কি জানি কেমন করে কাছে এসে গেছিল এরা ।
হয়ত প্রকৃতির চালচিত্রের বদলানো রঙয়ের খেলায় মেতে উঠবে বলেই
কিম্বা সাতজনের মনে কিছু মিল হয়ত ছিল,
হয়ত বা ছিল পূর্বজন্মের কোনো ঋণ !
ত্রিতালের ঝঙ্কারে আগুণ তুলেছিল তারা সেই ফাগুণে,
সপ্তসুরের অণুরণনে কম্পিত হয়েছিল বোকাবাক্সের পর্দা !
সৃষ্টিসুখের উচ্ছ্বাসে, সুরসৃষ্টির উল্লাসের জোয়ারে,
তাদের মনোবীণায় বেজে উঠেছিল একটিমাত্র তান,
যা বলে দেয় প্রাণের কথা সেই গানের বার্তায় ।
হঠাত একটা তাল কেটে গেছিল ।
আজকের তিনটিকে ফেলে ঝরে গেছিল বাকী ফুলেরা।
কত বিনিদ্র রাত, কত অসহায়তার স্বীকার হয়েছিল তিনটিতে মিলে ।
কত ঝড়, কত বৃষ্টি দেখেছিল তারা !
তিল তিল করে বাঁচিয়ে রেখেছিল ফুলটির কুঁড়িকে
কেউ দিয়েছিল আড়াল, কেউ করেছিল আপন,
কেউ বাড়িয়েছিল অনুকম্পার হাত ।
আগলে রেখেছিল তারা তিনজন তিনফুল ।
আজ ছেঁড়া তার জোড়া হল আবার |
গোল ভূমন্ডলের একই মানচিত্রের অঙ্গনে,
অ-তিথি ছিল সেদিনের বাদলকালোয় ঝরাফুলেরা
আর তিথি মেনে এসেছিল সেই বাকী তিনফুল
তাজা ফুলের মত, তারা হয়ে ।
সাক্ষী হয়ে রইল লাল ফিতে, চিকন কাগজে মোড়া সেই অমূল্য রতন,
সেই শোধ না হওয়া পূর্ব জন্মের ঋণ !!!
1 টি মন্তব্য:
punormilan sob somoye e khub anonder. Bhalo laglo.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন