আবার ৩৬৫ দিনের পুরোণো একটা বাংলা বছর পাততাড়ি গোটাতে ব্যাস্ত । একদিকে
লোকসভা ভোটের উত্তেজনার পারদ চড়ছে। অন্যদিকে গ্রীষ্ম তার চোখরাঙানি দেখাতে
শুরু করেছে। তার মাঝে চৈত্রসেলের রমরমা। ফুটপাথে “সেল, সেল” চীতকারে
ঝালাপালা শ্রবণেন্দ্রিয়ের দুদন্ড জিরেন হয় শপিংমলের “বাই ওয়ান-গেট ওয়ানে”
চোখ বুলিয়ে। আইসক্রিম, ঠান্ডাইয়ের সুখে আত্মহারা পাবলিক। সবকিছু অনুষঙ্গের
সখ্যতা একটাই কারণে। তা হল বাংলা বর্ষবরণ। ঠান্ডা পানীয়, ফ্রুট জুস,
আইসক্রিম, নতুন জামা, স্প্রিং ক্লিনিং সবকিছুই মনে করিয়ে দেয় বৈশাখের আগমনী
আর চৈত্রের স্মৃতি ঝেড়ে ফেলে দেওয়াকে। মনে করিয়ে দেয় আবার সেই দাবদাহের
কথা অথবা রবীন্দ্রজয়ন্তীর কথা। অকালবোশেখির হঠাত মেঘ কিম্বা কালবৈশাখির
পরিকল্পনা। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে ভেসে আসে সাদা ফুলের গন্ধ।
মেঘ-বৃষ্টি-রোদ্দুর সূচনা করে নতুন দিনের। নতুন বছরের। প্রকৃতি সতী
গ্রীষ্মের সাজ সেজে বসে থাকেন রৌদ্রের ধুনি জ্বালিয়ে।
কারণ সে না এলে তো বর্ষার নো এন্ট্রি । তাই তো এই বর্ষবরণ অথবা বৈশাখ-উত্সব। এই নববর্ষের প্রাক্কালে মহানগরের ফুটপাথে হকারময়তার বাড়বাড়ন্ত । ঠিক গরমের দাবদাহের মত সহ্য করতে হয় যা। ভোটের রাজনীতি উচ্ছেদ করেনা তাদের। কারণ সবার উপর মানুষ সত্য। সবার ওপরে ভোটব্যাঙ্ক। কারো নতুন বইখাতা কারো হালখাতা। লক্ষ্মী-গণেশের জোড়া পুজো, শুভলাভের আশায়। আবারো হিপোক্রেসি। লোক ঠকানোর কৌশলে ঠাকুরকে বছরের শুরুতেই অগ্রিম দাদন। সেও মেনে নিতে হয় গরমের অসহনীয় তাতের মত। বাজারের থলিতে চৈত্রের বুড়ো সজনে ডাঁটায় ফ্যাশন আউট কারণ সদ্য সমাপ্ত গাজনের ঢাকের কাঠি পড়ে গেছে। আসলে তা বুড়িয়ে যায়, বাঙালির চিবুতে কষ্ট হয় কিন্তু দোহাই ভগবানের। আমরা বাপু নববর্ষের শুভ মহরত বুঝি নতুন খাওয়াদাওয়ায়, নতুন বই রিলিজে, নতুন ছবি মুক্তিতে। প্যাপিরাসের নববর্ষের প্রাক্কথন সেই কারণেই। তাই সকলের জন্য রইল নতুন বছরের বৈশাখী শুভেচ্ছা ।
কারণ সে না এলে তো বর্ষার নো এন্ট্রি । তাই তো এই বর্ষবরণ অথবা বৈশাখ-উত্সব। এই নববর্ষের প্রাক্কালে মহানগরের ফুটপাথে হকারময়তার বাড়বাড়ন্ত । ঠিক গরমের দাবদাহের মত সহ্য করতে হয় যা। ভোটের রাজনীতি উচ্ছেদ করেনা তাদের। কারণ সবার উপর মানুষ সত্য। সবার ওপরে ভোটব্যাঙ্ক। কারো নতুন বইখাতা কারো হালখাতা। লক্ষ্মী-গণেশের জোড়া পুজো, শুভলাভের আশায়। আবারো হিপোক্রেসি। লোক ঠকানোর কৌশলে ঠাকুরকে বছরের শুরুতেই অগ্রিম দাদন। সেও মেনে নিতে হয় গরমের অসহনীয় তাতের মত। বাজারের থলিতে চৈত্রের বুড়ো সজনে ডাঁটায় ফ্যাশন আউট কারণ সদ্য সমাপ্ত গাজনের ঢাকের কাঠি পড়ে গেছে। আসলে তা বুড়িয়ে যায়, বাঙালির চিবুতে কষ্ট হয় কিন্তু দোহাই ভগবানের। আমরা বাপু নববর্ষের শুভ মহরত বুঝি নতুন খাওয়াদাওয়ায়, নতুন বই রিলিজে, নতুন ছবি মুক্তিতে। প্যাপিরাসের নববর্ষের প্রাক্কথন সেই কারণেই। তাই সকলের জন্য রইল নতুন বছরের বৈশাখী শুভেচ্ছা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন