২০ জানু, ২০২০

সীতায়ণের খোঁজে শ্রীলঙ্কার পথে পথে





আমাদের প্রতিবেশী দেশ সিংহল দ্বীপ বা শ্রীলংকাকে আবিষ্কার করতে গেলে মহাকাব্য রামায়ণের সাহায্য নিতেই হয়। তখন রামায়ণকে আর নিছক কাল্পনিক কাব্য নয়, ইতিহাস বলেই মেনে নিতে ইচ্ছে করে ।
রামায়ণের স্মৃতিচিহ্ন বিজড়িত দশটি এমন প্রধান স্থান নিয়ে এই আলোচনা করব আজ। এদেশের ট্যুর এজেন্টরা রামায়ণ ট্রেইল বা রামায়ণ ট্যুর আখ্যা দিলেও আমি বলব সীতায়ণের রুট এটি। কারণ সেই দেশে সীতা আর হনুমান সর্বত্র পূজ্যতে। তাই রামায়ণের মাহাত্ম্য না সীতায়ণের দাপট সে নিয়ে আমার আর সংশয়ের অবকাশ নেই।


শ্রীলংকার সিগিরিয়া আর মান্নার বাদে বাকী একই রুটে অবস্থিত আটটি এমন স্থান ছুঁয়ে আসার পরে মনে হল এই নিয়ে আলোকপাত করাই যায়। প্রথমে দেখে নি কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ দশটা সেই জায়গায় রামায়ণের আলো পড়েছিল। তাই এখনও সেগুলি দেশ বিদেশের মানুষের কাছে অন্যতম ট্যুরিস্ট গন্তব্য।


  • সিগিরিয়া (রাবণের ভাই কুবেরের প্রাসাদ)
  • মান্নার (রামেশ্বর সেতুর শেষ বিন্দু)
  • নুয়ারা এলিয়া (অশোকবন, সীথাআম্মার মন্দির, হনুমানের পায়ের ছাপ, সীতার স্নানের জায়গা)
  • সীথা এলিয়া (হনুমান মন্দির)
  • ধিভুরাম্পুলা (সীতার অগ্নি পরীক্ষার স্থান)
  • রামবোডা জলপ্রপাত (হনুমান শক্তি সঞ্চয় করেন)
  • রামবোডা (চ্যারিয়ট পাথ, সীথা অশ্রুকুন্ড)
  • গুরুলাপোথা ( সীথা দুর্গ )
  • গায়াত্রীপীঠ ( নিকুম্ভিলা)
  • উনাবান্টুনা (গল, গন্ধমাদন উপড়ে এনে ফেলেছিল হনুমান)

অশোকবন 

সীতা মন্দির 

এছাড়াও রয়েছে আরও কয়েকটি স্থান যেগুলি রামায়ণের জন্য এখনও বিখ্যাত তবে আমাদের এবার শ্রীলংকার সেদিকটায় যাওয়া হয়নি। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রাবণ গুহা । সংলগ্ন ঝর্ণার ধারে পাহাড়ের মাথায় এই গুহার মধ্যে সীতাকে নিয়ে লঙ্কায় আসার পর রাবণ লুকিয়ে রাখেন কিছুদিন। এই স্থানটি এল্লা নামক স্থানে।
আর রয়েছে শঙ্করী দেবী শক্তি পীঠ যেটি শ্রীলঙ্কার পূর্ব উপকূলে ত্রিনকোমালিতে অবস্থিত অন্যতম হিন্দু তীর্থস্থান । শঙ্করী মাদুর্গার সঙ্গে এখানে রয়েছেন তাঁর ভৈরব ত্রিকোণেশ্বর এর কোণেশ্বরম্‌ মন্দির।পর্তুগীজরা সপ্তদশ শতাব্দীতে যা ধ্বংস করে। পরম শৈব রাবণ মা দুর্গার তপস্যা করেছিলেন এখানে । দেবী শঙ্করী প্রসন্ন হয়ে বিশ্বকর্মা নির্মিত রাবণের প্রাসাদে এসে বাস করেছিলেন। রাবণ শঙ্করী দেবীর জন্য বিশাল মন্দির বানিয়ে দেন।
তামিল রামায়ণ মতে মুনেস্বরমে রাবণ বধের পর রাম সেখানে তপস্যা করেন ।
রামায়ণের আরেকটি উল্লেখযোগ্য তীর্থস্থান হল উসসাংগোডা । এটি দক্ষিণ শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত, রামায়ণ মতে যেখানে সীতার সঙ্গে দেখা করার পর হনুমান রাবণ এবং তাঁর রাক্ষস বাহিনীর শক্তি পরীক্ষা করার জন্য লঙ্কাপুরী আগুণ লাগিয়ে ছারখার করেন। তখন হনুমানের লেজটি রাক্ষসরা আগুন ধরিয়ে দেয়। উসসাংগোডায় নাকি রাজা রাবণের ব্যবহৃত আকাশপথে চালিত পুষ্পক রথের বিমানবন্দরটি ছিল বলে বিশ্বাস স্থানীয় মানুষজনের।
তবে আমরা এবার যে স্থানগুলি গিয়েছিলাম সেগুলি মানচিত্রে মোটামুটি আশেপাশেই রয়েছে আর এগুলির গুরুত্ব রামায়ণে সবচেয়ে বেশী।


সিংহলের উঁচু পাহাড়্চূড়ায় সিংহগিরি বা সিগিরিয়া তে ছিল রাবণের রাজপ্রাসাদ যেখানে পাহাড় কেটে রাবণের বৈমাত্রেয় ভ্রাতা কুবের তৈরী করেছিলেন এক বিশাল দুর্গ। প্রায় হাজার দেড়েক খাঁড়াই সিঁড়ি ভেঙে সেই পাহাড়ে উঠতে হয়।

তামিলনাড়ুর পাম্বান বা রামেশ্বরম থেকে শ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপ পর্যন্ত সেই পাথরের সেতুর অস্তিত্ব পাওয়া যায় এখনও। কথিত আছে, সীতা উদ্ধারের জন্য লঙ্কাপুরী যাত্রার জন্যই পাথরের এই সেতু তৈরি করেছিলেন রাম।সেই যুগে শ্রীলঙ্কা পৌঁছানোর অন্য কোন উপায় ছিলনা। সীতা উদ্ধারের পরে ফিরে এসে, রাবণকে বধ করে ব্রহ্মহত্যার পাপ খণ্ডনের জন্যই শিবের আরাধনা করেন রাম। তিনি যে শিবলিঙ্গের আরাধনা করেন তামিলনাডুর সেইস্থানই আজ আমাদের হিন্দু তীর্থ রামেশ্বরম নামে পরিচিত।
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো থেকে হালকা ঠান্ডার অপূর্ব শৈল শহর ক্যান্ডি হয়ে যেতে হয় মনোরম এক নৈসর্গিক শহরে যার নাম "নুয়ারা এলিয়া"। সিংহলী ভাষায় নুয়ারা মানে নগর আর এলিয়া মানে জ্যোতি। এখানে সীতা আম্মার জন্য বিগলিত স্থানীয় জনগণ তথা আমাদের মত ভারতীয় পর্যটকেরাও। নুয়ারা এলিয়ার সবুজ পাহাড় ঘেরা ফুলপাখীর স্বর্গরাজ্য অশোক বটিকা বা অশোক বন আজো জ্বলজ্বল করছে নিজের সবুজ জ্যোতিতে। রাবণের বিলাস বহুল প্রাসাদে সীতার থাকতে আপত্তি থাকায় এই সুন্দর অশোক বনে রাবণ তাঁকে রেখেছিলেন, এমনি বিশ্বাস রামায়ণে। এই অশোকবন শ্রীলঙ্কার হাকগালা ন্যাশানাল পার্ক এখন। অত্যন্ত সুন্দরভাবে সংরক্ষিত এই বটানিকাল গার্ডেনটি বেশ দামী টিকিট কেটে আমাদের মত বিদেশী পর্যটকদের দেখতে যেতে হয়। সেখানে পৃথিবীর সব গাছ রয়েছে। সেখানেই দূরের এক উঁচু পাহাড়ের খোঁচাটির নাম হাকগালা রক। দেখে মনে পড়ল আবারো রামায়ণের কাহিনী। সেই পাহাড়ের উল্টোদিকেই এখন হয়েছে সীতা মাঈয়ার অপূর্ব এক মন্দির। বন্দিনী সীতাকে এখানেই কাঁদতে দেখে পাহাড়ের মাথা থেকে হনুমান এক লাফে সেখানে হাজির হয়ে সীতার হাতে দেন রামের আংটি, সীতা যা রাবণের পুষ্পক রথে আসার সময় ছুঁড়ে ফেলেছিলেন আকাশপথে। চোখে পড়ল মন্দির সংলগ্ন খরস্রোতা পাহাড়ী নদী, নুড়িপাথরের বুকে এখনো যা বয়ে চলেছে অবিরত। সীতাকে রাবণ অশোক বনের এই অঞ্চলেই বন্দী করে রেখেছিলেন। তবে সসম্মানে। সীতা প্রতিদিন এই নদীতেই স্নান করতেন । এই নদীর তীরেই রয়েছে মস্ত এক শিলাখন্ডের ওপর হনুমানের পায়ের ছাপ। শক্তিমান হনুমানের লাফানোর ফলে যা বহু যুগ আগে পাথরের মধ্যে গর্ত সৃষ্টি করে রেখেছে । এমনি বিশ্বাস স্থানীয় মানুষের।
এই অঞ্চলে আসার পথে তাই বুঝি পড়েছিল ভক্ত হনুমান মন্দির। এখানে সীতা আর হনুমান সর্বত্র পূজ্যতে। এই স্থানকে স্থানীয় মানুষ "সীথা এলিয়া"ও বলে যার অর্থ সীতার জ্যোতি। রাবণের সঙ্গে অশোকবনে আসার পথে বিশ্রাম নিয়েছিলেন সীতা এখানে।
সীতা স্নান কুণ্ড 

সীথা এলিয়া থেকে কিছুদূরেই এক বনভূমি যেখানে সীতার অগ্নি পরীক্ষা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। সিংহলীভাষায় এই অঞ্চলের নাম Divurumpola বা ইংরেজীতে Place of oath। দলীয় বা পারিবারিক বিবাদ, বিরোধ নিষ্পত্তি করার সময় শ্রীলংকার আইনি ব্যবস্থা এই মন্দিরে নেওয়া শপথকে এখনও আইনি মান্যতা দেয়।
নুয়ারা এলিয়া থেকে বেন্টোটা যাবার পথে পড়ে শ্রীলঙ্কার অনেকগুলি জলপ্রপাতের মধ্যে একটি, যার নাম রামবোডা ওয়াটারফলস। রামবোডা গ্রামের অন্তর্গত ১০৯ মিটার উঁচু এই জলপ্রপাতটির কাছেই হনুমান নাকি সীতা উদ্ধারের জন্য বিপুল শক্তি সঞ্চয় করেছিলেন।
ক্যান্ডি থেকে নুয়ারা এলিয়া যাবার পথে রামবোডা পর্বত দেখা যায়। সেখানে এঁকে বেঁকে যে মনোরম বীথিপথ চলে গেছে সেই পথ দিয়েই রাবণ সীতা কে অশোক বনে নিয়ে যান, এমনি বিশ্বাস করা হয়। নিজের রাজধানী কেমন সুন্দর সীতাকে তা ব্যাখ্যা করতে করতে চলেছিলেন রাবণ। এই বনানীকে বলা হয় চ্যারিয়ট পাথ। সীতার চোখের জল পড়তে পড়তে গেছিল এখানে। তাই কেউ কেউ সীতা টিয়ার পণ্ড বা অশ্রুকুন্ডও বলেন।
শ্রীলঙ্কার গুরুলাপোথা কে বলা হয় লঙ্কাপুর। ক্যান্ডি থেকে গুরুলাপোথা পৌঁছতে সময় লাগে ঘণ্টা দুয়েকের কম। কিংবদন্তী বলে সবুজ পাহাড়, ঝর্ণা আর ছোট ছোট নদী ঘেরা অপূর্ব সুন্দর এই স্থানে রাবণের রাণী মন্দোদরীর প্রসাদ ছিল। আকাশ পথে সীতা কে নিয়ে যাবার সময় রাবণ এই প্রাসাদে তাকে কিছুদিন রাখেন। তারপর আবার বিশ্রাম নিয়ে অশোক বনের দিকে যাত্রা করেন। এই কারণে এই জায়গার নাম সীথা কটুয়া বা সীতা দুর্গ।
নিকুম্ভিলা ( গায়ত্রী পীঠ) 

সীতা মন্দির 

নুয়ারা এলিয়ার আরেকটি অন্যতম পীঠস্থান হল গায়ত্রী পীঠ বা গায়ত্রীদেবীর জাগ্রত এক মন্দির। সেখানে গায়ত্রীদেবীর মন্দিরে পুজো হয় নিয়মিত। এই অঞ্চল ছিল লঙ্কার অন্যতম এক উপবনাঞ্চল, রামায়ণে উল্লিখিত নিকুম্ভিলা। এই স্থানের ঐতিহাসিক আরেক মাহাত্ম্য আবিষ্কার করলাম মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করে। রাবণের পুত্র মেঘনাদ রাম-লক্ষমণের সঙ্গে যুদ্ধের পূর্বে নিকুম্ভিলা যজ্ঞ করেছিলেন এই স্থানে। মেঘনাদের বরটি এমনি ছিল যে যজ্ঞ সম্পূর্ণ হলেই তিনি অজেয় হবেন। তাই পরপর দুবার তিনি যজ্ঞ সম্পূর্ণ করে ধরাশায়ী করেন লক্ষ্মণ কে । লক্ষ্মণ পুনরুজ্জীবিত হয়েছেন জানতে পেরে আবার মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে যজ্ঞ সম্পাদনা করতে যান। এদিকে বিভীষণ তার গুপ্তচর মারফৎ সেই সংবাদ পেয়ে রামকে সতর্ক করেন। কারণ যজ্ঞ সম্পূর্ণ হলে মেঘনাদ অজেয় হয়ে যাবেন। বিভীষণ লক্ষ্মণকে যজ্ঞাগারে নিয়ে যান। যজ্ঞাগারে মেঘনাদ অস্ত্র স্পর্শ করতেন না। তিনি প্রথমে যজ্ঞের বাসন ছুঁড়ে লক্ষ্মণকে অচেতন করে দেন। কিন্তু অস্ত্রাগারে যাওয়ার সময় পান না। তার পূর্বেই লক্ষ্মণের জ্ঞান ফেরে এবং তিনি নিরস্ত্র মেঘনাদকে হত্যা করেন।

বস্তুত এটি লঙ্কার উল্লেখযোগ্য শক্তিপীঠ। পীঠনির্ণয়তন্ত্রে আছে

লঙ্কায়াং নূপুরশ্চৈব ভৈরবো রাক্ষসেশ্বরঃ
ইন্দ্রাক্ষী দেবতা তত্র ইন্দ্রোণোপাসিতা পুরা ।।

