রাজ্য জুড়িয়া সনাতনদের উত্তরোত্তর রমরমা। তন্ত্র, বশীকরণ, ব্ল্যাক ম্যাজিকের পাশাপাশি সনাতন প্রথায় বেকারত্ব দূরীকরণের প্রলোভন।
সত্য ঘটনাঃ স্থান কলিকাতা, তারিখঃ ৩০শে জুলাই, রবিবার
আমার গৃহ পরিচারিকার কন্যা এবত্সর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করিয়া কন্যাশ্রীর মহার্ঘ্য অর্থ ব্যায় করিয়া যোগমায়া দেবী কলেজে ভর্তি হইয়াছে। প্রাতঃকালীন কলেজ। সারাটা দিন তাহার অঢেল সময়। কোনোদিন সন্ধ্যায় কেটারিং এর কাজ করিয়া কিছু অর্থ প্রাপ্তিতে তাহার মন ভরিয়া ওঠে কানায় কানায়। কোনোদিন কোনো ইভেন্টের কাজে যাইয়া বিরিয়ানির প্যাকেট মায়ের হাতে, ভাইয়ের হাতে তুলিয়া দিয়া আনন্দ পায়। এহেন কন্যাশ্রীটি তাহার বন্ধুর ফাঁদে পড়িয়া গত রবিবার কালিঘাট অঞ্চল হইতে মেট্রো করিয়া কবি নজরুল এবং সেখান হইতে অটোর ভাড়া গুণিয়া তাহার মা'কে লইয়া পৌঁছায় গড়িয়ার এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে। আরো এক সনাতনের ফাঁদ পাতা সেইস্থানে। গল্পের শুরু এইবার। বিশাল লাইন। প্রচুর কন্যাশ্রীরা লাইনে দন্ডায়মান। তাহাদের মাথাপিছু একজন অভিভাবক
(প্রধানত:তাহাদের মাতৃদেবী, টুপি পরানো সহজ বলিয়া ) বেঞ্চিতে ঘন্টার পর ঘন্টা উপবিষ্ট হইয়াই রহিলেন। অতঃপর আমাদের পরিচিত কন্যাশ্রীটির ডাক পড়িল। মাত্র আট হাজার টাকা(যাহাদের মাসিক আয় পাঁচ-ছ'হাজারের বেশী নয়) তাহাদের দিতে অনুরোধ জানাইলেন সেই সনাতন। এর বিনিময়ে আমাদের কন্যাশ্রী এবং তাহার মা পাইবেন বিস্তর সুবিধা।
১)অপুষ্টি নিবারক মাল্টিভিটামিন ক্যাপস্যুল ২) মখমলি ত্বকের জন্য অনন্য সাধারণ বডি লোশন ৩) রেশমী ও পশমী কেশের জন্য ভাইটালাইজিং শ্যাম্পু ৪) ব্রণ চিরতরে দূর করিবার ফেসপ্যাক ৫) মেনোপজের পর মেয়েদের মায়ের শরীর ঠিক রাখিবার জন্য "অল উইমেন ওয়েল বিইং" বটিকা এবং আরো কতকিছু থাকিবে সেই আট হাজারী গিফট হ্যাম্পারে।
বিধি সম্মত সতর্কীকরণ ঃ কাহাকেও বিক্রি না করিতে পারিলে নিজেরাই ব্যবহার করিয়া দেখুন এই প্রডাক্টের মাহাত্ম্য। পাইলেও পাইতে পারেন অমূল্য রতন!
গ্যাঁটের কড়ি ব্যয় করিয়া দলে দলে কন্যাশ্রীরা সনাতনের হাত থেকে মুক্ত করিয়া ফিরিয়া আসিয়াছে সেটাই রক্ষা। পিরামিড ব্যবসায়ের প্রলোভনের ফাঁদ পাতা এ ভুবনে। কখন কে ধরা পড়ে কে জানে! আটহাজারী চাকরি চাই। আটহাজারের বিনিময়ে। আর আছে রহস্যের মোড়কে আবৃত রূপলাগির বিজ্ঞাপন। যাহারা স্যানিটারি প্যাড কিনিতে পারেনা, যাহারা জ্বর হইলে প্যারাসিটামল চাহিয়া খায়, যাহারা কাজের বাড়ির দাতব্য করা সালোয়ার কামিজ টাঁকিয়া লইয়া পরে দিন চালায় তাহাদের এরূপ প্রলোভন সনাতনেরা আর কতদিন দেখাইবে? সনাতন পিরামিডের ব্যাবসা বুঝিয়া শীর্ষে উঠিয়াছে, বিদেশ যাইয়া দেশ উদ্ধার করিতেছে তাই বলিয়া সাধারণ এই মানুষগুলির মাথা আর কতদিন খাইবে তারা? সনাতন সাবধান! দিন আগত ঐ!
সনাতনরা সংখ্যায় বৃদ্ধি পাইবেই। ইহাতে আশ্চর্যের কিছু নাই। বেকারত্বের হাহাকার। উহাদের লোক ঠকাইয়া খাইতেই হইবে। কন্যাশ্রীরাও বেকার। উহাদেরো চাকুরী পাইতেই হইবে। অতএব সনাতন প্রথাগুলির বিনাশ হইবে না। আইন করিয়া সনাতন প্রথার বিনাশ অথবা সনাতনদের ধরপাকড় করিয়া লাভ নাই। সনাতন পদ্ধতিতে শিল্পে জোয়ার আনিতে হইবে। সনাতন প্রথায় চাকুরী দিতে হইবে।
সত্য ঘটনাঃ স্থান কলিকাতা, তারিখঃ ৩০শে জুলাই, রবিবার
আমার গৃহ পরিচারিকার কন্যা এবত্সর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করিয়া কন্যাশ্রীর মহার্ঘ্য অর্থ ব্যায় করিয়া যোগমায়া দেবী কলেজে ভর্তি হইয়াছে। প্রাতঃকালীন কলেজ। সারাটা দিন তাহার অঢেল সময়। কোনোদিন সন্ধ্যায় কেটারিং এর কাজ করিয়া কিছু অর্থ প্রাপ্তিতে তাহার মন ভরিয়া ওঠে কানায় কানায়। কোনোদিন কোনো ইভেন্টের কাজে যাইয়া বিরিয়ানির প্যাকেট মায়ের হাতে, ভাইয়ের হাতে তুলিয়া দিয়া আনন্দ পায়। এহেন কন্যাশ্রীটি তাহার বন্ধুর ফাঁদে পড়িয়া গত রবিবার কালিঘাট অঞ্চল হইতে মেট্রো করিয়া কবি নজরুল এবং সেখান হইতে অটোর ভাড়া গুণিয়া তাহার মা'কে লইয়া পৌঁছায় গড়িয়ার এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে। আরো এক সনাতনের ফাঁদ পাতা সেইস্থানে। গল্পের শুরু এইবার। বিশাল লাইন। প্রচুর কন্যাশ্রীরা লাইনে দন্ডায়মান। তাহাদের মাথাপিছু একজন অভিভাবক
(প্রধানত:তাহাদের মাতৃদেবী, টুপি পরানো সহজ বলিয়া ) বেঞ্চিতে ঘন্টার পর ঘন্টা উপবিষ্ট হইয়াই রহিলেন। অতঃপর আমাদের পরিচিত কন্যাশ্রীটির ডাক পড়িল। মাত্র আট হাজার টাকা(যাহাদের মাসিক আয় পাঁচ-ছ'হাজারের বেশী নয়) তাহাদের দিতে অনুরোধ জানাইলেন সেই সনাতন। এর বিনিময়ে আমাদের কন্যাশ্রী এবং তাহার মা পাইবেন বিস্তর সুবিধা।
১)অপুষ্টি নিবারক মাল্টিভিটামিন ক্যাপস্যুল ২) মখমলি ত্বকের জন্য অনন্য সাধারণ বডি লোশন ৩) রেশমী ও পশমী কেশের জন্য ভাইটালাইজিং শ্যাম্পু ৪) ব্রণ চিরতরে দূর করিবার ফেসপ্যাক ৫) মেনোপজের পর মেয়েদের মায়ের শরীর ঠিক রাখিবার জন্য "অল উইমেন ওয়েল বিইং" বটিকা এবং আরো কতকিছু থাকিবে সেই আট হাজারী গিফট হ্যাম্পারে।
বিধি সম্মত সতর্কীকরণ ঃ কাহাকেও বিক্রি না করিতে পারিলে নিজেরাই ব্যবহার করিয়া দেখুন এই প্রডাক্টের মাহাত্ম্য। পাইলেও পাইতে পারেন অমূল্য রতন!
গ্যাঁটের কড়ি ব্যয় করিয়া দলে দলে কন্যাশ্রীরা সনাতনের হাত থেকে মুক্ত করিয়া ফিরিয়া আসিয়াছে সেটাই রক্ষা। পিরামিড ব্যবসায়ের প্রলোভনের ফাঁদ পাতা এ ভুবনে। কখন কে ধরা পড়ে কে জানে! আটহাজারী চাকরি চাই। আটহাজারের বিনিময়ে। আর আছে রহস্যের মোড়কে আবৃত রূপলাগির বিজ্ঞাপন। যাহারা স্যানিটারি প্যাড কিনিতে পারেনা, যাহারা জ্বর হইলে প্যারাসিটামল চাহিয়া খায়, যাহারা কাজের বাড়ির দাতব্য করা সালোয়ার কামিজ টাঁকিয়া লইয়া পরে দিন চালায় তাহাদের এরূপ প্রলোভন সনাতনেরা আর কতদিন দেখাইবে? সনাতন পিরামিডের ব্যাবসা বুঝিয়া শীর্ষে উঠিয়াছে, বিদেশ যাইয়া দেশ উদ্ধার করিতেছে তাই বলিয়া সাধারণ এই মানুষগুলির মাথা আর কতদিন খাইবে তারা? সনাতন সাবধান! দিন আগত ঐ!
সনাতনরা সংখ্যায় বৃদ্ধি পাইবেই। ইহাতে আশ্চর্যের কিছু নাই। বেকারত্বের হাহাকার। উহাদের লোক ঠকাইয়া খাইতেই হইবে। কন্যাশ্রীরাও বেকার। উহাদেরো চাকুরী পাইতেই হইবে। অতএব সনাতন প্রথাগুলির বিনাশ হইবে না। আইন করিয়া সনাতন প্রথার বিনাশ অথবা সনাতনদের ধরপাকড় করিয়া লাভ নাই। সনাতন পদ্ধতিতে শিল্পে জোয়ার আনিতে হইবে। সনাতন প্রথায় চাকুরী দিতে হইবে।
1 টি মন্তব্য:
নিদারুণ সত্য টা কত সহজ ভাবে লিখেছেন। সবাই যদি ভাবতে পারত তাহলে হয়ত বা এই শয়তানি বন্ধ হত। আপনার লেখা পড়ে আরেক বার মনের খোরাক পেলাম। ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন