tag:blogger.com,1999:blog-6469078130388980569.post3321006720121842385..comments2024-02-22T10:34:43.739+05:30Comments on সোনারতরী : মহালয়া অমাবস্যা Indira Mukhopadhyayhttp://www.blogger.com/profile/03171327100001433959noreply@blogger.comBlogger1125tag:blogger.com,1999:blog-6469078130388980569.post-87464114450514331282019-09-29T12:39:22.419+05:302019-09-29T12:39:22.419+05:30এখন আমি মহিষাসুরমর্দিনী শুনি না । আপনার প্রতি শ্রদ...এখন আমি মহিষাসুরমর্দিনী শুনি না । আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি হয়তো আরো কয়েক দশক লাগবে বাঙালিদের এটা বুঝতে যে কথাটা "মহালয়া" নয় এটা হবে "মহা-লয়" অর্থাৎ মহাবিনাশের দিনটি হয়ে গেছে মহাআলয়ে । আপনাকে কোন দোষ দেব না কারণ বেদের ব্রাহ্মন ভাগ থেকেই বেদের সত্যতার সলিল সমাধি ঘটেছে এটা কেউই প্রায় জানেন না । এর পেছনে ফেলে আসা কারনগুলো এক ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে । লিখতে গেলে এক অন্য মহাভারত রচনার সমান হয়ে যাবে । ডঃ হংসনারায়ন ভট্টাচার্য, ডঃ জিতেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, ডঃ যোগীরাজ বসু, অক্ষয় কুমার দত্ত, মহর্ষি ষাস্কচার্য, পনিনীর মত অসংখ্য বিদ্যান ও পন্ডিতের লেখার মধ্যে এর কিছুটা হদিস পাওয়া সম্ভব । বস্তুতঃ সূর্যের অয়ন চলন তত্ত্ব অনুসারে মঘা নক্ষত্রে বিষুব মিলনের ১৩-১/৩ দিনে শুরু হয়ে ৯৬০ বছর ধরে সূর্য পরিচিত হন পিতৃগন রূপে । উওর খুঁজতে গেলে চলে যেতে হবে ২০১৯ সাল থেকে ১১৫৪১ বছর আগে ১৬ই ভাদ্রের এক আমাবস্যা তিথিতে যেদিন সমগ্র বিশ্ব জলের তলায় চলে গিয়েছিল । একদিন কয়েক কোটি (তখনকার দিনে বিশ্বের জনসংখ্যা কম ধরে, যা এখন যখন হবে ভাবতেই ভয় লাগবে) মানুষ সলিল সমাধি বরণ করেছিলেন । মুষ্টিমেয় কয়েকজন যাঁর বেঁচে গেছিলেন তাঁরাই ঈশ্বরের তদানীন্তন পিতৃগন নামে ঈশ্বরকে জলের অর্ঘ্য দিয়ে (অন্য কিছু দিয়ে যা আর সম্ভব ছিলনা কারন সবকিছুরই সলিল সমাধি হয়েছে) উপাসনা প্রথা শুরু করেছেন । প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে হয় ঋকবেদে বরুন দেবতার বেশ কিছু সূক্তে, ছত্রে ছত্রে ঋষিদের কাতর প্রার্থনা গুলো যা তখনকার আসন্ন মৃত্যুর ভয়ে আতঙ্কিত তৎকালীন মানব সমাজের অন্তরের কথা মনে করিয়ে দেয় । <br />১৯২০ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু হয় । ১৯৩১ সালে প্রথম কলকাতার বেতার কেন্দ্র থেকে মহিষাসুরমর্দিনী নামক গীতিআলেখ্যটি সম্প্রচার করা হয় । বর্তমানে রেডিওতে প্রচারিত চন্ডী পাঠ শুরুতে ষষ্ঠীর দিনে প্রচারিত হওয়ায় মহালয়া এবং দুর্গাপূজা পরস্পর সম্পর্কহীন ছিল, কিন্তু বর্তমানে ষষ্ঠী তিথির পরিবর্তে মহালয়ার প্রত্যুষে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র প্রচারিত চন্ডীপাঠ জনপ্রিয়তার উত্তুঙ্গ উত্তরণ এবং বাঙ্গালির খুব বেশি উৎসবপ্রিয় হওয়ায় এই দুই অনুষ্ঠান মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে ।<br />অজ্ঞানতা পিতৃমৃত্যুর দিনকেও যে উৎসবের রূপ দেয়, মহালয়ার অনুষ্ঠানই তার জীবন্ত উদাহরণ । মহা লয় কখন শুভ হতে পারে না । <br />রামায়ণের পুরূসত্যম রাম কর্তৃক দূর্গা পুজোর যে অকালবোধন উল্লেখ করা আছে তা বস্তুতঃ ই মহাকবি কৃত্তিবাস ওঝা রচিত একটি কাব্য রস সম্মিলিত উপন্যাস ছাড়া আর কিছু নয়, ঋষি বাল্মীকির লেখা রামায়ণে তার বিন্দু বিসর্গ উল্লেখ নেই । একথা প্রায় এক বাক্যে সমস্ত ঐতিহাসিকগন স্বীকার করে নিয়েছেন । এর উত্তর লেখা আছে বেদের সত্যতার ।Santanu Dasguptahttps://www.blogger.com/profile/07328475243655567045noreply@blogger.com