বিষ্ণুচক্রে খণ্ডিত হয়ে সতী দেবীর পায়ের নূপুর এখানে পতিত হয়। দেবীর নাম ইন্দ্রাক্ষী। তাঁর ভৈরবের নাম রাক্ষসেশ্বর। পণ্ডিতেরা এই নিকুম্ভিলা দেবীকে সেই শক্তিপীঠের দেবী মানেন। কিন্তু শাস্ত্রে লঙ্কার শক্তিপীঠের দেবীকে ইন্দ্রাক্ষী বলা হয়। বৃত্রাসুরের হাতে রাজ্য হারিয়ে দেবরাজ ইন্দ্র দেবতাদের সঙ্গে এখানে এসে দেবী ভগবতী বা গায়ত্রীদেবীর তপস্যা করেছিলেন । গায়ত্রী হলেন দৈব নারীশক্তির পুঞ্জীভূত নারীশক্তির প্রকাশ। লঙ্কায় এই দেবীর মন্দির এখনও আছে। তবে এটি শক্তিপীঠ রূপে পরে স্বীকৃতি পায় নি । ভয়ংকরী, আসুরিক দেবী নিকুম্ভিলা সাধারণের পূজিতা হয়ে উঠতে না পাড়ায় ধীরে ধীরে গায়ত্রী পীঠে পরিণত হয়েছে এই স্থান।

কৃত্তিবাসী রামায়ণেও আছে নিকুম্ভিলার কথা।

বিভীষণ বলে শুন রাজীব- লোচন ।
সামান্যেতে ইন্দ্রজিৎ না হবে পতন ।।
নিকুম্ভিলা যজ্ঞ করে দুষ্ট নিশাচর ।
করিয়াছে যজ্ঞকুণ্ড লঙ্কার ভিতর ।।

আদ্যাস্তোত্রে পাই

পাতালে বৈষ্ণবীরূপা সিংহলে দেবমোহিণী
সুরসা চ মনিদ্বীপে লঙ্কায়াং ভদ্রকালিকা ।

সেসময় সিংহল আর লংকা কে পৃথক স্থান বলা হত। পরে এই দুই অঞ্চল কে এক মনে করা হয়।

তবে শক্তির উপাসক পরম শৈব রাবণের আরাধ্যা দেবী যে ছিলেন এই ভদ্রকালী সেকথা বলাই বাহুল্য ।

আমরা ভারত মহাসাগরের তটরেখা ধরে চলেছিলাম শ্রীলংকার অন্যতম সৈকত শহর বেন্টোটা থেকে মিরাস্যা । যাবার পথে পড়ে গল্‌ নামে এক বিস্তীর্ণ শহর। রামায়ণের জন্য বিখ্যাত এই গল্‌ শহরের অন্তর্গত রুমাস্যালা পর্বত। হনুমান হিমালয় থেকে শক্তিশেলে বিদ্ধ অচৈতন্য লক্ষ্মণের জন্য ভেষজ জরিবুটি বিশাল্যকরণী খুঁজতে গিয়ে পুরো গন্ধমাদন পাহাড় টিকেই নাকি তুলে এনেছিলেন এই গল্‌ অঞ্চলের উনাওয়াটুনাতে Unawatuna। যেখানে পাহাড়ের পাদদেশ অবিরত স্পর্শ করে ভারত মহাসাগরের উত্তাল ঢেউ। নীল আর সবুজে মাখামাখি এই সমুদ্রতট।

হাকগালা রক 
হনুমানের পায়ের ছাপ 

রামায়ণের স্পর্শে ধন্য শ্রীলংকার ইতিহাস ভূগোল যেন আরও কাছের বলে মনে হয় আমাদের। বাকীটা মানুষের বিশ্বাস। তবে যাহা রটে তাহা কিছু তো বটে, এই বিশ্বাসে এগিয়ে চলি আবারো কলম্বো এয়ারপোর্টের দিকে। মহানাগরিক ভীড়ে মিশে যাই। কানে তখনও বাজতে থাকে সীথা মাইয়ার ভজন। রামায়ণ তবে মিথ না মিথ্যে? এ নিয়ে ভাববার অবকাশ নেই আর। আপাতত মাথায় ঘুরতে থাকল সীতায়ণের ইতিহাস। অথবা রাবণায়নের প্রেক্ষাপট।  
রামবোডা ওয়াটার ফলস 
প্রবন্ধ টি প্রকাশিত যুগশঙ্খ সংবাদপত্রের রবিবারের বৈঠকে ১৬ র পাতায় 

কোন মন্তব্য নেই: