১২ এপ্রি, ২০১২

প্যাপিরাস : পয়লা বৈশাখ ১৪১৯

সোনারতরীর  পক্ষ থেকে প্রকাশিত হল প্যাপিরাস ওয়েব ম্যাগাজিনের বিশেষ সংখ্যা  


১ এপ্রি, ২০১২

রামনবমী



অযোধ্যার রাজা দশরথ পুত্রশোকে অস্থির হয়ে পড়লেন । তাঁর চাররাণী । অথচ একটিও পুত্রসন্তান নেই ।  বংশরক্ষার চিন্তায় কালাতিবাহিত করছেন রাজা  । (এখনকার দিন হলে দশরথের মুন্ডপাত করতেন সকলে!)   
তাঁর রাজসভায় মহর্ষি বশিষ্ঠের আগমন হল  ।   ( এখনকার দিনে যেমন জ্যোতিষীরা যজ্ঞের বিধান দিতে সংসারে অবতীর্ণ হ'ন । ) 
তিনি রাজাকে বললেন 
" হে রাজন্‌! মিথ্যা শোক কর পরিহার ! ধর্মের হ‌ইবে জয় ভুল নাহি তার  ! অঙ্গদেশ থেকে ঋষ্যশৃঙ্গ মুনিকে নিয়ে আসুন । পুত্র্যেষ্টি যজ্ঞ করুণ । আপনার রাণীদের সন্তান লাভ হবে " (এখনকার দিনে মহা জ্যোতিষীও এমনি করে আউট সোর্স করেন । বয়সের ভারে তিনি কুব্জ । জ্ঞানের ভারে ন্যুব্জ । আর তরুণ ঋষিদেরও তো জায়গা করে দিয়ে যেতে হবে ।   কমিশন নেবেন অবিশ্যি )  
যথাবিধানে মহাসমারোহে পুত্র্যেষ্টি  যজ্ঞ হল । যজ্ঞের অনতিপরেই বড়রাণী কৌশল্যার গর্ভ সঞ্চার হল । ( আইভিএফ হোল বুঝি! অথবা সারোগেট পন্থা ।  যাই হোক ছেলে চাই ! )  

দশমাস দশ দিন পর চৈত্র মাসের শুক্লানবমী তিথিতে কৌশল্যার কোল আলো করে ভূমিষ্ঠ হলেন রামচন্দ্র । (বলুন তো, আজ রাম না জন্মালে  না হত রামায়ণ । না হত রামরাবণের যুদ্ধ ।  ভগবানদের আসরে হনুমান হয়ত পশুস্তর থেকে উন্নীত হয়ে সেলিব্রিটি স্টেটাস পেতেন না ! সো অল ক্রেডিট গোজ টু মহর্ষি বশিষ্ঠ  । প্যাকেজড  বংশোদ্ধারের প্ল্যানটা কেমন ফেঁদেছিলেন ! )   

রামচন্দ্রের জন্মের এই পুণ্যতিথি আজ রামনবমী নামে খ্যাত ।( গাইয়েরা শুরু করলেন " ঠুমক চলত রামচন্দ্র বাজত পায়জনিয়া...)