অযোধ্যার রাজা দশরথ পুত্রশোকে অস্থির হয়ে পড়লেন । তাঁর চাররাণী । অথচ একটিও পুত্রসন্তান নেই । বংশরক্ষার চিন্তায় কালাতিবাহিত করছেন রাজা । (এখনকার দিন হলে দশরথের মুন্ডপাত করতেন সকলে!)
তাঁর রাজসভায় মহর্ষি বশিষ্ঠের আগমন হল । ( এখনকার দিনে যেমন জ্যোতিষীরা যজ্ঞের বিধান দিতে সংসারে অবতীর্ণ হ'ন । )
তিনি রাজাকে বললেন
" হে রাজন্! মিথ্যা শোক কর পরিহার ! ধর্মের হইবে জয় ভুল নাহি তার ! অঙ্গদেশ থেকে ঋষ্যশৃঙ্গ মুনিকে নিয়ে আসুন । পুত্র্যেষ্টি যজ্ঞ করুণ । আপনার রাণীদের সন্তান লাভ হবে " (এখনকার দিনে মহা জ্যোতিষীও এমনি করে আউট সোর্স করেন । বয়সের ভারে তিনি কুব্জ । জ্ঞানের ভারে ন্যুব্জ । আর তরুণ ঋষিদেরও তো জায়গা করে দিয়ে যেতে হবে । কমিশন নেবেন অবিশ্যি )
যথাবিধানে মহাসমারোহে পুত্র্যেষ্টি যজ্ঞ হল । যজ্ঞের অনতিপরেই বড়রাণী কৌশল্যার গর্ভ সঞ্চার হল । ( আইভিএফ হোল বুঝি! অথবা সারোগেট পন্থা । যাই হোক ছেলে চাই ! )
দশমাস দশ দিন পর চৈত্র মাসের শুক্লানবমী তিথিতে কৌশল্যার কোল আলো করে ভূমিষ্ঠ হলেন রামচন্দ্র । (বলুন তো, আজ রাম না জন্মালে না হত রামায়ণ । না হত রামরাবণের যুদ্ধ । ভগবানদের আসরে হনুমান হয়ত পশুস্তর থেকে উন্নীত হয়ে সেলিব্রিটি স্টেটাস পেতেন না ! সো অল ক্রেডিট গোজ টু মহর্ষি বশিষ্ঠ । প্যাকেজড বংশোদ্ধারের প্ল্যানটা কেমন ফেঁদেছিলেন ! )
রামচন্দ্রের জন্মের এই পুণ্যতিথি আজ রামনবমী নামে খ্যাত ।( গাইয়েরা শুরু করলেন " ঠুমক চলত রামচন্দ্র বাজত পায়জনিয়া...)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন