(১)
কেমন যেন হুড়মুড়িয়ে বড়দিনের সকাল
কেমন যেন ওম জড়ানো মিষ্টি রোদের সকাল
তবুও যেন একটা বড় মনের বড়ই আকাল !
কেমন যেন ঠান্ডা হাওয়ায় কমলা খোসার নূপুর
কেমন যেন কুয়াশাতে অকাল টাপুরটুপুর
তবুও যেন মনখারাপ আর বছর শেষের দুপুর !
কেমন যেন শীতের বিকেল উষ্ণ প্রদোষ আলো ।
কেমন যেন ঈশাণ কোণে হালকা মেঘের ছোঁয়া
আজ বিকেলের কয়েক পশলা রেশমী উলের রোঁয়া ।
আমি যেন বদলে গেছি হয়ত বা সেই ভুল
আমি যেন আমিই আছি কিম্বা সর্ষেফুল ।
আমি যেন রাতদুপুরে তোমার কথা ভাবি
সময় হলে খুঁজে দিও স্বপ্নলোকের চাবি ।
(২)
কেকমাস আজ মধুমাস, ক্রিসমাস পোষমাসে
একাকার হল হাড়মাস, শীতমাস সব্বোনেশে !
বাকী তিনমাস পর পচামাস তাই বাঁচো ভাই বেশ কশে
আজ ক্রিসমাস, ঝোলাগুড় খাস আর কেক খাস বসে বসে ।
(৩)
উলটে দ্যাখো শীতকে। পালটে গেছে কলকাতার শীত । মুঠোমুঠো রোদের কণায় একভর্তি ব্যালকনি । রোদের উঠোনে আরাম চেয়ারে হেলান দিয়ে আমি । গায়ে ওষ জড়ানো পশমিনা । পায়ে মোজা । ব্যালকনির সামনের ফুটপাথে সারেসারে পথশিশু । আদুড় গা কারো। কারো সোয়েটারের হাত ছেঁড়া । নাক দিয়ে দুরন্ত গতিতে শ্লেষ্মা । ভ্রুক্ষেপ নেই কারো । খেলে বেড়াচ্ছে । রাত হলে ঘরে গিয়ে খাবে দুপুরের জলঢালা ভাত দুমুঠো আর সাথে পাড়ার দোকানের গরম ফুলুরি আধখানা হয়ত । কপালে থাকলে এককুটি চারামাছ ।
আমাদের শিশু এসব বোঝেনা । তার জীবন জুড়ে " লাইফ অফ পাই" অথবা ডোমিনোস এর কুপন কিম্বা বাসকিন রবিনস এর জাগলিং ।
"কারো পোষমাস কারো সর্বনাশ" !!!
(৪)
"মাঘের শীত বাঘের গায়"..... তো কি? শীতও চলে যাবে । মাঘের রোদের ওম্ জড়িয়ে রাজকীয় কায়দায় বাঘ চলে যাবে জঙ্গলের মধ্যে । বেচারা বাঘ! বোঝেওনা সে । নিছক শিকারের খোঁজে বেরোবে সে । নিজের জন্যে আর বাচ্চাটার জন্যে । জানেনাতো নরসিংহেরা ওত পেতে থাকে তার জন্য । তাদের শীত নেই গ্রীষ্ম নেই । তাপ-উত্তাপ কিছুই নেই । মাঘ গিয়ে ফাগুন আসবে ।
বাঘের রোদ পোহানোর দিনের শেষ আর কাগজ খুলে আমরা দেখে যাব সেই নিরীহ বাঘকে মারার নাটকীয় খবর ।
এমনি করেই চলবে আমাদের জীবন । নৃশংসভাবে, নোংরাভাবে, নারকীয় ভাবে......
(৫)
শিকেয় তোলা থাক ক'দিনের ঘুমপাড়ানির গান, রেওয়াজের সরগম চিলেকোঠার মাচায়। আপাততঃ কবিতার খুচরো পঙতি আটকে থাকুক কাপড় মেলার তারে । এলোমেলো ভাবনার গদ্যগুলো ঝরে যাক নিজের মত ড্রইংরুমের দেওয়ালের পুরোনো নোনা ধরা বালিগুলোর সাথে । তোমাদের হাসিগুলো নিশ্চিন্তে দিনকয়েক ঘুমিয়ে পড়ুক কবিতার ওষুধ খেয়ে । আমিও পথ হয়ে এঁকেবেঁকে আসছি তোমাদের কাছে, সেই ফুরিয়ে যাওয়া ডাল-ভাতের আমি, সেই ধোপা-নাপিতের হিসেবের আমি, সেই না বলা অল্পের আমি হয়ে, মুঠোফোনের রিংটোন হয়ে.....
