পৃষ্ঠাসমূহ

১৭ মার্চ, ২০১১

১২য়ারি বসন্তের কবিতা," দোলছুট-২০১১"


আমরা সকলেই কবিতা বা ছড়া লিখি । প্রায়ই দেখি অর্কুট বা ফেসবুকের আঙিনায় ফুটে ওঠে সেই কবিতা বা ছড়ার ফুল আর অচিরেই কালের স্রোতে ভেসে যায় সেই সৃষ্টি, আর শুকিয়ে যায় সেই ফুল। এবার দোলে আমার সেই সব বন্ধুদের নিয়েই  না হয় ভাসিয়ে দিলাম আমার ছিন্নপাতার খেয়া খানি । সোনার তরীর পালে এবার বসন্তের হাওয়া বয়ে আনল একরাশ বন্ধুত্বের দোলা । আর যন্ত্রজালে ভাসতে ভাসতে খেয়াখানি পাড়ি দিল কোন্‌ সুদূরে !!!  
ফন্ট সাইজ ছোট লাগলে Ctrl++  করুন আর ফায়ারফক্স বা গুগ্‌ল ক্রোমে দেখুন





রেখা মিত্র
উত্তরপাড়া

মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক
বেঙ্গল স্টুডিও 
লাগলো যে দোল  (১)

পলাশ দেখে থেকে থেকে কেমন করে মন
অনেক পলাশ ঘর করেছে শান্তিনিকেতন,
সেই নিকেতন অনেক দূরে, পলাশ থেকো ভালো!
দোলের দিনে মনে আমার পাঠিও রঙের আলো।
তোমার আমার মাঝখানেতে পথটা যে দুস্তর
কেমন করে পার হবো এই কঠিন তেপান্তর !
একটু সবুর পলাশ তুমি, একটু বাঁধো মন
পরের বারে আমার বাসা হবে পলাশ বন।

লাগলো যে দোল  (২)

কে যেন চমকে দ্যায় 'এসেছি রে আঁখি তোল'
দেখি চেয়ে আঁখি মেলে "স্থলে জলে বনতলে"
লাগলো লাগলো দোল !
আবার হৃদয় ছুঁলো কানে তার কলরোল
"রাঙা হাসি রাশি রাশি অশোকে পলাশে
রাঙা নেশা মেঘে মেশা প্রভাত আকাশে
নবীন পাতায় লাগে রাঙা হিল্লোল
দ্বার খোল দ্বার খোল "


হোলি

আজ তো হোলি,রঙ খেলব না আমরা? তুমি খেলবে?
আর বাকীরা খেলবে না বুঝি -রবি,কানু,বালা,বাকী সব্বাই
হঠাৎ করে ছুঁড়ে দেবে মুঠো মুঠো রঙ? চমকে দেবে বুঝি?
চোখ বন্ধ করে নিতে হবে?

কি রঙ খেলবে ওরা ? লাল,গোলাপী,সবুজ?
কতটা সবুজ?
আর মিষ্টি? মিষ্টি আনবে না বুঝি আমাদের জন্য?
রঙমাখা হাতেই মিষ্টি খাব,
তুমি বকবে জানি,তবুও

আজ মিশে যাব আমি আর তুমি
কানু, বালা, টিপু, আমরা সব্বাই
খেলা তবু থামবে না, ঢেউ খেলব ছলাৎ ছল
দেখব, তুমি কত ঢেউ তুলতে পার
তবু খেলব, হার মানব না তো আজ -

আমি তো রঙ চিনি না
তবে তুমি যখন বল, তখন আমি ঠিক বুঝতে পারি
কালো রঙ ছাড়াও অন্য রঙ আছে
ভালদাদু, আমি কবে রঙ দেখতে পাব?
আমরা সবাই কবে রঙ দেখতে পাব?


অভ্র পাল
কলকাতা

সফ্যটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার
টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসেস 

মধুমিতা ভট্টাচার্য
তেজপুর

হোমমেকার, লেখিকা

পলাশ বনে একা (১)

পলাশেরা গান গায় বসন্তের পূর্নিমা রাতে
ভোর এলে ঝরে যায় কঠিন ভূমিতে,
সে গানের কিছু রেশ থেকে যায় মনের গভীরে
তবু ওরা প্রতিদিন গান গায়,
ঝরে যায় সবার অগোচরে...
আজ পলাশের রাগ হয়েছে তাইতো ধুলোয় শুয়ে,
মাথার দিব্যি, বলছি আমি তোর গায়ে হাত দিয়ে
আর যাবনা শিমুল বনে, সবার সাথে আড়ি-
করব এবার, কেবল তোকেই ডাকব আমার বাড়ি

পলাশ বনে একা (২)

মর্মে যে রং আছে
সে রং ছড়িয়ে দিয়ে বনে
আকাশে বাতাসে আর
পৃথিবী প্রাঙ্গনে..
সে রং নিও আপন করে
তোমার বাউল মনে
যে রং ছড়িয়ে ছিল বনে 
পলাশ বিলাস আমার মনে
হালকা হাওয়ায় ঋতু ফাল্গুনে
বন্ধু এসো আমার ঘরে
যে আছো দূরে অনেক দূরে


রক্ত-পলাশ আমার ঘরে....

আয়না পলাশ আমার ঘরে 
ধুলোয় কেন আছিস পড়ে!
সাজিয়ে ডালি রং ফাগুনে
রাখব তোকে মনের কোণে,
যতন করে আবির লালে
মাখাবো তোর লাজুক গালে
কিম্বা আকাশ নীলের সাথে
মেঘ দেবো এক সুপ্রভাতে
তোর আঁচলে রক্ত-পলাশ
ছোঁয়াবো আজ রঙ্গিন আভাস,
চল মেতে যাইকাজ ভুলে যাই
নাচের তালে মাদল বাজাই
পাগলা হাওয়ার ঘোড় সওয়ারে             
আয়না পলাশ আমার ঘরে... 
আয়না পলাশ আমার ঘরে...!


জার্ণাল    


(১)
 শীতের ছোঁয়া মিলিয়ে গেল আস্তে
ফাগুন এলো আবার ভালবাসতে
হাসছে পলাশ রঙিন হাসি হাসছে
আনলো খবর হোলির দিন যে আসছে
(২)
যেই না আমার পড়লো মনে সেই সে ফাগুন
সে'জন বলে, কি কাজ হবে অতীত ভেবে?
আজকেও সে একই চোখে আমায় দ্যাখে
হয়তো আমায় একই ভাবে ফাগ মাখাবে
হয়তো আমার কানে-কানে গান শোনাবে
মুগ্ধ হয়ে তার চোখেতে যেই তাকাবো
চাউনি আমার তার মনেতে পথ হারাবে
(৩)
এই নাও রঙ",বললো পলাশ মলিন মুখে
অনেক ব্যথার শেল বিঁধেছে ওদের বুকে
খবর দিলো বাতাস তাদের আজকে প্রাতে
দশটা পলাশ-ভাই মরেছে অপঘাতে
চায় না যারা দেখতে পলাশ রঙের ধারা
পলাশ মেরে বসতবাড়ি তুলছে তারা
পলাশের কবিতারা ঘাসের 'পরে,
একটু-একটু করে শুধুই ঝরে।
(৪)
সেই কবিতায় চোখ রেখেছে আকাশ,
কাব্যে বিভোর আজ তার অবকাশ।
পলাশের কবিতায় কে গো দেবে সুর ?
হবে তার প্রাঙ্গণ গানে ভরপুর।


কল্যাণবন্ধু মিত্র
উত্তরপাড়া

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 
 বিধি নির্দেশক দফতরের বিশেষ দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত অফিসার 

শুভেন্দু দাস
ভবানীপুর

কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট, আইবিএম  করপোরেট কমিউনিকশন 

বসন্ত আবার জাগ্রত

বসন্ত আবার জাগ্রত এই ডামাডোলের বাজারে,
পলাশের দাম কমছে, কমছে শিমূলেরও লাল
তুচ্ছ আজ পুচ্ছ নেড়ে মস্তানি করে
"দলদাস" হয়ে ঐতিহ্যেরা গুমরে মরে
প্রেমিকার জন্য রঙ নয়, টাকা চায় থলে ভরে
তবুও বসন্ত জাগ্রত !!
বসন্ত আবার জাগ্রত কি ভীষণ রূপে,
এত ভয় করে লাল আগুণের গ্রীষ্মের আগে শুধু
শুধু কিছুটা দখিণা হাওয়া আপাত শান্ত এ রাজ্যে ,
কি জানি কারা আবার ছড়িয়ে দেবে ঘুরে ঘুরে,
আমি থাকতে চাই, তোমরাও চাও,
আমরা সবাই চাই শান্তিতে থাকতে
কিন্তু সন্ত্রাসবাদী বসন্ত শুনলে তো সে কথা !!
বসন্ত , আবার জাগ্রত
ছোট্ট মেয়েটা, মিষ্টি মেয়েটা, কালো গভীর চোখে
দুটো হাত যার অঞ্জলি ভরে
পলাশ একটা ধরে রেখেছে প্রত্যাশা নিয়ে ,
কেউ যদি ... কেউ যদি ভয় না দেখায় ,
তাহলে উচ্ছ্বাসে মাতবে
হে পলাশ, হে শিমূল, হে বসন্তের দূত তেরা
"পচা লাশ" আর বয়ে এনোনা, গন্ধে পৃথিবী গেছে ভরে
এখন ছোট্ট মেয়েটা না হয় "রাজ" করুক !!!



বসন্ত-বন্দনা

চলার পথের ধারে দেখি লালফুলের বাহার
শুধাই আমি, নাম জানো কি তার?
উত্তর না পাই, নামটি থাকে অজানাই
তবু তার রং মনে-প্রাণে আনে বসন্ত
আকাশে-বাতাসে ছড়ায় যেন আবিরের সুগন্ধ
বসন্ত আর প্রেম কোনো এক নিবিড় সুত্রে বাঁধা
গাছের ডালে কোকিলের তাই কুহুস্বরে গলা সাধা
আমিও এবার শোনাতে পারি বসন্ত-বন্দনা
গলা ছেড়ে গাইব তবে বাহার রাগে তারানা
তাইতো আমায় ঠাই দিও ভাই আনন্দ-সভার মাঝে
এলাম আবার বার্তা নিয়ে বসন্ত-সভার মাঝে
মন যে আমার অশোক, পলাশ, শিমুল রঙ্গে সাজে




বর্ণালী কর
কলকাতা 

ইঞ্জিনিয়ার,
গেস্ট ফ্যাকাল্টি,
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়  

সংঘমিত্রা নাথ
গড়িয়া

ইংরেজি শিক্ষিকা ,
গড়িয়া হরিমতি দেবী 
উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় 

আজ বসন্ত

শুষ্ক,জীর্ণ ঝরা মাঘ বেয়ে
তুমি যে নিঃশব্দে চলে এসেছ -
সে কথা তো বলে গেছে
উতল ফাল্গুনি হাওয়া।

একটা কোকিল এসে সেদিন-
দিয়ে গেছে তোমার চিঠি,
গেয়ে গেছে তোমার গান
আম ডালে দোল খেয়ে।

নিশান উড়েছে তোমার চারদিকে
আম পেয়ারা লেবুর ডালে ডালে,
পেয়েছি তোমার বার্তা
সবুজের, নবীনের জয়সাজে।

সজ্‌নের ফুলে আমের বোলে
তোমার গন্ধে আসে সব পাখি,
বলে যায় ‘এসেছে বসন্ত,
শীতকে দিয়েছে ছুটি’।


আবার বসন্ত

পথের ধারে হলুদ হয়ে ওঠা গাছগুলো
জানিয়ে দিয়েছে তুমি এসেছ মহাসমারোহে-
পলাশ,কৃষ্ণচূড়া ঝুঁটিতে বেঁধে,
আবীর মেখেছ লাল,মেতেছ বসন্ত নৃত্যে।

বনে বনে আজ জীবনের নবদোলা,
ফুলের পাপড়িতে রঙেরই আলপনা
এসেছে রঙের উৎসব আবার
দুয়ার রুদ্ধ আর রেখো না।




দোল লাগে মনে 

বাইরেটাকে রাঙিয়ে দিলে 
তোমার রাঙা আবীরে, 
ভিতরটাকে ছুঁয়ে গেলে 
মনের অনেক গভীরে! 
ফাগুণ তো আজ আগুণ রঙীন 
মনে  জাগায় সাড়া, 
বাইরে দোল, ভিতরে দোলা 
মন যে পাগলপারা !!





ডাঃ অমরজ্যোতি গুপ্ত
বারাসাত

মেডিক্যাল অফিসার,
ওয়েষ্ট বেঙ্গল হেলথ সারভিস

সুশান্ত কর
 তিনসুকিয়া

বাংলার অধ্যাপক,
 তিনসুকিয়া কলেজ, আসাম



দোল কারে কয়?

কেউ কি এবারে পলাশ দেখেছো, ফাগুন মাসে ফোটে?
যেদিকে তাকাই ভোটের পতাকা আকাশ ফুঁড়ে ওঠে।
কেউ কি শুনেছো দোল কারে কয় ? সাজিয়ে থুয়েছো আবির?
রাজীব ভবনে বোমা ফুটেছে, মরে গেছে মিঞা সাবির।
কৃষ্ণ গেছে কুরুক্ষেত্রে , রাই হয়েছে বুড়ি।
কত বসন্ত ফিরে গেছে এসে, হিসেব রেখেছে থুড়ি!


হোলি


এক একটা দিন যেন
সুর্য্যের থেকেও লাল,
সুড়কির রাস্তা অথবা
 তোমার সিঁদুরের চেয়েও ।
এইসব দিন নিয়ে রাতভোর ঘুমোই ......
 ঘুমের ভেতর হেঁটে যাই
শাড়ীর আঁচল থেকে অসহায়ের মত
খুঁটে ফেলি কিছু লোহিতকণিকা।
সব চোরকাঁটা বেছে তোলা
বোধহয় সহজ নয়।
কিছু কিছু চিরকাল বিঁধে থাকে অগোচরে
ক্যালেন্ডার মাফিক বসন্ত চলে এল আবারও
ফাগুন হাওয়ায় কাঁপে শিরা উপশিরা
এবার নিদেনপক্ষে কিছু শিমূল কিংবা
পলাশ ফোটানো যাক্‌ ।




সুতপা ভট্টাচার্য বারুই
যাদবপুর

নেশা -- লেখালেখি
পেশা -- ব্যবসা [বুটিক]



ইন্দিরা মুখার্জি
খড়গপুর

ব্লগার 

আজ দোল

দোল ছিল এক পশলা আটপৌরে ভালোলাগা
ফুটকড়াই-মুড়কি-মঠের ছোট্ট ভাঙা আগা
রঙনিকোনো মনের উঠোন উপচে চাঁদের আলো
লুকোনো প্রেম, রঙীন বুকে ছবি আঁকার ভাল
দোল এখন পোশাকি প্রেম, মন্দবাসার পিঁড়ি
দোল আজকে ভালোবাসার শপিংমলের সিঁড়ি !
এসেমেসের ঠান্ডা বাতাস, দু এক কুচি কলি
চ্যাট, ই-মেল ইনবক্সে  বোঝাই গ্রিটিংস খুলি|

যাই হোক আজ দোল !

প্রতিপক্ষের সেই একসূতো চাঁদ আজ ষোলকলা পূর্ণ করল
ফাগুণের পাতাঝরায়, কৃষ্ণচূড়ার লালে.. দোল ফিরে এল
সাথে কত রঙ !  মোরামের রাস্তায় ঝরা পলাশের কুঁড়ি
আমের মুকুল, বাদাম গাছের পাতাঝরা  গুঁড়ি!
নীলচে আকাশ, কমলা অশোক সবাই ঘুরে এল
শিমূল তলার সেই মেয়েটা  কোথায় জানি গেল !
শিমূল-তলায় মেয়ের বাড়ি, পলাশ-উঠোন ভরা
অশোক-দালান পেরিয়ে পাবে কৃষ্ণচূড়ার সাড়া
মেয়ের ছিল  পলাশ উঠোন থৈ থৈ লাল বন্যা
শিমূল তলা পেরিয়ে গেলে  দোলকে পেত কন্যা
সজনেফুলের গন্ধ বাতাস, শিমূলরাঙা মাটি
পলাশবৃষ্টি  মেঘের বাড়ি, রঙীন ধূলোমুঠি !
ফাগ উড়িয়ে মেয়ে চলল দোলের খেলাঘর
রামধনু রং, আসমানি রং, পিচকারি তুই ভর ।

সেই মেয়েটার দোল

মেয়েটার একটা রঙীন ফাল্গুন ছিল বুকে ।
কবিতার খাতা নিয়ে ঝুঁকে পড়েছিল,
শিমূল-বারান্দা তখন স্বপ্নময় ।
ভাবনার পাতা উলটে চলেছিল একে একে..
পলাশ ঝরেছিল কার্নিশে,
কমলা রঙের পলাশ, বাদামী তার বোঁটা,
উঁকি দিয়ে চলে গেছিল
বসন্তের একচিলতে রোদগোলা সকাল ।
মেয়েটার মনের ধারাপাতে তখন বসন্ত এসেছিল ।
সেদিনও ঝরেছিল একমুঠো পলাশ ,
কমলা রঙের পলাশ, বাদামী তার বোঁটা,
পাতা ছিল না একটাও তার আশেপাশে ।



 ফিরে এস

তোমার ঐ খর-দৃষ্টি সহজ হয়না
ভস্ম করবে কি এই দহন যন্ত্রণা?
মুক্তির আশায় ছুঁতে যাই অন্যখানে
হয়ত তোমারি অমোঘ আকর্ষণে..
মেঘ  জমেছিল,  মনের আকাশে
তোমায় খুঁজেছিলাম, ছিলেনা পাশে
সবাই এল, চলেও গেল
ক‌ই তুমি এলেনা তো!
হিমেল হাওয়া, ঝরে পড়া ধান
এই বুঝি তোমার দান?
আজ স্বীকার করার সময় এসেছে
ধূসর মেঘে আলোর ছোঁয়া লেগেছে
আমি শুনেছি তোমার আসার শব্দ
অনুভবে জেনেছি  তুমি অনন্য
তুমি এসো বসন্ত, তোমায় দরকার বড়
আমাকে ভরিয়ে তোলো, আমায় পূর্ণ কর
রিক্ত আমায় সাজিয়ে তোল রক্ত পলাশে
আনমনা চাই থাকতে অশোকের পাশে
আমি সাজব তোমার স্পর্শে,
সবটুকু আবেগ নিয়ে ভরা উচ্ছ্বাসে
তুমি ফিরে এসো বসন্ত, তুমি অনন্ত,
তুমি চির সুন্দর, আমি তোমার অনুগত
দাও না আমায় রেখে শুধু তোমারি করে
কক্ষনো ফিরে না যাবার আজীবন অঙ্গীকারে!





 অদিতি ভট্টাচার্য 
কলকাতা 

কনসাল্টেন্ট  
আইবিএম, কলকাতা 




মহাশ্বেতা রায়
কলকাতা

ওয়েব ডিজাইনার, 
কন্টেন্‌ট্‌ রাইটার আর
ইচ্ছামতীর দেখাশোনা করি

কলকাতায় বসন্ত

গড়িয়াহাটার মোড়ে,
মহানাগরিক ভীড়ে,
একটা পলাশ গাছ,
হটাত ফাগুন ভোরে,
ধূসর নীল আকাশ
(আর )মৃদু দখিনা বাতাস
পটভূমিতে রেখে,  আঁকে
লাল-কমলা আভাস।
বাসে  বা  ফুটপাথে
ব্যস্ত চলার পথে,
বসন্তরাজ সহযাত্রী
নতুন পাতার রথে।
সাত রঙা বেলোয়াড়ি
ফাগুন-ফেব্রুয়ারি,
ইচ্ছেমতন সাজিয়ে তোলে
ধূলি ধূসর নগরী।




দোল-ফাগুণে

 দে দোল দোল, দে দোল দোল
সকল মনের দুয়ার খোল;
রামধনুতে রঙিয়ে দিয়ে
মন আঙিনার আগল খোল
রঙ বেরঙের আবীরে আজ
বুকের মাঝে বাজুক মাদল !
শিমূল, পলাশ কৃষ্ণচূড়ায়
ভালোবাসার আগুন লাল...
পূর্ণ চাঁদের আলোক ধারায়
খুশির বানে দুঃখ ভোল ।










ছন্দা নন্দী
কলকাতা

হোমমেকার


২৩টি মন্তব্য:

  1. Osadharon sundor kobita guli.... porle mon udash hoy jay ek odbhut bhalo lagay.

    উত্তরমুছুন
  2. protyekti kabita besh darod diye lekha...kichhu jano abedon achhe...

    উত্তরমুছুন
  3. شاعری ہے جو ترجمہ میں کھو جاتا ہے

    উত্তরমুছুন
  4. Bosonto jeno dhora diyechhe sabar anubhutite. Indirar prachesta tulanahin. tini nijeo lekhen ebong sabaike diye likhieo nen. anander banyay palash bon bheshe gelo aaj.

    উত্তরমুছুন
  5. @মধুমিতা, এই বসন্ত উতসবের প্রাক্কালে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংএর মাধ্যমে " কাছে থেকে দূর রচিল "

    উত্তরমুছুন
  6. কতো কবিতা কতো ছড়া জন্মায়,মরে।খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।সে-সব নিয়ে কে আর ভাবে?নিজের ভাবনা ছেড়ে অন্যের ভাবনা ভাবার মতো নির্বোধের সংখ্যা এযুগে অনেক কম।
    কিন্তু ইন্দিরা-রা ভাবে।সবাইকে সুখী করেই ইন্দিরা-দের সুখ।
    আবার সবাইকে দিয়ে লিখিয়ে তার সংকলন বের করলো।গত পূজোয় করেছিলো,এবার আবার দোল-এ করলো।
    সবাই মিলে রং খেলেছি দোল-এ
    সবাই মিলে জমজমাটি আসর
    তোমার মতো কেউ ভাবিনি আগে
    বাঁধবো হোলির এমন রঙিন বাসর।

    উত্তরমুছুন
  7. সুন্দর প্রয়াস!! এবার হয়ত দোল খেলা হবেনা আমার তাই এই ব্লগ এ এসে চুপটি করে এক গোছা পলাশ আর শিমূলের ছটা দেখে গেলাম।

    উত্তরমুছুন
  8. ইন্দিরাদির প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। বসন্ত নিয়ে নানারকমের কবিতার স্বাদ পেলাম এই বারোয়ারি "দোলছূট" এ। সবার মনে রঙ লাগাতে সক্ষম হোক সোনার তরী, এই কামনা করি।

    উত্তরমুছুন
  9. আসলে আমরা সকলে বিভিন্ন জায়গায় থাকি আর দোলের দিন আমাদের সকলের একত্রে দোল খেলা এই ব্যস্ততার জীবনে আদৌ সম্ভব হবে বলে তো আমার মনে হয় না তাই এই চেষ্টা । আর একদিকে বেঁচে থাক আমাদের সাহিত্য চর্চা আর একদিকে আমাদের সংস্কৃতি । আর এই দুইয়ের মেলবন্ধন ঘটানোর জন্যেই তো বারো মাসে তেরো পার্বণে আছে " সোনার তরী"

    উত্তরমুছুন
  10. প্রথম যখন "সোনার তরী" দেখেছিলাম তার চাইতে এখন দেখি এই তরী সেজে উঠেছে ঝিকিমিকি । কী দারুণই না লাগছে এখন "সোনার তরী" কে! এজন্য প্রথমেই অভিনন্দন আপনাকে।
    দোলছুটের কবিতা নিয়ে এই বসন্তের ডালি সাজানোর পরিকল্পনাও চমৎকার ! আর তা সার্থকও হয়ে উঠেছে বলে মনে হয়।
    সব কবিকে অভিনন্দন আর বিশেষত আপনাকে এই আয়োজনের জন্য।

    উত্তরমুছুন
  11. ইন্দিরাদির ওমন ফাগুনে উৎপাত থাকলে আমরা যে সবাই কবিতার আগুন ছোটাব, কবি হয়ে যাব, এটি নিশ্চিত। আচ্ছা, ওরকমও কি কেউ রঙ খেলে !!!

    উত্তরমুছুন
  12. আমিও এসে গেছি পড়তে। বাহ্ দেখতেই তো দিব্যি লাগছে!! সুশান্তদার লেখাটা পড়ে গেলাম এখন। আবার আসছি।

    উত্তরমুছুন
  13. ওহো দিদি আমার নিক দেখে তো বুঝোই না আমি কে!!
    মেঘমালা হে..........

    উত্তরমুছুন
  14. অবশেষে মেঘ বৃষ্টি দিল ! বিদায়ী বসন্তে ঘেমে স্নান করে ব্লগ দেখতে এসে ভিজে সারা হলাম ! আজ তুমি আমায় দিলে চৈত্রের একটা বিকেল !
    পয়লাবোশেখ " তোমাকে চাই "

    উত্তরমুছুন
  15. Laglo Kemon? Bhaaaaalo.
    sabas Indira sabas.sotyi tumi ekta oshadharon sundar kaj korle.orkut er ekgheye scrap er modhye theke kemon kore je emon creative bhabnar dana badhlo tomar mone ar ki sundor kore sobaike diye tumi likhiye nile kobita ar koto bhalobasa diye sajiye diyechho sab rongin patay patay....sottikarer basantotsob ekhanei holo mahasamarohe...

    উত্তরমুছুন
  16. sojotne sajaano, eke eke kobita gulo jano "daar" hoye tortoriye vasiye niye gache Sonar Toree tike, Indira Boudi ke hazaar "Selaam" ei mohaan prochestar jonnio : Subhendu

    উত্তরমুছুন
  17. BHalo laglo দোলছুট. sudhu dole kyano, barbar fire asa jay sonar toree te kobita gulo ba onyo lekha gulo porbar jonye.
    Indiradir sob udyog ke ami bhisonbhabe somorthon kori.
    ektu ektu kore eije seje uthchhe sonar toree ek ekta monimuktoy, egulo amader sobar i sonchoy hoye thak.
    Kudos Indiradi!!

    উত্তরমুছুন
  18. Thanks Ananya! tumi tomar school, Diyala, Kochiknacha eto kichhu samliye je sonartoree te ese sob poro setai ei nukakhanir kachhe anek !

    উত্তরমুছুন
  19. A big thank you to all those who have contributed their verses and lyrics : a true celebration of the spirit of Web 2.0 in the form of user-generated "rich" content.

    উত্তরমুছুন
  20. Dear Indira
    Anek din par kobita poDlam..sei ek bayos-e Kobita likhtam sabar moton tar par chheDe dilam as usual when I realized later, that " khub baj-e likhi" ha ha
    Very nice poems and production too. I liked the palas flower photo...During my pilgrimage to Saurastra, the road sides were full of blooming palas trees, awesome experience
    Bhalo theko

    উত্তরমুছুন
  21. অপূর্ব।প্রত্যেকের উপস্থাপনা খুব সুন্দর।ফাগের আগুন নেশা ধরায়।

    উত্তরমুছুন