র ছেলে ঘৃণার পাত্র । বাবা ঠকেছে ছেলেকে বিশ্বাস করে । তাই আবার "হেটস্টোরি" । বাবা বারবার ছেলেকে বোঝাতে চেষ্টা করে  যে বদলা নেওয়াই কোম্পানির উন্নতি নয় বা ভবিষ্যত লক্ষ্য নয় কিন্তু ছেলে ( সিদ্ধার্থ) কাব্যকৃষ্ণার ওপর প্রতিশোধ নেওয়াই জীবনের মূল উদ্দেশ্য । বিজনেস রসাতলে ততক্ষণে ।    
এদিকে কাব্যও তার সিদ্ধান্তে অটল । আর কেনই বা হবেনা ? উইমেন এমপাওয়ারমেন্টের যুগে বিদ্যা বালান কহানীতে যদি পারে পাওলিই বা পারবে না কেন? আর? এই উপমহাদেশের রাজনৈতিক মহলের সাথে শিল্পপতিদের ওঠাবসা -- কত কত  কোটিটাকার কেলেঙ্কারি! ঠিক যেমন হয়! আমাদের প্রতিদিনের "হেটস্টোরি"! খুব বাস্তব  চিত্র ।  
আবার কত কত কোম্পানির এজিএমএ আমন্ত্রিত শেয়ারহোল্ডারদের সামনে ডিভিডেন্ডের বড়সড় অঙ্ক দেখিয়ে, উপহারের প্রলোভন দেখিয়ে কোম্পানির উন্নতি দেখানোর চেষ্টা, আদপে যা ভুয়ো, আসলে যা মিথ্যের রূপোলী মোড়কে আবৃত । খাতায় কলমে সে কোম্পানির কোনো অস্তিত্ত্বই নেই । লাভের অঙ্ক খাতায় কলমে বেড়েই চলে ঠিক যেমনটি হয়ে থাকে । 
 ভিকির সাথে কাব্যকৃষ্ণার বন্ধুত্ব একবার কানে কানে বলে দেয় ট্রু লাভ স্টোরির কথা । 
তবে সবশেষে কাব্যর শরীর বুলেটে ঝাঁঝরা হ'ল কেন? তা জানতে হলে দেখতে হবে " হেটস্টোরি"!
 কাব্য মরিয়া প্রমাণ করিল যে সে মরে নাই । বঙ্গতনয়া বলিউডে বাঁচিয়া থাকিবেই !

1 টি মন্তব্য:

নামহীন বলেছেন...

Krishnokoli jarei ami boli tate ki kichhu jaai ase? Golpokathan, choritrochitron, sorbopori nirdeshana sei gotanugotik sharir-sorboswo chhancher baire berote parlo na. Eke r jaai hok byatikromi kichhu bola jaay na.