কেমন যেন হুড়মুড়িয়ে বড়দিনের সকাল
কেমন যেন ওম জড়ানো মিষ্টি রোদের সকাল
তবুও যেন একটা বড় মনের বড়ই আকাল !
কেমন যেন ঠান্ডা হাওয়ায় কমলা খোসার নূপুর
কেমন যেন কুয়াশাতে অকাল টাপুরটুপুর
তবুও যেন মনখারাপ আর বছর শেষের দুপুর !
কেমন যেন শীতের বিকেল উষ্ণ প্রদোষ আলো ।
কেমন যেন ঈশাণ কোণে হালকা মেঘের ছোঁয়া
আজ বিকেলের কয়েক পশলা রেশমী উলের রোঁয়া ।
আমি যেন বদলে গেছি হয়ত বা সেই ভুল
আমি যেন আমিই আছি কিম্বা সর্ষেফুল ।
আমি যেন রাতদুপুরে তোমার কথা ভাবি
সময় হলে খুঁজে দিও স্বপ্নলোকের চাবি ।
(২)
কেকমাস আজ মধুমাস, ক্রিসমাস পোষমাসে
একাকার হল হাড়মাস, শীতমাস সব্বোনেশে !
বাকী তিনমাস পর পচামাস তাই বাঁচো ভাই বেশ কশে
আজ ক্রিসমাস, ঝোলাগুড় খাস আর কেক খাস বসে বসে ।
(৩)
উলটে দ্যাখো শীতকে। পালটে গেছে কলকাতার শীত । মুঠোমুঠো রোদের কণায় একভর্তি ব্যালকনি । রোদের উঠোনে আরাম চেয়ারে হেলান দিয়ে আমি । গায়ে ওষ জড়ানো পশমিনা । পায়ে মোজা । ব্যালকনির সামনের ফুটপাথে সারেসারে পথশিশু । আদুড় গা কারো। কারো সোয়েটারের হাত ছেঁড়া । নাক দিয়ে দুরন্ত গতিতে শ্লেষ্মা । ভ্রুক্ষেপ নেই কারো । খেলে বেড়াচ্ছে । রাত হলে ঘরে গিয়ে খাবে দুপুরের জলঢালা ভাত দুমুঠো আর সাথে পাড়ার দোকানের গরম ফুলুরি আধখানা হয়ত । কপালে থাকলে এককুটি চারামাছ ।
আমাদের শিশু এসব বোঝেনা । তার জীবন জুড়ে " লাইফ অফ পাই" অথবা ডোমিনোস এর কুপন কিম্বা বাসকিন রবিনস এর জাগলিং ।
"কারো পোষমাস কারো সর্বনাশ" !!!
(৪)
"মাঘের শীত বাঘের গায়"..... তো কি? শীতও চলে যাবে । মাঘের রোদের ওম্ জড়িয়ে রাজকীয় কায়দায় বাঘ চলে যাবে জঙ্গলের মধ্যে । বেচারা বাঘ! বোঝেওনা সে । নিছক শিকারের খোঁজে বেরোবে সে । নিজের জন্যে আর বাচ্চাটার জন্যে । জানেনাতো নরসিংহেরা ওত পেতে থাকে তার জন্য । তাদের শীত নেই গ্রীষ্ম নেই । তাপ-উত্তাপ কিছুই নেই । মাঘ গিয়ে ফাগুন আসবে ।
বাঘের রোদ পোহানোর দিনের শেষ আর কাগজ খুলে আমরা দেখে যাব সেই নিরীহ বাঘকে মারার নাটকীয় খবর ।
এমনি করেই চলবে আমাদের জীবন । নৃশংসভাবে, নোংরাভাবে, নারকীয় ভাবে......
(৫)
শিকেয় তোলা থাক ক'দিনের ঘুমপাড়ানির গান, রেওয়াজের সরগম চিলেকোঠার মাচায়। আপাততঃ কবিতার খুচরো পঙতি আটকে থাকুক কাপড় মেলার তারে । এলোমেলো ভাবনার গদ্যগুলো ঝরে যাক নিজের মত ড্রইংরুমের দেওয়ালের পুরোনো নোনা ধরা বালিগুলোর সাথে । তোমাদের হাসিগুলো নিশ্চিন্তে দিনকয়েক ঘুমিয়ে পড়ুক কবিতার ওষুধ খেয়ে । আমিও পথ হয়ে এঁকেবেঁকে আসছি তোমাদের কাছে, সেই ফুরিয়ে যাওয়া ডাল-ভাতের আমি, সেই ধোপা-নাপিতের হিসেবের আমি, সেই না বলা অল্পের আমি হয়ে, মুঠোফোনের রিংটোন হয়ে.....
২টি মন্তব্য:
phataphati.......awesome......durdharso!!!!
Neena
sundor lekha tomar, ak niswase pore phellam, emnii likhe chalo aro aro -- Barnali
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন