পশ্চিমবঙ্গে সহসা শিল্পায়নের হাইটেক জোয়ার এসেছে। বেশ ভাল কথা। অনেক বছর পিছনে হাঁটার পরে আমরা বিবেকানন্দের অমোঘবাণী "উত্তিষ্ঠিত, জাগ্রত" কে পাথেয় করে এগুতে সহস করেছিলাম। বুঝতাম সিঙ্গুরের আলু প্যাকেজিং হয়ে সি-আট্-ল্ পৌঁছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে এল, তাহলেও হোত। সিঙ্গুরের চাষী একটু বেটার লাইফস্টাইলের মুখ দেখতো। কিন্তু কৃষিজমি, জীবিকা এসব নিয়ে এখন বিরোধীদল যা করছেন তা দেখে মনে হয় বাঙালির আত্মঘাতী নাম সার্থক। আসলে আমাদের মাননীয় দিদি নতুন করে কুড়ুল মারেন নি নিজের পায়ে। আবেগপ্রবণ দিদি বলতে চান পিছিয়ে গেছি ই যখন সুদীর্ঘ একত্রিশটা বছর তখন আর এগিয়েই বা কি হবে? "এমনি করেই যায় যদি দিন যাক্ না" এতদিন তোমাদের কথা যখন রইল, এবার আমার কথাই থাক্ না | "ভাবিতে উচিত ছিল প্রতিজ্ঞা যখন"| একদিন তোমরা টাটা-বিড়লার কালো হাত গুঁড়িয়ে নুলো করতে চেয়েছিলে , রক্ত দিয়ে অটোমেশন রুখেছিলে, প্রাথমিক স্তরে ইংরেজী উঠিয়ে দিয়েছিলে তখন ভাবো নি যে, বেশিদিন নেতিবাচক, বন্ধ্যা রাজনীতির বোরখা পরে বঙ্গবাসী অমানিশার মুখ দেখবে না একদিন তাদের বোধদয় হবেই তাই টাটার সাথে হাঁটা শিখলে! সালিমের কাছ থেকে ব্যবসার তালিম নিলে! অভিমানী দিদির মনের জ্বালা আমরা আর কি বুঝি। আমরা শিল্পায়নের জোয়ারে উদ্বেলিত হয়ে মনে মনে বলছি "বেটার লেট দ্যান নেভার"| কিন্তু দিদির মনের ব্যাথা অন্যখানে | তিনি যে নিজের চোখে দেখেছেন সত্তরের দশকের বাঙলার বেকারত্বের হাহাকার, শয়ে শয়ে বন্ধ কলকারখানার শ্রমিক ইউনিয়নের চিত্কার , আই.বি.এম, পেপসির মত মাল্টিন্যাশানালদের এ রাজ্য থেকে একদা মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া | এখন তেলের শিশি ভাঙলো বলে খুকুর পরে রাগ করলে কি করে হবে?
1 টি মন্তব্য:
সিঙ্গুর দেখে বোঝা যায় যে কালিদাস নিশ্চয় বাঙ্গালি ছিলেন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন